রবিবার ● ২৭ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নবীগঞ্জে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা
নবীগঞ্জে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৬ পালন করা হয়েছে৷ ২১ বার তোপাধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সুচনা, কুচকাওয়াজ, ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও মুক্তিযুদ্ধ, স্বধীনতা ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা৷ দুপুরে উপজেলা মিলানায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোম্মদ মাসুম বিল্লাহর সভাপেিত্ব এবং শিক্ষক শামীম আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু ৷ এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল,সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ রথীন্দ্র চন্দ্র দেব, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা নুর উদ্দিন, উপজেলা জাসদের সভাপতি মোঃ আব্দুর রউফ, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ডাঃ শাহ আবুল খয়ের, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মৌলদ হোসেন কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এডঃ গতি গোবিন্দ দাশ, কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা বিজয় ভূষন রায়, নবীগহ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি প্রভাষক উত্তম কুমার পাল হিমেল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহবায়ক গৌতম কুমার দাশ, ডাঃ নিয়ামুল ইসলাম চৌধুরী৷ এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন৷ অনুষ্টানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন ইমাম আব্দুল করিম, গীতা পাঠ করেন অবঃ শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র কুমার দাশ৷
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু বলেন,বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না৷ আর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন দেশের সূর্য সন্তান৷ তাদের অবদান দেশবাসী আজীবন স্নরন রাখতে হবে৷ যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটুক্তি করে তাদেরকে সবাই ধিক্কার জানিয়ে প্রত্যাখান করতে হবে৷
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী বলেন, দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান কোন ভাবেই লুকিয়ে রাখা যাবে না৷ ইতিহাস তার প্রমান দেবেই৷ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ কিন্তু সুভাগ্যবশত আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেচেঁ থাকায় দেশে আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে৷ তাই ইতিহান বড়ই কঠিন৷ তাকে ইচ্ছা করলেই দমিয়ে রাখা যায় না৷