শুক্রবার ● ১৭ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ট্রাকের সঙ্গে বাসের ঘর্ষণে কেটে পড়ে গেলো নারীর হাত
ট্রাকের সঙ্গে বাসের ঘর্ষণে কেটে পড়ে গেলো নারীর হাত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ‘যশোর থেকে বাসে ওঠার পর বারবার বলছিলাম বাম সাইডে সিট ফাঁকা আছে, আমি বাম সাইডেই বসবো। কিন্তু বাসের লোক আমাকে বাম সাইডের বদলে ডান সাইডে জোর করে বসায়। এরপরই দ্রুত গতিতে বাসটি চলতে থাকে। পথে কালীগঞ্জে এলে একটি ট্রাককে অতিক্রম করার সময় আমার হাতটি কেটে পড়ে যায়। আমি আর কখনো ডান হাত ফিরে পাবো না।’এভাবেই কথা গুলো বলতে বলতে হাসপাতালের শয্যায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন গৃহবধূ সুফিয়া (৪২)। যশোর থেকে আসা গড়াই পরিবহনের মাছরাঙ্গা ট্রাভেলসের গাড়িতে সুফিয়ার হাত কেটে পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার দিকে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনিকল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।আহত সুফিয়ার বাড়ি সাতক্ষীরায়। তিনি বাসযোগে শৈলকুপা উপজেলার হরিহরা গ্রামে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলেন। তবে সাতক্ষীরা জেলার কোনো জায়গায় তার বাড়ি এবং শৈলকুপায় কোন আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তা জানা যায়নি।দুপুর আড়াইটার দিকে গড়াই পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস দ্রুত গতিতে যশোর থেকে ঝিনাইদহের দিকে আসছিল। পথে কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকল এলাকায় পৌঁছালে সামনের দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে অতিক্রম করছিল। এ সময়ই কাটা পড়ে সুফিয়ার ডান হাত। সুফিয়া তার ডান হাত জানালার বাইরে বের করে রেখেছিলেন। ট্রাকের ঘর্ষণে তা কেটে পড়ে যায়। কাটা হাতটি রাস্তায় থ্যাঁতলানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে এক নারীর রক্তমাখা কাটা হাত পেয়েছি। তবে আশপাশের এলাকায় খোঁজ নিয়ে আহত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, আহত ওই নারীকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জোবায়দা বলেন, ‘আহত নারীর ডান হাত কেটে পড়ে গেছে। এ কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থাও খুবই খারাপ। তাকে উন্নত চিকিৎসা জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’
বাস শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
ঝিনাইদহ :: বাস শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে সড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত ঝিনাইদহের সকল রুটে যান চলাচল বন্ধ ছিল। শ্রমিকরা জানান, বুধবার বিকেলে শহরের পুরাতন হাটখোলা স্ট্যান্ডে একটি বাসের সুপারভাইজারকে মারধর করে ইজিবাইক চালকরা। এরই প্রতিবাদে সকালে শহরের চুয়াডাঙ্গা ও আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়াসহ ৪ রুটে যানচলাচল। এত চরম ভোগান্তীতে পড়ে সড়কে চলাচলকারীরা। পরে পুলিশ এসে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীকে গ্রেফতারের আশ^াস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বাস শ্রমিকরা।
ঝিনাইদহে ফিল্মি স্টাইলে জমি দখল
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মিয়াকুন্ডু গ্রামে ফিল্মি স্টাইলে এক ব্যক্তির ৩ বিঘা জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালী ওই ভূমিদস্যুরা। জানাযায়, মিয়াকুন্ডু গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে উলফাৎ হোসেন, মৃত আসাদুর রহমানের ছেলে মেহেদি হাসান লিপু, জাহিদুর রহমান মিয়াকুন্ডু গ্রামের মাঠে পৈতৃক সুত্রে পাওয়া জমি দির্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিল। হঠাৎ গতকাল সকালে ওই গ্রামের ভূমিদস্যু মওলা বক্স ও তার ছেলে ইরাক আলী, হারুন, ওয়ালিদ হোসেন, মিটুল হোসেন, নজরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সোলাইমান হাসুয়া, রামদা, লাঠি দিয়ে ২৬৫ নং মৌজার জমিতে হাজির হয়। তারা জমির আইলে (সিমানা) দাড়িয়ে জমিতে নিজেদের মালিকানা স্বত্ব রয়েছে দাবী করে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে চলে যায়। একে একে তারা ওই ৩ জনের জমি জোরপুর্বক দখল করে নেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বাঁধা দিলে তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। ভুক্তভোগী মেহেদি হাসান লিপু বলেন, হঠাৎ করে তারা জমি দখল করে নিয়েছে। আমরা বছরের পর বছর ধরে জমি ভোগ করে আসছি। কিন্তু তারা ফিল্মি স্টাইলে আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে। জমিতে যদি তাদের ভাগ থাকে তাহলে স্থানীয় ভাবে বসে সমাধান করে নিবে বা আইনের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিবে। এভাবে সন্ত্রাসী স্টাইলে জমি দখল করল তারা। আমরা জমিতে গেলে আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এঘটনায় উলফাৎ হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ্যঃ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্ত মওলা বক্সের ছেলে মিটুল হোসেন বলেন, জমিজমার বিষয় আমি কিছু জানিনা। উলফাৎ হোসেন আমাদের নামে সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহে ২২ ঘন্টা পর অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হলেন প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক
ঝিনাইদহ :: সমস্যা সমাধানের ফলপ্রসূ আলোচনার আশ^াসে ২২ ঘন্টা পর মুক্ত হলেন প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা: শুখেন্দু শেখর গায়েন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে তিনি মুক্ত হন। বুধবার দুপুর ২ টা থেকে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারী কলেজে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা শিক্ষার্থীদের। তারা জানায়, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রি প্রদানের দাবিতে গত কয়েকদিন যাবত সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানতে বুধবার দুপুরে ডা: শুখেন্দু শেখর গায়েন কলেজে এলে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। আগামী ২০ জুন ঢাকায় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, শেরে বাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের ত্রি-পক্ষীয় আলোচনার আশ^াস দিলে তাকে মুক্ত করে শিক্ষার্থীরা। মুক্ত হওয়ার পর ডা: শুখেন্দু শেখর গায়েন বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবি করছে তা যৌক্তিক। আমি খুলনায় গিয়ে ডিজি মহোদয়কে লিখিত ভাবে জানাবো। সোমবার বৈঠক হওয়ার কথা হয়েছে। আশা করছি এর সুষ্ঠু সমাধান হবে। উল্লেখ্য, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রির বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি হলেও বিএসসি ভেট সাইন্স এবং এ এইচ ডিগ্রি প্রদান করছে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে থাকা ডিভিএম ডিগ্রির দাবীতে কর্মসূচী পালন করে আসছে তারা।