মঙ্গলবার ● ২৮ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » প্রাথমিক উপবৃত্তির টাকা পেতে চরম ভোগান্তি
প্রাথমিক উপবৃত্তির টাকা পেতে চরম ভোগান্তি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি ভাতাভোগী শিক্ষার্থীদের টাকা তোলা নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরকার মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ১০০০ টাকা জন প্রতি উপবৃত্তি ভোগীদের “কিডস এলাউন্স” হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ২০২০ সালে। বর্তমানে এই টাকাটি ওঠাতেই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তারা। পূর্বে উপবৃত্তির টাকা শিওর ক্যাশের মাধ্যমে দেওয়া হলেও পরবর্তীতে ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং “নগদ” এর মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নগদ এর মাধ্যমে উপবৃত্তির এই টাকা অভিভাবকদের হাতে পৌঁছানোর পূর্বে অনেকেই প্রতারনার শিকার হন। রফিকুল আলম নামের এক অভিভাবকের জানান, উপবৃত্তির টাকা প্রদান করবে এই মর্মে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে একজন আমার ওটিপি নাম্বার চান, আমি সরল মনে তা দেয়। পরবর্তীতে জানতে পারলাম আমার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সে উপবৃত্তির টাকা তুলে নিয়েছে। কবির হাসান রিমন নামে কালীগঞ্জের একজন নগদ এজেন্ট জানান, নগদ-এ উপবৃত্তির টাকা পাঠানোর সময় উত্তোলনের পিন নম্বর মেসেজে দেওয়া হয়নি। এতে টাকা তুলতে পারছেন না তাঁরা। কারও পিন নম্বর জানা থাকলেও, তা সঠিক নয় বলে ফিরতি মেসেজ আসছে। পিন নম্বর পুনরায় দিতে (রিসেট) গেলে শেষ ৩ মাসের লেনদেনের মোবাইল সিম নম্বর জানতে চায়। কিন্তু অনেকের নগদ অ্যাকাউন্টে কোনো লেনদেন করা হয়নি। তাই বিকল্প প্রস্তাবে (অপশন টু) গেলে ‘সামথিং ওয়ান্ট রং, প্লিজ কল ১৬১৬৭ ফর ইনফরমেশন’ দেখাচ্ছে। কিন্তু ওই নম্বরে বহুবার চেষ্টা করেও কল যায় না, ব্যস্ত দেখায়।এই ধরনের হাজারো অভিযোগের ভিত্তিতে নগদ একাউন্টে উপবৃত্তির টাকা দেওয়া সরকার একবার বন্ধ ঘোষণা করে। প্রতারনা থেকে বাঁচতে এখন থেকে ইফটি অফিসের মাধ্যমে অনলাইনে অভিভাবকের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। এজন্য মুজিববর্ষের কিডস এ্যালাউন্স এর টাকা পুনরায় নগদের মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আর তখনি হয়রানি ও বিড়াম্বনার শিকার হন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের নগদ হিসাবের পিন নাম্বার আর কাজ করছে না। নতুন করে পিন নাম্বার চেঞ্জ করে ২৪ ঘন্টা পরে টাকা তোলা যাচ্ছে। অভিভাবকদের নিজ নিজ পিন নাম্বার অটোমেটিক কিভাবে চেঞ্জ হলো? এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক নগদ এজেন্ট নতুন পিন নাম্বার করে দেওয়ার কথা বলে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কেটে নিচ্ছেন অভিবাবকদের হিসাব থেকে। এ ব্যাপারে নগদের ঝিনাইদহ জেলার টেরিটরি অফিসার রেজাউর রহমান জানান,অভিবাবকদের হিসাবের পিন রিসেট করার কারণ হলো ঐ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে যেন কেউ টাকা উত্তোলন করতে না পারে। এজন্য প্রাথমিক ভাবে অভিভাবকরা কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হলেও প্রতারিত হবেন না। তবে আমরা দ্রুতই এর সমাধানের জন্য প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারের অধিক পিন রিসেট এর রিকুয়েষ্ট পাঠাচ্ছি অভিভাবকদের নিকট। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেলিনা বেগম বানু বলেন,ব্যাপারটা আমরাও শুনেছি এবং এটা জাতীয় ইস্যু। এ ব্যাপারে আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মিটিং হয়েছে। মিটিং এর সদ্ধান্ত অনুয়ায়ি সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রাথমিকে অভিভাবকদের কিডস এ্যালাউন্স এর টাকা প্রাপ্তিতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে,যা দুঃখজনক। এটা শুধু কালীগঞ্জের সমস্যা নয়। অভিভাবকদেরকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। বৃত্তির টাকা যে মোবাইল একাউন্টে যায় সেটা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণেই মনে হয় এমনটি হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে আরও ভালো বলতে পারবেন মোবাইল ব্যাংকিং “নগদ” এর কর্তৃপক্ষ।
সৃজনী বাংলাদেশ এনজিওর চেয়ারম্যান হারুন অবৈধ গুলিসহ ঢাকায় গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের সৃজনী এনজিওর নির্বাহী পরিচালক ও চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ অবৈধ গুলিসহ ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩টি নাইন এম এম পিস্তলের অবৈধ গুলি। সৃজনী এনজিও সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শাহাজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে থেকে সৃজনীর চেয়ারম্যান হারুন নভো এয়ারের একটি বিমানে ঢাকা থেকে যশোরে আসার জন্য ইমিগ্রেশন অতিক্রম করছিলেন। এ সময় তার কাছে বৈধ পিস্তলের সঙ্গে ৬টি বৈধ গুলি ও তিনটি অবৈধ গুলি পাওয়া যায়। সরকারীদলের ভুইফোড় সংগঠন বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি বাঁচার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি অবৈধ গুলি রাখার দায়ে আটকে যান। প্রধানলাইসেন্স করা অস্ত্রের সাথে অবৈধ গুলি রাখার দায়ে শাহ জালাল বিমান বন্দর থানা তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর দুইদিন পুলিশ রিমান্ড শেষে রোববার দুপুরে তাকে ঢাকা সিএমএস আদালতে হাজির করা হয়। বৃহস্পতিবার হারুন গ্রেফতার হলেও চারদিন তার গ্রেফতারের খবর ধামাচাপা রাখে সৃজনী এনজিও। এদিকে হারুনকে গ্রেফতারের স্বীকার করেছেন শাহাজালাল বিমান বন্দর থানার এস আই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজাদুর রহমান। তিনি জানান হারুনের কাছে অবৈধ ৩ রাউন্ড গুলি ছল। বন্দর থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন সৃজনী এনজিওর চেয়ারম্যানকে বিশেষ ক্ষমাতা আইনে অস্ত্র মামলায় আদালতে চালান দেয়া হয়। বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে রোববার জেলহাজতে প্রেরন করেন।
ঝিনাইদহে মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহ :: জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেছেন, এই সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে বানভাসি মানুষের প্রতি তাদের গুরুত্ব নেই। সিলেটবাসি পানি ডুবছে। তাদের পেটে ভাত নেই। অথচ হাসিনা সরকার বিএনপির সময় করা পদ্মাসেতু নিয়ে উৎসব করছে। বন্যাত্ররা না খেয়ে থাকলেও কোটি কোটি টাকা পদ্মাসেতু উৎসবে খরচ করছে। বাজি ফুটিয়ে আনন্দে মেতে উঠছে। তিনি বলেন এই সরকার প্রশাসন ও আমলাদের ক্যু করা সরকার বলেই আজ আমলাদের বেতন বাড়ে। তারা বৈশাখী ভাতা পায়। অথচ জনগন আজ অবহেলিত। দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ চিড়েচ্যাপ্টা হচ্ছে। কৃষক ফসলের মুল্য পাচ্ছে না। সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে নিজেদের লুটপাটের দায় জনগনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। তাই এই ভোট চোর সরকারকে আর এক মুহুর্তে দেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আফরোজা আব্বাস সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের ঝিনাইদহ আহবায়ক অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজির সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড, এম এ মজিদ, কেন্দ্রীয় নেত্রী এ্যাড নেওয়াজ হালিমা আরলি, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, আকতারুজ্জামান, মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, এ্যড শামছুজ্জামান লাকি, সাজেদুর রহমান পাপপু, ফিরোজা বুলবুলি কলি, তছলিমা খাতুন ছন্দা, ফারিয়া আক্তার ও মহিলা দল নেত্রী তহুরা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আফরোজা আব্বাস বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধিন নির্বাচন দিয়ে দেখেন জনগণ কাকে ভোট দেয়। এ সরকারের আমলে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। কথা বললেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, ভোট চোর, গণতন্ত্র হত্যাকারী এই সরকার খুন গুমের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে আজ বিশ্ব থেকে বিচ্ছন্ন। তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের এমপি মন্ত্রীরা লুটপাট করে দেশের সম্পদ সুইচ ব্যাংকে পাচার করেছে। তাদের মুখে এখন সততার বুলি। মানুষ এখন আর কথিত উন্নয়নের ভেজাল বড়ি গিলবে না। সম্মেলনে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলা ও পৌরসভা থেকে বিপুল সংখ্যক নারী যোগ দেন। সম্মেলনকে ঘিরে নেতা কর্মিদের মাঝে বিপুল উৎস্যাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত। দীর্ঘ দেড় যুগ পরে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার লিজিকে সভাপতি, তহুরা বেগমকে সাধারণ সম্পাদক ও ফারহানা রেজা আনজুকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট ঝিনাইদহ জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের কমিটি গঠন করা হয়।.
দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেড হাসপাতালের কাপড় ধোলাই করে কনষ্ট্রাকশন র্ফাম
ঝিনাইদহ :: দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে ঝিনাইদহ আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কাপড় ধোলাইয়ের কাজ দেওয়া হয়েছে একটি কনষ্ট্রাকশন ফার্মকে। এ নিয়ে রোগীদের পাশাপাশি দায়িত্বরত নার্সরা চরম বিপাকে পড়েছেন। হাসপাতালের ময়লা বেডসীট ও বালিশের কভার পরিস্কার করে যথসময়ে সরবরাহ করতে পারছে না ঠিকাদার। অনেক সময় ময়লা বিছানায় রোগীরা রাত যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। শিশু ওয়ার্ডের বেশির ভাগ বিছানায় চাদরের দেখা মেলেনি। সময়মতো পরিস্কার কাপড়চোপড় সরবরাহ করতে না পারায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে রোগী ও তার স্বজনরা নার্সদের প্রতি চড়াও হচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে ১০ ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জরা বিষয়টি তত্ত্ব¡াবধায়ককে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কোন প্রতিকার নেই। নার্সরা জানিয়েছেন, ঠিকাদারের লোকজন রাতের আধারে ময়লা কাপড় নিয়ে যায়, আবার রাতের আধারেই আধাপরিস্কার কাপড় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রেখে যাচ্ছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা বিল্ডিং তৈরী করাসহ নানা প্রকৌশলী যন্ত্রপাতি নাড়াচাড়া করা, সেই তাদের হাতেই সোপর্দ করা হয়েছে হাসপাতালের রোগীদের ময়লা বেডসীট, অপারেশনের গাউন ও বালিশের কভারসহ ২০ আইটেমের কাপড় ধোলাইয়ের কাজ। ফলে রোগীদের জীবন ঝুকির মধ্যে পড়েছে। তত্ত্ব¡াবধায়কের দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, টেন্ডারের মাধ্যমে গত পহেলা এপ্রিল থেকে হাসপাতালের ময়লা কাপড় ধোলাইয়ের কাজ শুরু করেন ঝিনাইদহ শহরের মাওলানা ভাসানী সড়কের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম আর ট্রেডিংয়ের মালিক মোঃ মহিবুল্লাহ। তাকে দরপত্রের ৯ নং শর্ত ভঙ্গ করে কাজ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ৯ নং শর্তে উল্লেখ আছে, ময়লা কাপড় ধোলাইয়ের ক্ষেত্রে দরপত্রদাতার নিজস্ব লন্ড্রির ব্যবসা থাকতে হবে। ঠিকাদার মহিবুল্লার ঘরে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে কোন লন্ড্রির চিহ্ন নেই। ঝিনাইদহ শহরের নয়ন আবাসিক হোটেলের নিচে তার ঠিকাদারী ফার্ম। এদিকে ঠিকাদারী কাজ পাওয়ার পর থেকেই পরিস্কার পরিচ্ছন্নাতা নিয়ে হাসপাতালে শোরগোল ওঠে। হাসপাতালের সিলযুক্ত বেডসীট পাল্টিয়ে ছেড়া ফাটা বেডসীট সরবরাহ করা, ময়লাযুক্ত বেডসীটই আবার পরিস্কার দেখিয়ে সরবরাহ করে নার্সদের বিপদে ফেলে দিচ্ছেন ঠিকাদার। আবার তিনদিন পর পর ময়লা কাপড় ধোলাই করার নিয়ম থাকলেও তা করা হচ্ছে না। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ঠিকাদার মহিবুল্লাহ নিজে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের ঠিকাদারী কাজ করে বেড়ান। তিনি হাসপাতালের ময়লা কাপড় ধোলাইয়ের কাজ করেন না, লোক দিয়ে করান। তার লাইসেন্সে জনৈক ব্যক্তি কাপড় ধোলাইয়ের কাজ করেন। তিনিও ধোলাইয়ের কাজ করেন না। অর্থাৎ তিন হাত বদল হয়ে হ-য-ব-র-ল ভাবে চলছে ধোলাইয়ের কাজ। মেল মেডিসিন ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ ফাহমিদা খাতুন জানান, তারা ময়লা কাপড় নিয়ে চরম বিপদে আছেন। ঠিকাদার ঠিকমতো কাপড় ধুয়ে দিতে পারছেন না। এ নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা অতিষ্ঠ। তাছাড়া রোগীদের জীবনও ঝুকির মধ্যে পড়েছে। একই কথা জানালেন শিশু ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ রাজিয়া খাতুন। তিনি বলেন, হাসপাতালের সিলযুক্ত চাদর পাল্টে ছেড়া ও ফাটা চাদর সরবরাহ করা হয়েছে। সেই চাদর রেখে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেওয়া চাদর ঠিকমতো পাচ্ছি না। ঠিকাদার কাপড় নেওয়া ও সরবরাহ করার কোন নিয়মই মানছেন না। নার্স রাজিয়া খাতুন আরো বলেন, ময়লা কাপড়ের বিষয়ে ১০ ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জরা যৌথ সাক্ষর করে বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ককে জানিয়েছেন। এদিকে শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে বেশির ভাগ বিছানায় চাদর নেই। ধোলাইয়ের জন্য নিয়ে তা আর ফেরৎ দেয়নি। শিশু ওয়ার্ডে ইন্টার্নি করা ম্যাটসের ছাত্র হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতি রোববার ও বুধবার ময়লা কাপড় নেওয়ার কথা। কিন্তু তারা নেয় না। আবার ৪০টি চাদর ময়লা হলে সবগুলো নিয়ে যায়না। পরিস্কারের জন্য ২০টি নিয়ে যায় আর ময়লা চাদর ২০টি রেখে যায়। ফিমেল ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স ও সেচ্ছোসেবী দেলোয়ারা খাতুন ও নুরুন্নাহার অভিযোগ করেন, চাদর ঠিকমতো পরিস্কার হচ্ছে না। রক্তমাখা বেডসীট পরিস্কার বলে চালিয়ে দিচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ফেরদৌস জানান, গত দুই মাসে ঠিকাদারকে প্রায় ৯৫ হাজার টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঠিকমতো ধোলাইয়ের কাজ না করার কারণে তারাও বেশ বিপদে আছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নার্সরা তাদের কাছে অভিযোগ করছেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা বেশ কঠোর। ঠিকাদারকে ইতিমধ্যে তিনবার শোকজ করা হয়েছে। হাসপাতালের ধোলাইয়ের কাজ নিন্মমানের হচ্ছে বলে নার্সরা তাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হতে পারে। এ বিষয়ে ঠিকাদার মহিবুল্লাহ জানান, আমি এ কাজ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে এই কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন হাসপাতালের ধোলাই কাজের সঙ্গে আমি জড়িত নয়।