বৃহস্পতিবার ● ৯ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর উপজেলার রাস্তাঘাটগুলো এতো খারাপ রাস্তায় মাছচাষ করা যাবে : জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপি মোকাব্বির খান
বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর উপজেলার রাস্তাঘাটগুলো এতো খারাপ রাস্তায় মাছচাষ করা যাবে : জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এমপি মোকাব্বির খান
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট-২ আসনের নির্বাচনী এলাকা বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলার রাস্তাঘাটগুলো এতো খারাপ। বিশেষ করে সংস্কারের অভাবে। মানুষ রাস্তায় মাছ মারে, আমার কাছে ছবি পাঠায়। রাস্তার অবস্থা দেখায়, এটা শুধু খানাখন্দ না, কোন কোন জায়গায় মাছ চাষাবাদ করা যাবে, মাছের পোনা ফেলে ছবি তুলে। কোন কোন জায়গায় ধানের চারা রোপন করে দেখায় যে, এটা রাস্তা না এখানে ধানচাষ করা যাবে।
এইরকম অবস্থা। একটা রাস্তা নিয়ে অনেকবার সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে গিয়েছি। যেটা বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি-কামালবাজার রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়ে কোন অসুস্থ রোগিকে নিয়ে হসপিটালে যেতে হয়। তাহলে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কারনে তার যা ঘটার ঘটে যাবে। দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্বনাথ-ওসমানীনগরের রাস্তাগুলো সংস্কার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদ এর অষ্টাদশ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে আক্ষেপ নিয়ে জাতীয় সংসদে কথাগুলো বলেন এমপি মোকাব্বির খান। তিনি মন্ত্রীর কাছে জানতে চান এই ব্যাপারে কোন বিশেষ উদ্যোগ নিবেন কিনা।
এমন প্রশ্নের জাবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এম.পি মোকাব্বির খানের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০ কোটি টাকা প্রতি সংসদ সদস্যকে দেয়া হয়েছে। আপনি যদি ইচ্ছা করেন, সেখানে যদি ‘বার্নানেবুল সিচিউশন’ থাকে তাহলে ওই টাকা থেকে তো আপনি সেই সমস্যা সমাধান করতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস।
আর এরকম বিষয় নিয়ে আপনি দু’একবার আপনি আমার কাছে এসেছিলেন। আমি ধন্যবাদ জানাই আপনি আপনার এলাকার মানুষের জন্য চিন্তা ভাবনা করেন। তবে, এসেছেন কিন্তু এ বিষয়টা এইপর্যায়ে হয়তো আমার সাথে আলাপ হয়নি।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের কোন এলাকাকে বাদ দিয়ে কোন প্রকল্প নেয়া হয়নি। আমাদের জেলা পর্যায়ে প্রকল্প আছে, বিভাগ পর্যায়ে প্রকল্প আছে, গ্রেটার জেলা প্রকল্প আছে, সারা বাংলাদেশে প্রকল্প আছে। এরকম বিভিন্নভাবে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্প নেয়ার সময় যে সমস্ত রাস্তাগুলো খুবই খারাপ এগুলোকে প্রথম আমলে নেয়া হয় এবং নিয়েই প্রকল্প বানানো হয়।
এইসব প্রকল্পের মাধ্যমে করান না হয় ২০ কোটি টাকা থেকে করান। এরপরও যদি কোথাও সমস্যা থাকে তাহলে একবার আমার কাছে আসেন আমরা বসে ওয়ার্কআউট করে নেব।
সংসদের এই ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় নির্বাচনী এলাকার মানুষদের কাছে আলোচনায় উঠে এসেছেন মোকাব্বির খান। জনগনের মাঝে আশার সঞ্চার জেগে উঠেছে। তাঁর এই বক্তব্যে প্রশংসায় ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
এছাড়াও এমপি মোকাব্বির খান ওসমানীনগরে বাণিজ্যিক কোম্পানি দ্বারা সৃষ্ট পানি সমস্যা নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি মাকুন্দা নদী খনন কাজ চলামান রয়েছে। আর এই খনন কাজের অংশ হচ্ছে আশুগঞ্জ বাজার ও পাঁচঘরি গ্রামের মধ্যস্থানে এই ভাঙন অংশ। গত রমজান মাসে ওই অংশটি খননের সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে নদীর তলদেশ খনন না করে তার ইচ্ছামতো অপরিকল্পিতভাবে সড়ক ঘেঁষে মাটি তুলে নেয়। ফলে চলমান বর্ষায় পানির স্রোতে সড়টির অর্ধেক ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান অ্যাভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, গত রমজান মাসে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদীর তলদেশ খনন না করে অপরিকল্পিতভাবে এক্সকেভেটর মেশিন দিয়ে সড়কের সাইটের মাটি তুলে ফেলছে। তখন তিনি মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। আর না হলে বর্তমান ভাঙনের চেয়ে সড়কটি আরও বেশি ভেঙে যেত। রোববার সড়ক ভাঙার বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বরকত ড্রেজিংয়ের স্বত্বাধিকারী সুহেল আহমদ অপরিকল্পিত নদী খননের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, সড়ক থেকে অনেক দূরে নদী খনন করেছেন। পরে চেয়ারম্যানের আপত্তিতে তিনি এই অংশের খনন কাজ বন্ধ রাখেন।
বিশ্বনাথে ই-নামজারী প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে দু’দিন ব্যাপী ই-নামজারী, অনলাইনে ভুমি উন্নয়ন কর আদায় এবং দাখিলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ বুধবার জাইকার সহায়তায় উপজেলা পরিষদ প্রশাসনিক ভবন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান।
প্রশিক্ষণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে ই,নামজারী, ভুমি উন্নয়ন করসহ জমির প্রয়োজনীয় কাজ করা যায়। সহজভাবে অনলাইনে প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ কাজ করতে পারবে। তিনি বলেন, আমাদের কাজ আমরাই করব, অনলাইনে করব। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে সচেতন মানুষেরা সবাইকে জানিয়ে দিবে হবে।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারি কশিশনার (ভ‚মি) আসমা জাহান সরকার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলিয়া বেগম, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক আব্দুল মতিন, বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, প্রবীণ দলিল লেখক আলহাজ্ব ফয়জুর রহমান, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কলমদর আলী, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি সাইফুল ইসলাম বেগ, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজন্সি (জাইকা) বিশ্বনাথ উপজেলার কর্মকর্তা রাজু আহমদসহ উপজেলার বিভিন্ন শেণী পেশার লোকজন।