রবিবার ● ১৯ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদায় দ্বিতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদায় দ্বিতীয় দফায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ
আমির হামজা, স্টাফ রিপোর্টার :: একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদায় দ্বিতীয় দফায় মাছের ডিম সংগ্রহ করছে সংগ্রহকারীরা। গত বৃহস্পতিবার ১৬ জুন রাতে থেকে ১৭ জুন বিকাল পর্যন্ত কয়েক শত নৌকা নদীতে নোঙ্গর করে জাল পেতে ডিম সংগ্রহ করছে। নদীর মাদার্শা রামদাশ হাট, আমতুয়া, নাপিতেরঘাট, আজিমেরঘাট, কাগতিয়া, গড়দুয়ারার বাঁকে ডিম সংগ্রহকারীদের উৎসবমুখর পরিবেশে ডিম সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। ডিম সংগ্রহের এই ধারাবাহিকতা সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারে বলে অনেকেই জানিয়েছে। হালদা নদী ও মা মাছের গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড.মঞ্জুরুল কিবরিয়া সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত হালদার বিভিন্ন পয়ন্টে অবস্থান করে ডিম সংগ্রহকারীদের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেছেন উপজেলা প্রশাসন, নৌপুলিশ ও নদীতে কাজ করে আসা এনজিও সংস্থা আইডিএফ এর কঠোর নজরধারীর মধ্যে বিগত এক বছর থেকে মাছ চোরদের উৎপাত বন্ধ রয়েছে। একারণে নদীতে প্রচুর মা মাছের বিচরণ রয়েছে। এই বিশেষজ্ঞের ধারণা এবার মৎস্যজীবিরা কাংঙ্খিত ডিম সংগ্রহ করতে পারবে। নদীর পাড়ে অবস্থানকারী আইডিএফর এর কর্মকর্তা শাহ আলম বলেছেন বর্ষণের নদীর স্রোতের বাড়ার সাথে মা মাছের ডিম দেয়ার পরিমানও বাড়ছে। পর্যাপ্ত ডিম সংগ্রহের কথা জানিয়েছে নদীতে জাল পেতে ডিম সংগ্রহকারী গড়দুয়ারার কামাল সওদাগর।
রাউজানে ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানের খাল নালা পরিষ্কার করার কারণে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা বন্যামুক্ত থাকলেও পার্ব্বত্য অঞ্চল থেকে নেমে আসা পাহাড়ী পানির স্রোতে উপজেলার নিন্মাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ১৮ জুন শনিবার সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পানির চাপে বেরুলিয়া এলাকায় ডাবুয়া খালের পাড় ভেঙ্গে মানুষের বাড়ি ও দোকান ঘরে হাঁটু পানি ডুকেছে। পৌর সদরের থানা রোডে হাঁটু পানিতে মানুষ চলাচল করছে। রাউজান সদর ইউনিয়নের কেউটিয়া এলাকার একটি খালের পাড় ধসে পানির স্রোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভেসে গেছে বহু পুকুরের মাছ। হাফেজ বজলুর রহমান সড়কে নির্মাণাধীণ একটি সেতুর এপ্রোচ রোড ভেসে যাওয়ায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে শনিবার দুপুরে বজ্রপাতে উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের আবাসিক গ্যাস লাইনের মিটারে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টার পর স্থানীয়রা আগুন সৃষ্ট আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে বৃষ্টির পানির সাথে খাল, নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিম গুজরা, নোয়াপাড়া, উরকিরচর, বিনাজুরী ইউনিয়নের নিচু এলাকা ডুবেছে। গ্রামীণ রাস্তার উপর দিয়ে পানি গড়াচ্ছে। উপজেলায় ক্ষতিক্ষতি সর্ম্পকে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ সিকদারকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।