রবিবার ● ২৭ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে পৌর জামায়াতের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আলোচনা সভা
রাঙামাটিতে পৌর জামায়াতের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আলোচনা সভা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৭ মার্চ ২০১৬ : বাংলাদেশ সময় সকাল ১০.২০মিঃ) রাঙামাটি জেলা সেক্রেটারী হাশেমুল হক খন্দকার বলেন বৃটিশ সরকারের শোষণ নিপিড়ন আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভারতীয় উপমহাদেশের লোকজন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বপ্ন নিয়ে আন্দোলন করেছে ৷ আন্দোলনের ফলে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় ৷ পাকিস্তানের কর্ণদার কায়েদ আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেছেন, পবিত্র কোর আন হবে পাকিস্তানের সংবিধান এবং ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন কিন্তু তিনি তার কথার সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ করেন এবং পূর্ব পাকিস্তানে বৈষম্যমূলক নীতি রাজনৈতিক নিপিড়ন ও অর্থনৈতিক শোষণ শুরু করেন ৷ শোষিত জনগন তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, শুরু হয় আন্দোলন ৷ এ আন্দোলনের পথ বেয়ে অর্জিত হয় আজকের স্বাধীনতা ৷ অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপিড়ন আর সাংস্কৃতিক গোলামী হতে মুক্তি পেতে যে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিল সেই স্বাধীনতার পতাকা আজ শকুনের কালো থাবায়, জামায়াতে ইসলামীকে শকুনের কালো থাবা হতে স্বাধীনতা মুক্ত করে জনগন কে প্রকৃত স্বাধীনতার সাধ বিলিয়ে দিতে হবে ৷ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন ৷
বিশেষ অতিথি জেলা শূরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে ও দেশে ক্ষুদা, দারিদ্রমুক্ত ও বাক্ স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি ৷
পৌর জামাতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,পৌর জামায়াতের আমীর জননেতা মো: মনছুরুল হক এর সভাপতিত্বে ও পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুস সালাম এর পরিচালনায় স্থানীয় কার্যালয়ে আয়োজিত উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা ছাত্র শিবির সভাপতি ছাত্রনেতা সেলিম রেজা জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা নুরুল আমিন পৌরসভা জামায়াতের শূরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য ডা: এ এইচ এম হানিফ ৷
পৌর জামায়াতের আমীর জননেতা মো: মনছুরুল হক বলেন যাদের আত্মত্যাগে আজ আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করেছি সেই বীর সেনানীরা প্রকৃত মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৷ তিনি আরো বলেন একটি দল স্বাধীনতার কথা বলে নিজেদের কে স্বাধীনতার দাবীদার ঘোষণা করছে অথচ তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে দেশে আজ ব্যাংক হ্যাকিং করে কোটি কোটি টাকা হরিলুট করা হচ্ছে দলীয় করনের মোড়কে গোটা দেশ আজ বাকশালী সরকার কায়েম করা হচেছ ৷ পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র তাবেদারী করতে গিয়ে নিজেদের সার্বভৌমত্ব কে বিলীন করে দেয়া হচ্ছে ৷ আজ কাঁটা তারে ফেলানীর লাশ ঝুলে থাকার পরেও সরকার প্রতিবাদ করতে সাহস পাচেছ না ৷ ফিলিস্তান,মিশর,কাম্মীর সহ সারা বিশ্বে মুসলিম জনগোষ্ঠী কঠিন নিযার্তনের স্বীকার অথচ সরকারের পৰ থেকে কোন প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে না৷ আজকের এ অনুষ্ঠান থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলমানদের প্রতি সমবেদনা এবং তাদের অধিকার আদায়ে আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন ৷