শনিবার ● ৪ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বরকত রাইস মিল চাল মজুতের দায়ে লাখ টাকা জরিমানা
বরকত রাইস মিল চাল মজুতের দায়ে লাখ টাকা জরিমানা
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে চাল মজুতের দায়ে বরকত রাইস মিলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে বাগেরহাট শহরের বিসিক শিল্প নগরীতে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে এই আদেশ দেন।চাল উৎপাদন করলেও গত ৩ মাস ধরে কোনো চাল খুচরা বাজারে বিক্রি করেননি এই মিল মালিক।অসাধু ব্যবসায়ীদের মজুতের কারণে দেশে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। তাই চালের কৃত্রিম সংকট প্রতিরোধে বাগেরহাটেমজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তবে কী পরিমান চাল মজুত রয়েছে এই মিলে সে তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন রাইস মিল ও গোডাউনের কাগজ-পত্র যাচাই করে বিভিন্ন নির্দেশনা দেন ইউএনও।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ চালের বাজার অস্থির করার জন্য একটি গ্রুপ অবৈধ মজুতদারি করছে। এ জন্য চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাগেরহাটের বিভিন্ন অটো রাইস মিলে অভিযান পরিচালনা করেছি।
এর মধ্যে বিসিক শিল্প নগরীতে মধু ধাম নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন বরকত রাইস মিলে গত ৩ মাস ধরে চাল উৎপাদন করলেও খুচরা বাজারে পাঠানোর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এই কারণেই মিল মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জমির মালিকদের বিক্ষোভ-মানববন্ধন মোরেলগঞ্জে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঘের করছেন প্রভাবশালীরা : লবন পানিতে ধান চাষ বন্ধ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্তদের ফসলী জমিতে জোরপূর্বক মৎস্য ঘের করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন জমির মালিকেরা। বুধবার বিকালে তেলিগাতী ইউনিয়নের মিস্ত্রীডাঙ্গা গ্রামের ভূক্তভোগী জমির মালিকেরা তাদের জমির পাশে এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোরশেদা আক্তারসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অংশ গ্রহন করেন।
বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসির অভিযোগ, মিস্ত্রিডাঙ্গা এলাকার দুইশত বিঘা জমি দখল করে কয়েক বছর ধরে ঘের করছেন পার্শ্ববর্তী পঞ্চকরণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান মজুমদারও তার অনুসারীরা।
এই ঘের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যাক্তিগত স্বার্থে দখল করে নেওয়া জমিতে লবন পানি তুলে চিংড়ি মাছের চাষ করে থাকেন। ঘের সংলগ্ন ওয়াবদার বেড়িবাধ, সরকারি রাস্তা ও খালও এই ঘের ব্যাবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। তাদের সুবিধা অনুযায়ী রাস্তা কেটে পাইপ বসিয়ে পানি ওঠানামা করাচ্ছে। ফলে যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা, পায়ে হেটেও কেউ গন্তব্যে পৌছাতে পারছেনা। জমির মালিকরা পাচ্ছেন না হারির টাকা। পারছেন না একাধীক ফসল ফলাতে।
জমির মালিক ও স্থানীয় কৃষকরা নিজেদের জমি দখল মুক্ত করার দাবিতে বিকালে মিস্ত্রিডাঙ্গা এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে জমি দখল মুক্ত করাসহ ভূমিদস্যুদের বিচার দাবি করেন তারা।
তেলিগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খান জালাল আহমেদ লাল, ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আব্দুল বারেক হাওলাদার, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জয় কুমার মন্ডল, ফনিভূসন, আব্দুল মান্নান আকন, অমল হালদার, জামেনা বেগম, আলীম খানসহ অনেকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি এলাকার নিরহ মানুষদের জিম্মি করে রেখেছে। তাদের কারণে কৃষকরা ধান ফলাতে পারছেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পঞ্চকরণ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। ওই ঘেরে আমাদেরও ১২ বিঘা জমি রয়েছে। আমরা কারও জমি জোরপূর্বক দখল করিনি। ঘেরে অন্য যাদের জমি রয়েছে, তাদেরকে নিয়মিত হাড়ির টাকা দিয়েই ঘের করছি’।