শুক্রবার ● ১৭ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ১ মাসের ব্যবধানে বিশ্বনাথে ফের বন্যা : রেলসহ সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ
১ মাসের ব্যবধানে বিশ্বনাথে ফের বন্যা : রেলসহ সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ১ মাসের ব্যবধানে চারটি ইউনিয়নে ফের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। লামাকাজি, খাজাঞ্চি, দৌলতপুর ও অলংকারি ইউনিয়ন। চারটি ইউনিয়নের গ্রামের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন।
খাজাঞ্চি রেলওয়ে স্টেশন, হাটবাজার ও সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার পরিবার। খাজাঞ্চি-কামালবাজার সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রেল ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে খাজাঞ্চি সিলেট রেল যোগাযোগ। ফলে পানিবন্ধী মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেছেন, ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম বন্যায় পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষের বাড়ী ঘরে পানি। এই ভয়াবহ অবস্থায় মানুষ দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। পানিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য ৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ইতিমধ্যে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন।
খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী বলেছেন, ৫০ বছরের মধ্যে এত বড় বন্যা কখনো দেখিনি। রেল স্টেশনে পানি দেখা দূরের কথা আজ রেল স্টেশনটিও পানিতে তলিয়ে গেছে। আমার এখানে প্রাইমারি স্কুলগুলো নিচু তারপরও পানিবন্ধী মানুষকে উচু বিদ্যালয় গুলোতে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলে রেখেছি। তিনি বলেন, ইউনিয়ন অফিসের দু’তলায় গরু-ছাগল রাখার জন্য বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে বলে রেখেছি।
অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল বলেন, ইউনিয়নের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ পানিবন্ধী অবস্থায় রয়েছেন। বৃষ্টি ছাড়া পানি হেুা হেুা করে বাড়ছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, আমি বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। লামাকাজি ইউনিয়নের অবস্থা ভয়াবহ। পানিবন্ধী মানুষকে প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খাজাঞ্চি, দৌলতপুর ও অলংকারি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্ধী মানুষকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে ওয়ান পাউন্ড হসপিটালের উদ্যোগে চাল ও স্যালাইন বিতরণ
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়া বলেছেন, মানুষের সেবায় যারা এগিয়ে এসে হসপিটালের উদ্যোগ নিয়েছেন এটা নি:সন্দেহে মহৎ এবং উত্তম কাজ। হসপিটাল নির্মিত হলে উপজেলার অসুস্থ মানুষ সেবা পাবে। চিকিৎসা নিতে পারবে। সেই কাজটা যারা করছেন আমি তাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, হসপিটাল নির্মাণে কাজ দ্রæত শুরু করতে হবে।
কাজ শুরু হলে মানুষ হসপিটাল নির্মাণে আরো এগিয়ে আসবে। ওয়ান পাউন্ড জেনারেল হসপিটাল ইতিমধ্যে মানুষের হ্নদয়ে স্থান করে নিয়ে। মানুষ এখন অপেক্ষায় হসপিটালের পক্ষ থেকে সেবা পাওয়ার। তিনি বুধবার দি ওয়ান পাউন্ড জেনারেল হটপিটালের উদ্যোগে হসপিটালের বিশ্বনাথ পুরানবাজারস্থ কার্যালয়ে বিশ্বনাথে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মধ্যে চাল ও খাবার স্যালাইন বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
হসপিটালের কক্ষ দাতা, সমাজসেবক শেখ মো. মনির মিয়ার সভাপতিত্বে ও হসপিটালের চীপ কো-অর্ডিনেটর কবি নাজমুল ইসলাম মকবুলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক আব্দুল মতিন, ব্যবসায়ী সিতাব আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন হসপিটালের কো-অর্ডিনেটর তজম্মুল আলী রাজু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী শামসুল ইসলাম, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, শফিকুল ইসলাম সফিক, সংগঠক দবির মিয়া, সিজিল মিয়া, আফজাল মিয়া প্রমুখ।
বিশ্বনাথে আনোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে কোনারাই আনোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও দুআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিশ্বনাথ উপজেলার কোনারাই আনোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও দুআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক বদিউল আলম ও সহকারী শিক্ষক সেলিম রেজার যৌথ পরিচালনায় ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ভূইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খসরুজ্জামান গোলাম খসরু।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গোলাম খসরু বলেন, তোমরা যারা এসএসসি পরীক্ষা দিবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে প্রশ্নপত্র ভালোভাবে দেখবে। যে প্রশ্ন টা ভালো পারবে সেটা আগে খাতায় লিখবে।
পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্ন লিখবে। বিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা যেভাবে শিখিয়েছেন সেগুলো স্মরণ রাখতে হবে। ভালো রেজাল্ট করতে হবে এবং বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখতে হবে। আমি তোমাদের সফলতা কামনা করি, অবশ্যই তোমরা সফল হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খান, দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিল্লাল আহমদ, শিল্পী জামাল আহমদ, অবিভাবক সদস্য আব্দুস সালাম, সাজ্জাদুর রহমান, কারী আহমদ আলী, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম (বিএসসি) এ.কে. এম. ফেরদৌস, প্রাক্তন ছাত্র জালাল আহমদ, পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মো. ফয়জুর রহমান ও সামিয়া সুলতানা।
কোনারাই জামে মসজিদের ইমাম ও অত্র বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক বদিউল আলম মিলাদ ও দুআ পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ভূইয়ার সমাপনী বক্তব্য’র মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।