রবিবার ● ২৬ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বিয়েতে রাজি না হওয়াতে রেজাউল পুত্র শাহারিয়ার মিথ্যা মামলায় এলাকা ছাড়া
বিয়েতে রাজি না হওয়াতে রেজাউল পুত্র শাহারিয়ার মিথ্যা মামলায় এলাকা ছাড়া
স্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় চন্দ্রঘোনা থানার শফিপুর গ্রামের মৃত আশ্বেদ আলী তালকদারের পুত্র মো. রেজাউল আলম গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মো. রেজাউল আলম এর কনিণ্ঠ পুত্র মো. শাহারিয়া (২৫) এইচএসসি পাশ করে ডিপ্লোমা-ইন সার্ভে কোর্স সমাপ্ত করিয়া স্থানীয় ১টি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছে।
রেজাউল আলম জানান, একই গ্রামের এসকেন্দর মুন্সীর কণ্যা মাকসুদুর রহমানের স্ত্রী মালেয়েশিয়া ফেরৎ মাকুল বেগম গত ১১ এপ্রিল-২০২২ ইংরেজি তারিখ তারই আপন ছোট বোন হাসির কণ্যা মারিয়া (১৬) এবং মো. রেজাউল আলম এর পুত্র মো. শাহারিয়া (২৫) সাথে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে শাহারিয়ার খালা আম্মা আয়েশা বেগমের বাড়িতে গিয়ে শাহারিয়া (২৫) এর সাথে মারিয়া (১৬) এর বিয়ের প্রস্তাব দেয়। লোকমূখে মাকুল বেগম ও তার ছোট বোন হাসির চরিত্রহীনতার কথা মাদ্রাসার শিক্ষক শাহারিয়া এর পরিবার জানার পর শাহারিয়া এবং মারিয়ার বিয়ের প্রস্তাব নাখোশ করিয়া দেন।
বোনের মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নাখোশ করায় মালেয়েশিয়া ফেরৎ মাকুল বেগম শিক্ষক শাহারিয়ার প্রতি ক্ষুব্দ হয়ে ১৭ মে-২০২২ ইংরেজি তারিখে মাকুল বেগমের মেয়েকে ধর্ষন করিয়াছে বলে ২ জুন-২০২২ ইরেজি তারিখ শিক্ষক শাহারিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে মাকুল বেগম। অভিযোগ পত্রে মাকুল বেগমের দাবি শিক্ষক শাহারিয়ারকে তার মেয়েকে বিয়ে করিতে হবে অন্যতায় ২ লক্ষ টাকা মাকুল বেগমকে দিতে হবে।
মাকুল বেগমের অভিযোগ আমলে নিয়ে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ শিক্ষক শাহারিয়া কে নিজেদের হেফাজতে রাখিয়া শফিপুর গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের মাকুল বেগমের অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়াতে পুলিশ শিক্ষক শাহারিয়াকে ছেড়ে দেয় বলে শাহারিয়ার পিতার দাবি।
তার পরও চন্দ্রঘোনা থানার ওসি তদন্ত মাকুল বেগমের মেয়ের একতরফা ভাবে জবানবন্দি নিয়ে বিষয়টি মামলা হিসাবে রাঙামাটি কোর্টে পাঠিয়ে দেন। যা অত্যান্ত দুঃখজনক ঘটনা।
মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গত ১৬ জুন-২০২২ ইংরেজি শিক্ষক শাহারিয়ার পরিবার রাঙামাটিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সেই সাংবাদিক সন্মেলনে কথিত ভিকটিম (ইসরাত জাহান ফারিয়া) এর পিতা মাকসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন শিক্ষক শাহারিয়ার বিরুদ্ধে যে ধর্ষনে অভিযোগ করা হয়েছে তা ডাহা মিথ্যা এবং বানোয়াট অভিযোগ।
রেজাউল আলম প্রকাশ রেজাউল মাষ্টার আরো উল্লেখ করেছেন, তার পুত্র শাহারিয়ার একজন ৫ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়েন, তার ছেলে শাহারিয়ার লোকলজ্জার ভয়ে এখন এলাকা ছাড়া। তিনি তার ছেলে শাহারিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যহার এবং মাকুল বেগম ও তার সিন্ডিকেটের অপকর্মের তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রশাসনের নিকট।
মুঠোফোনের মাধ্যমে এবিষয়ে জানতে মামলার বাদি মাকুল বেগমের ফোনে ফোন করা হলে তিনি কোন কিছুই বলতে রাজি হয়নি।
চন্দ্রঘোনা থানায় বাদির অভিযোগ পত্রে সূত্রে জানা যায়, তার মেয়ে বাঙ্গালহালিয়া স্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র ইসরাত জাহান ফারিয়া (১৩), ঘটনার দিন তিনি তার কাজে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান, বাড়িতে একা পেয়ে বিবাদী তার মেয়েকে ধর্ষন করেছেন।
এবিষয়ে চন্দ্রঘোনা থানার এসআই মামলার তদন্তকারী (আইও) মাহাফুজুল ইসলাম জানান, চন্দ্রঘোনা থানার মামলা নং-০১, তারিখ- ০২ জুন-২০২২ ইংরেজি, ধারা- ৯ (১), ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, ভিকটিমের ডাক্তারী পরিক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। আদালতের অনুমতি পেলে বিবাদীর নিকট থেকে জব্দকৃত ডিভাইজ পরিক্ষার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের ল্যাবে পাঠানো হবে।