রবিবার ● ২৬ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বিদ্যালয়ের গ্রধান শিক্ষিকা উঁকুন তোলেন শিক্ষার্থীদের দিয়ে
বিদ্যালয়ের গ্রধান শিক্ষিকা উঁকুন তোলেন শিক্ষার্থীদের দিয়ে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করলেও যথাযথ তদারকি, শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা, পেশাদারিত্বের অভাব ও অনিয়মে মধ্য দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। যে কারণে স্কুলটির শিক্ষা ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ভেঙ্গে পড়েছে। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে ৪ জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হলেও অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা ধরনের অভিযোগ। প্রধান শিক্ষিকার লম্বা হাতের জোরে সবাইকে ম্যানেজ করে ব্যাকডেটে উপস্থিতির স্বাক্ষর করে দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠনটি। শ্রেনীকক্ষের বেঞ্চের উপর শুয়ে থেকে ছাত্রীদের দিয়ে উকুন তুলা ও মাথা টিপানো তার নিত্য দিনের ব্যাপার। শুধু তাই নয় আরাম আয়েশের জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে হাত পাখার বাতাস করিয়ে নেন এই শিক্ষিকা। এ কাজে কোনো শিক্ষার্থী যদি কথা না শোনেন তাহলে তাদেরকে নানাভাবে ভয় ভীতি ও মানসিক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ ধরনে কাজ যা শিক্ষাবিভাগ বহির্ভূত কর্মকান্ড হিসেবে বিবেচিত হলেও মাাঝে মাঝে স্কুল চলাকালীন সময়ে ঘন্টার পর ঘন্টা স্কুল এরিয়ার মধ্যে গাছের ছায়ায় পাটি বিছিয়ে প্রধান শিক্ষিকা ঘুমিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা আনোনোয়ার ইয়াসমিন বলেন,আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এর কথা আপনি বলছেন তা ঠিক নয়। কেউ হয়তো আপনাকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম আক্তার বানু বলেন, প্রধান শিক্ষিকার এ ধরনের কর্মকান্ড কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায়না। ব্যাপারটি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চয় গ্রহন করব। ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রাথমিক শিক্ষিকার এ ধরনের অনিয়ম করার কোন সুযোগ নাই। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
ঝিনাইদহে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন
ঝিনাইদহ :: পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ঝিনাইদহে আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার সকালে শহরের প্রেরণা একাত্তর চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরসহ সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে পুরাতন ডিসি মুক্তমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকুপা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক কনক কান্তি দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও দিনভর নানা অনুষ্ঠান মালা, আতশবাজি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
ঝিনাইদহে পদ্মা সেতুর আদলে প্রতিকী পদ্মা সেতু দেখতে জনতার ভিড়
ঝিনাইদহ :: স্বপ্নের পদ্মাসেতুর আদলে ঝিনাইদহে তৈরী করা হয়েছে প্রতিকী পদ্মা সেতু। মুল সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শহরের পায়রা চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু’র উদ্যোগে প্রতিকী এই সেতু নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণে সহযোগিতা করেছে, চারু ইভেন্ট এন্ড কনস্ট্রাকশন’র চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নেতা সাগর হোসেন সোহাগ। অবিকল পদ্মাসেতুর আদলে নির্মিত এই সেতু নজর কেড়েছে ঝিনাইদবাসীর। উৎসুক জনতা শহরে এলে ক্যামেরা বন্দি করছেন। তুলছেন সেলফি। নিজের শহরে অবিকল পদ্মাসেতু দেখতে পেয়ে খুশি নি¤œ আয়ের মানুষগুলো। পায়রা চত্বরে পাশে বসে কাজ করা চর্মকার প্রেম দাস বলেন, আমার তোর আর সাধ্য নেই টাকা খরচ করে মাওয়া গিয়ে সেতু দেখব। আমার সামনেই তো এখন পদ্মা সেতু দেখতে পাচ্ছি। আমার খুবই ভালো লাগছে। সামনের পর সেতু দেখতে পেয়ে খুবই খুশি আমি। ঝিনাইদহ কলেজের ছাত্র রিফাত হোসেন বলেন, আমরা তো ঝিনাইদহে পদ্মা সেতু দেখতে পাচ্ছি। অবিকল সেতু তৈরী করা হয়েছে শুনে বন্ধুদের সাথে দেখতে এসেছি। আমার সাথে মনে হচ্ছে আমি পদ্মা সেতুর পাশেই আছি। খুবই ভালো লাগছে। একদম একই রকম দেখতে। জনৈক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, জেলার অনেকে এখানে এসে সেতু দেখছেন। মানুষের মাঝে এক ধরণের উৎসাহ করছে। সেতুর মত অবিকল যেহেতু তাই অনেকেই খুশি। সাগর হোসেন সোহাগ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু প্রতিকী সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি মুল সেতুর আদলে তৈরী করতে। মানুষ যেন এখানে এসে বুঝতে পারে পদ্মা সেতু কেমন। জেলাবাসীকে দেখানোর জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি। উদ্যোক্তা সম্পাদক সাইদুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তা করে দেখান। তার উদাহরণ পদ্মাসেতু। শত প্রতিকুলতা, বাধা-বিপত্তি, বিশ্ব ব্যাংকের ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন তাঁর বাবার মতো আপোষহীন, অটল ও অবিচল। কোন চাপের কাছে তিনি মাথা নত করেননি সেদিন। প্রধানমন্ত্রী কি নির্মাণ করেছেন। তা দেখতে কেমন জেলার অনেকেই কিন্তু এখনও দেখতে পারেননি। যেহেতে আজ (২৫ জুন) উদ্বোধন করা হয়েছে তাই যেন জেলাবাসীও একই সাথে সেই অনুভূতি অনুভব করে। এ জন্যই প্রতিকী এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
ঝিনাইদহে ট্রাকের নিচে ঝাপ দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারের আখ সেন্টারের সামনে (ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে) চুয়াডাঙ্গাগামী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পারভীনা (৩৮) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত পারভীনা বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী। তার ৬ মাস বয়সীসহ ৩টি সন্তান রয়েছে। পারভীনা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্বজনরা। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিহত পারভীনার পিতা মুনতাজ আলী জানান, তার মেয়ের পরিবারে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। তিনি কয়েকদিন আগেও মিমাংশা করে দিয়ে আসছিলেন। আজ সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসে মৃত্যুর কথা জানতে পারেন।