মঙ্গলবার ● ১৪ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » পরবাস » যুক্তরাষ্ট্রে স্বামীর হাতে খুন হওয়া শাপলা ৫ বছরের ফারিহার জননী : পারিবারিক কবরস্থানে দাফন
যুক্তরাষ্ট্রে স্বামীর হাতে খুন হওয়া শাপলা ৫ বছরের ফারিহার জননী : পারিবারিক কবরস্থানে দাফন
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: মেয়ের জন্মদিনের রাতে (৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে স্বামীর হাতে খুন হওয়া এক সন্তানের জননী সাইমা তাসনিম শাপলা (২৩) দেশের মাটিতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। সোমবার (১৩) জুন বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শাপলার মরদেহ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের হাজরাই গ্রামস্থ পিত্রায়লে এসে পৌঁছে। আর সন্ধ্যার পর মরহুমার জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় সাইমা তাসনিম শাপলার মরদেহ।
নিহত শাপলা উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের হাজরাই গ্রামের মৃত হাজী মখদ্দুছ আলীর একমাত্র কন্যা ছিলেন। সাংসারিক জীবনে স্বামীর হাতে খুন হওয়া শাপলা ছিলেন ৫ বছর বয়সী শাহিদা বেগম ফারিহার জননী। মরহুমার জানাযার নামাজে ইমামতি করেন হাজরাই জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ফারুক মাহদি এবং দোয়া পরিচালনা করেন সংপুর দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা জামাল উদ্দিন।
শাপলার জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ এনামুল হক এনাম মেম্বার, ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার লাল মিয়া লালু, সাবেক মেম্বার রফিক আহমদ, মোঃ নূরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহনুর হোসাইন, লামাকাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল রব, প্রচার সম্পাদক মোক্তার আলী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফয়ছল আহমদ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি শহিদ খান আতা, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।
এদিকে, শাপলার লাশ তার পিত্রালয়ে পৌঁছানোর পর সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। নিহতের আত্নয়ী-স্বজনদের কান্নায় ভারী হয় আশপাশের পরিবেশ। একমাত্র সন্তানকে চিরতরে হারিয়ে চিৎকার করে কান্না করতে গিয়ে বারবার মুর্চ্ছা যাচ্ছিলেন শাপলার মা জাহানারা বেগম।
স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে স্বামীর হাতে খুন হওয়া শাপলার মা জাহানারা বেগম জানান, ‘গত ৪ জুন শনিবার শাপলার একমাত্র মেয়ে শাহিদা বেগম ফারিহার জন্মদিনের রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শাপলাকে গলাটিপে খুন করে তার পাষন্ড স্বামী আবদাল হোসেন। শাপলা খুন হওয়ার পর সেখানকার পুলিশ আবদালকে গ্রেপ্তার করে এবং আবদালও খুনের দায় স্বীকার করে। ফারিহার জন্মদিন পালন করতে সেদিন আবদাল শাপলার নিউজার্সির বাসায় গিয়েছিল।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে জাহানারা বেগম আরও জানান, ‘আমাদের প্রতিবেশী সমুজ আলীর পুত্র আবদাল হোসেনের সাথে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারী পারিবারিকভাবে শাপলার বিয়ে হয়। আর ২০১৭ সালে শাপলা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমায়। কিন্তু শুরু থেকেই আমার মেয়েকে মেনে নিতে পারেননি আবদালের মা মিনারা বেগম ও বড় ভাই আক্তার।
তারা সেখানে আমার মেয়েকে অবিরত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। বাংলাদেশ থেকে তাদেরকে ইন্ধন যোগাতো একই গ্রামের আঞ্জব আলীর পুত্র সুজন। খুন করার কিছুদিন পূর্বেও একবার শাপলাকে মারপিট করেছে আবদাল। আমার মেয়ে তার (স্বামীর) যন্ত্রণায় নিউজার্সি শহরে মেয়েকে নিয়ে একা থাকতো। আর আবদাল থাকতো তার মা-বাবার সাথে মিশিনগান শহরে।
আমার মেয়ের কাছে থাকা সব টাকা-পয়সা আবদাল কেড়ে নিয়েছিল। ফোনে কথা হলে শাপলা কান্নাকাটি করে আমাকে বলতো, আবদাল পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েছে। মেয়েদের সাথে ধারণ করা তার বিভিন্ন ধরণের ভিডিও শাপলাকে দেখিয়েই ফোন থেকে মুছে ফেলতো আবদাল।’ মেয়ের হত্যাকারী ও হত্যাকান্ডের পেছনের ইন্ধনদাতাদের শাস্তির জন্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাস্ট্রমন্ত্রীর কাছে আকুল দাবি জানান শাপলার মা।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিশ্বনাথে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
বিশ্বনাথ :: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ জুন) বিকেল ৩টায় পৌর শহরের নতুন বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রবাসী চত্বরে অনুষ্ঠিত পথসভাস্থলে এসে শেষ হয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদের যৌথ পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি গৌছ আলী, আলতাবুর রহমান, তাজ উদ্দিন, পৌর বিএনপির সহ সভাপতি ফারুক মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, নাজিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মোনায়েম খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাওছার খান, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শামছুল ইসলাম, কামাল আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান খালেদ, গোবিন্দ মালাকার, উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, তারেক আহমদ খজির, পৌর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, উপজেলা বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কয়েছ শিকদার, দপ্তর সম্পাদক আমির আলী, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, সহ দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান কলা, উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক নূরুল মিয়া, পৌর বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক ফরিদ আলী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ফরিদ মিয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাসমত আলী, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সেফু চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন জুনেদ, রাশিদ আলী, আপ্তাব আলী, আনিছুজ্জামান খান, জুনাব আলী, রাজু আহমদ, সিরাজ মিয়া, খলিলুর রহমান, আব্দুস শহিদ মেম্বার, জালাল উদ্দিন, শেখ আমির আলী, এম এ ছত্তার, শিপন মিয়া, আনছার আলী, জয়নাল আবেদীন, আলীম আলী, আমির আলী, আকবর আলী, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, শরীফ আহমদ রাজু, তৈয়বুর রহমান, জিল্লুর রহমান, জাকারিয়া শিকদার, সিরাজ উদ্দিন, জাহান আহমদ, নূর আলী, আব্দুল আজিজ, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক ইরন মিয়া মেম্বার, সদস্য সচিব সুমন মিয়া, সদস্য কুদ্দুছ আলী, আব্দুল গণি শাহ, মিনহাজ, আব্দুস সালাম, আয়াজ আলী, আলা উদ্দিন, আইন উদ্দিন, শাহীন মিয়া, হাবিজ আলী, মঈনুল ইসলাম, আসক আলী, নাসির উদ্দিন, আবু সালেহ, হাফিজুর রহমান ফয়ছল, লিলু মিয়া, আব্দুস সাবুর, দুলাল মিয়া, কামাল মিয়া, নজরুল ইসলাম কদ্দুছ আলী, জিলু মিয়া, গোলাম মোস্তফা, আব্দুল তাহিদ, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সামছুল ইসলাম, পৌর যুবদলের আহবায়ক শাহ আমির উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মুসলিম আলী, আব্দুল লতিফ, আব্দুল হান্নান বাবুল, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান আলী, মঈনুল হক, সুহেল উদ্দিন, শাহ লিলু মিয়া, দিলোয়ার হোসেন সজিব, যুবদল নেতা সাইদুর রহমান রাজু, আসক আলী, তাজেক আলী, লাকী আহমদ, বাবুল আহমদ সুমন, রুমেল আলী, মামুন আহমদ কফি, ওয়াসিম, আইন উদ্দিন, জাকারিয়া, শাহ টিপু, সাহেল আহমদ, দিলু মিয়া, আরিফ আলী, জাহান মিয়া, শাহরিয়ার আহমদ, মাসুম, আহমদ, শেখ ডালিম, জলিল আহমদ, আফছর আলী, ফিরুজ মিয়া, সাহেদ মিয়া, রেদওয়ান মোহাম্মদ আলী, মঈনুল ইসলাম, ছৈদুর রহমান, ফয়জুল ইসলাম, কয়েছ আহমদ, আকিকুল ইসলাম আতিকুল, দিলোয়ার হোসেন, নূর আলী, এমদাদ আহমদ, তুহিন মিয়া, আক্তার মিয়া, এমরান আহমদ, জসিম উদ্দিন, মাছুম আহমদ, ফখরুল ইসলাম, শিপু মিয়া, জাকারিয়া খান, সাহেদ আহমদ, সাকিল আহমদ, তাজেক আলী, ইসলাম উদ্দিন, সেফুল সরকার, সুনু মিয়া, সুমন আহমদ, মিরাস আহমদ, নেপুর আলী, সুন্দর আলী, ইউসুফ আলী, জামাল আহমদ, নূরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, আজিজ মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, আব্দুর রকিব, আব্দুল মুকিত, জামাল আহমদ, মিছবাহ উদ্দিন, শাহজাহান মিয়া, রুবেল মিয়া, সুবা মিয়া, সাব্বির আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ছমির আলী, শহিদ আহমদ, শের আলী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এনামুল হক, সদস্য সচিব দুলাল মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক আরশ আলী, আব্দুল গণি, বিল্লাল মিয়া, নিজাম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুহেল আহমদ, শাহ রুপম, জয়নাল আহমদ, সনি আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হোসাইন আহমদ প্রবেল, সদস্য সচিব ফাহিম আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক, আব্দুস সালাম জুনেদ, রাসেল আলী, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক ফখরুল ইসলাম রেজা, সদস্য সচিব একে রাজু, সদস্য জাকির হোসেন ইমন, রুমন আহমদ, মঈনুল আহমদ, তারেক আহমদ, মাহিম খান, ইউনুস মিয়া, সফিন আহমদ, নয়ন আহমদ, শাহ সনি, জসিম উদ্দিন, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক মেহেদী হাসান মামুন, সদস্য সচিব রাসেল আলী, ছাত্রদল নেতা আব্দুল ওয়াহিদ, সামছুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, জাকির হোসেন, মিজানুর রহমান, মাহফুজ আলম, মোস্তাফিজুল রহমান, জাকির আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, মামুন আলী, তাজুল ইসলাম, রাহিন, মোহাম্মদ আলী, ইমন আহমদ, রুমেল আহমদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।