শনিবার ● ১১ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » বিশাল ঋণনির্ভর ঘাটতি বাজেটের দায় শেষ পর্যন্ত মিটাতে হবে অসহায় জনগণকে : সাইফুল হক
বিশাল ঋণনির্ভর ঘাটতি বাজেটের দায় শেষ পর্যন্ত মিটাতে হবে অসহায় জনগণকে : সাইফুল হক
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকার নতুন অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ঋণনির্ভর এই বিশাল ঘাটতি বাজেটের দায় মেটাতে হবে শেষ পর্যন্ত চরম দূর্দশায় থাকা সাধারণ মানুষকেই। ধার করে ঘি খাওয়ার এই বাজেটে দেশের জনগণের জন্য বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের ভয়াবহ উর্ধগতিতে পুড়ে মরা বেসামাল কোটি কোটি মানুষের জন্য তেমন কোন স্বস্তির খবর নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে অতি আবশ্যক খাদ্যপণ্যের উৎপাদন আমদানি, বিপনন, বিক্রয় ও বন্টনে সরকারের অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ বাজেটে দৃশ্যমান নয়। বাজেট সামষ্টিক অর্থনীতির গতিসঞ্চারেও বাস্তবায়নযোগ্য কার্যকরি কোন আশাবাদ দেখাতে পারেনি।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি রোধ করে মানুষের প্রকৃত আয় ও কর্মসংস্থান কিভাবে বাড়ানো যাবে বাজেটে তার বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেই। বাজেটে উৎপাদক শ্রেণী শ্রমিকেরা উপেক্ষিত।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সাইফুল হক বলেন, বাজেটে কৃষিখাতে অগ্রাধিকারের কথা বলা হলেও বরাদ্দ অপ্রতুল। দেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রকৃত উদ্যোগতাদের দিকেও বাজেটে বিশেষ মনোযোগ নেই।বাজেটে রাষ্টায়ত্ব শিল্পখাত পুরোপুরি অবহেলিত। স্বাস্থ্য - শিক্ষাখাতের বরাদ্দও কম।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের মেগা প্রকল্পসমূহের ধার মেটাতে ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে; অথচ বেশ কিছু মেগা প্রকল্পই এখন অপ্রয়োজনীয়।
তিনি বলেন,প্রস্তাবিত বাজেটে এবারও লক্ষ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে ধার নেবার কথা বলা হয়েছে ; অর্থনীতিতে এর মারাত্মক নেতিবাচক অভিঘাত রয়েছে।সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা তুলে নেবার প্রস্তাবে আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, কালো টাকা,অনুপার্জিত অর্থ ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করার সর্বাত্বক পদক্ষেপের পরিবর্তে অনৈতিকভাবে এসব টাকা ফেরত আনার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা জাতীয় স্তরে দূর্নীতি, লুটপাট ও দূর্বৃত্তায়নকে উৎসাহ যোগাবে।
তিনি বলেন, অর্থনীতির এই দুঃসময়ে রাজস্বব্যয় ও অনুৎপাদন খাতে ব্যয় যেভাবে কমিয়ে আনা দরকার বাজেট প্রস্তাবনায় তা অনুপস্থিত।