বৃহস্পতিবার ● ২৩ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » তথ্যপ্রযুক্তি » ময়মনসিংহকে শিক্ষা নগরী থেকে প্রযুক্তি নগরীতে রূপ দিতে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্ক হচ্ছে : পলক
ময়মনসিংহকে শিক্ষা নগরী থেকে প্রযুক্তি নগরীতে রূপ দিতে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্ক হচ্ছে : পলক
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘ময়মনসিংহকে আজ শিক্ষা নগরী থেকে প্রযুক্তি নগরী তৈরিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্ক উপহার দিয়েছেন। এই প্রযুক্তির নগরী তৈরি করার জন্য হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
বুধবার ২২ জুন দুপুরে ময়মনসিংহ সদরের কিসমত রহমতপুরে সাত একর জমির ওপর ‘হাইটেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যে ময়মনসিংহকে বোমা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছিল বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী জোট সরকার, সেই ময়মনসিংহকে আজ শিক্ষা নগরী থেকে প্রযুক্তি নগরী তৈরিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা উপহার দিয়েছেন এই হাইটেক পার্ক ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ১৩ বছর আগে প্রযুক্তির কোন কনসেপ্ট আমাদের তরুণদের সামনে ছিল না। ডিজিটাল কর্মসংস্থানের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে দেশে তা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইল্ড। এখানে প্রায় ৩ হাজার জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর ১হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, খুব দ্রুত এই হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আর দুই বছরের মধ্যে এখানে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তরুণ-তরুণীরা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। এই ময়মনসিংহের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার আয় করবে। পাশাপাশি নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।এটাই শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি।
এই ‘হাইটেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ সিটি কপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জাতীয় সংসদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য বেগম মনিরা সুলতানা এমপি ও ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি , বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান,আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ ও জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।