শনিবার ● ১১ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » নওগাঁ » জনদুর্ভোগ : আত্রাইয়ে দুই বছরেও সংস্কার হয়নি বন্যায় বিধ্বস্ত সড়ক
জনদুর্ভোগ : আত্রাইয়ে দুই বছরেও সংস্কার হয়নি বন্যায় বিধ্বস্ত সড়ক
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধিা :: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভাঙ্গাজাঙ্গাল হয়ে নাটোর অভিমুখী সড়কটি বন্যায় বিধ্বস্তের দুই বছর পার হলেও তা সংস্কার করা হয়নি। ফলে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
জানা যায়, ভাঙ্গাজাঙ্গাল-নাটোর রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। প্রায় দেড় যুগ আগে এ রাস্তার নাটোরের অংশ পাকা করণ করা হয়। ওই সময় থেকেই এ রাস্তা দিয়ে সিএনজি, অটোরিক্সা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল শুরু করে। গত ৫/৬ বছর পূর্বে আত্রাইয়ের অংশও পাকা করণ করা হলে রাস্তাটির গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। এ রাস্তা দিয়ে নাটোরের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওই এলাকার মানুষের প্রায় ৮/১০ কিলোমিটার রাস্তা কমে যায়। ফলে উপজেলার বিশা, মনিয়ারী ও পাঁচুপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার লোক এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত নাটোর যাতায়াত করে থাকেন। গত দুই বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাটির আত্রাইয়ের অংশে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে যায়। রাস্তাটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর অদ্যাবধি এটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে ছোট বড় যানবাহন। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে এ দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে বৈঠাখালী গ্রামের সিএনজি চালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এ রাস্তার আত্রাইয়ের অংশ সংস্কার না হওয়ায় আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাই। মাঝে মধ্যেই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, গত বছর বন্যার পূর্বে স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে আমি এ রাস্তায় মাটির কাজ করেছিলাম। কিন্তু বন্যায় আবারও ভেঙে গেছে। রাস্তাটির প্রয়োজনয়ী সংস্কারের জন্য উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় একাধিকবার উপস্থাপন করেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জোনায়েত আলম বলেন, রাস্তাটি পুন:নির্মাণের জন্য প্রাক্কলন প্রস্তুত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হয়ে বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
আত্রাইয়ে মহিলা আ’লীগের বর্ধিত সভা
আত্রাই ;: নওগাঁর আত্রাইয়ে মহিলা আ’লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলা আ’লীগ দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা মহিলা আ’লীগ সভাপতি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সারাদেশের ন্যায় সংগঠনকে গতিশীল করতে ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এতে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, সম্পাদক আক্কাছ আলী, জেলা মহিলা আ’লীগ সভাপতি পারভিন আক্তার, সম্পাদক লিপি সাহা, উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, এবাদুর রহমান প্রামানিক, গয়ের আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান লিটন, জেলা মহিলা আ’লীগ সহসভাপতি খোশ নাহার মৃধা, যুগ্ন সম্পাদক মুন্নি শর্মা, সাংগঠনিক সম্পাদক লাবনী সাহা পলি, বন ও পরিবেশ সম্পাদক সাবিহা তাবাসসুম মেঘা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা মহিলা আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদিকা জাহেদা বেগম।
পুকুর খনন করতে গিয়ে কথিত মন্দিরের সন্ধান
আত্রাই :: নওগাঁর আত্রাইয়ে পুকুর খনন করতে গিয়ে কথিত মন্দিরের সন্ধান মিলেছে। এ মন্দির দেখতে সেখানে প্রতিদিন শত শত উৎসুক জনতা ভীড় করছেন। পুকুরটি উপজেলার দীঘা বামনপাড়া পাকা সড়ক সংলগ্ন স্থানে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীঘা গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক সময়ের জমিদার মৈত্রী পরিবারের বিপুল পরিমান সম্পত্তি ছিল। দেশভাগের পর এ সম্পত্তিগুলো এলাকার লোকজন ক্রয় করেন। পরবর্তীতে এরই কিছু অংশ ক্রয় করেন বর্তমান আত্রাই উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এবাদুর রহমান। সম্প্রতি দীঘা বামনপাড়া পাকা সড়ক সংলগ্ন স্থানে তাঁর ক্রয়কৃত একটি জমিতে পুকুর খননকালে সেখানে ৫ থেকে ৬ ফুট মাটির নিচে ইটের তৈরি একটি স্থাপনার সন্ধান মিলে। মূহুর্তের মধ্যে সংবাদ ছড়িয়ে পরলে এলাকার শত শত লোক এ স্থাপনা দেখতে সেখানে ভীড় জামায়।
এ ব্যাপারে ওই গ্রামের আতাউর রহমান বলেন, এ জমিটি একটি ভিটা মাটি ছিল। প্রথমে এ গুলো হিন্দু জমিদার মৈত্রী পরিবারের জমি ছিল। তাদের আমলেই এখানে হয়তবা কিছু করা হয়েছিল। এটি সেটারই নিদর্শন হতে পারে।
এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে তারা মাটি কাটতে গিয়ে প্রথমে বালুর খনি বের হয়। সেখান থেকে বালু উত্তোলনের জন্য ড্রেজার মেশিন বসানো হয়। ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনকালে এর পর ইটের স্থাপনার সন্ধান মিলে। এখন এর মধ্যে যে কী রহস্য লুকিয়ে আছে তা এক উপর ওয়ালা ভালো জানেন।’
এ ব্যাপারে জমির মালিক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এবাদুর রহমান বলেন, এটি ইটের একটি স্তুপ, বৌদ্ধদের কোন কবরের উপর নির্মিত স্তুপ হতে পারে।
এ ব্যাপারে আত্রাই থানার অফিসার ইচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আদৌ এটি মন্দির না অন্য কিছু তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি আমি প্রত্মতত্ব বিভাগকে জানাবো। তারা এটি নির্ণয় করতে পারবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। আমাকে ওসি সাহেব ছবি দেখিয়েছেন। আমি বিষয়টি প্রতœতত্ব বিভাগকে জানাবো।