মঙ্গলবার ● ২৮ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » প্রকৃতি ও পরিবেশ » ক্ষতচিহ্ন রেখে ধীরে ধীরে নামছে বন্যার পানি
ক্ষতচিহ্ন রেখে ধীরে ধীরে নামছে বন্যার পানি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বন্যায় অনেকটা বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন। টানা ৯ দিন ধরে পানিবন্দি ছিলেন এই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষ। এখনো লামাকাজী, খাজাঞ্চি, অলংকারি, রামপাশা, দৌলতপুর, দশঘর ও দেওকলস ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি ছিলেন।
গত মঙ্গলবার থেকে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলেও রাস্তায় রেখে যাচ্ছে ক্ষত। প্রায় ৯ দিনের বন্যার পানির স্রোতে ধসে গেছে বহু বাড়িঘর, রেললাইন, সড়ক আর সেতুর এপ্রোস। ভেসে গেছে গবাদিপশু, পুকুরের মাছ ও সেই সঙ্গে প্রাণ দিতে হয়েছে ৬টি তাজা দেহ। আর বন্যার স্রোতে মায়ের কোল থেকে পানিতে ভেসে গেছে শিশু কন্যা তায়্যিবা। এখনো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন হাজার হাজার দুর্গত পরিবার। তবে এসব পরিবারের মানুষের কপালে একটু খাবার জুটলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে।
জানা যায়, এবারের ভয়াল বন্যায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় সব সড়কই ধসে, ভেঙে ও খাল হয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে জনসাধারণ চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এছাড়াও বন্যার পানির স্রোতে নিচের মাটি সরে গিয়ে রেললাইন ঝুলে রয়েছে। খাজাঞ্চি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে লামাকাজী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে রেললাইন ঝুলে আছে। ফলে শিল্পনগরী খ্যাত ছাতকের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ রয়েছে বিচ্ছিন্ন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, এসব সমস্যা থাকলে তিনি প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বলেছেন জানানোর জন্য। পরে তিনি এলজিইডির কাছে তথ্য জানাবেন বলে জানান।
ক্ষতিগ্রস্থ সকল বন্যার্তদের পূণর্বাসন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বিশ্বনাথে এমপি হানিফ
বিশ্বনাথ :: পাহাড়ি ঢল ও টানাবর্ষণে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বন্যার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি। সোমবার (২৭ জুন) সকালে লামাকাজী পয়েন্টে এলাকার দেড় শতাধিক বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে ত্রাণ (খাদ্যসামগ্রী) বিতরণ তিনি। এর পূর্বে সুনামগঞ্জের ছাতক এবং পরে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা ও ওসমানীনগরে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮১ সালে দেশে আসার পর থেকে সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগেই দেশবাসীর পাশে থেকেছেন, এখনও আছেন। দেশবাসীকে মায়ের মতো ভালোবাসেন বলেই ৮৮ সালের বন্যার সময় আশ্রয় শিবিরে বন্যার্ত মানুষকে নিজ হাতে রুটি বানিয়ে খাইয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাই গণমানুষের নেত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বাধীন সরকারের আসলে দেশের কোন মানুষ ত্রাণের জন্য কিংবা খাদ্যের জন্য কাউকে কষ্ট পাবেন না। ক্ষতিগ্রস্থ সকল বন্যার্তদের পূণর্বাসন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাদের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি পূণনির্মাণের জন্যে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের জনগন সকল দূর্যোগে সবার আগে আওয়ামী লীগকেই কাছে পেয়েছেন, ভবিষ্যতেও পাবেন। আর দেশে কোন দূর্যোগ এলে বিএনপি ঘুমিয়ে থাকে। ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল চট্টগ্রামে হয়ে যাওয়া ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় লক্ষাধিক মারা গেলেও, সেদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে ছিলেন তৎকালীর প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আর ঘুম ভাঙ্গার পর খালেদা জিয়া বলে ছিলেন,‘ যত মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তত মানুষ মরে নাই। এরমানে আরো বেশি মানুষ মারা গেলে তিনি খুশি হতেন।
এটাই ছিল বিএনপির রাজনীতি।’ অন্যদিকে সিলেটে বন্যা হয়েছে শুনেই সিলেটবাসীর কাছে ছুটে এসেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখে গিয়েও তিনি আমাদেরকে পাঠাচ্ছেন আপনাদের খোঁজ-খবর নিতে। এটাই হলো আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আওয়ামী লীগ জনগনের জন্য রাজনীতি করে।
লামাকাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পুলক ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনামুল হক এনাম মেম্বারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, উপদেস্টা মন্ডলীর সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া।
সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সদস্য শাহনুর হোসাইন, লামাকাজী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফয়ছল আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন লামাকাজী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সদস্য হাফিজ আব্দুল হক ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দু পাল।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কবির উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমল আলী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, সদস্য গোলাপ মিয়া, শহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, ডাঃ নাজরা চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আখদ্দুছ আলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, সদস্য মুজিবুর রহমান খান, দবির মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল রব, সমুজ আলী, লালা মিয়া, শহিদ খান আতা, জেলা যুবলীগ নেতা অতুল দেব, উপজেলা যুবলীগ নেতা রুহেল খান, আবুল কাশেম মেম্বার, লামাকাজী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক সিজিল মিয়া, লামাকাজী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফজল হোসেন মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক আকমল হোসেন প্রমুখসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বনাথে বন্যার্তদের মধ্যে আল-ফুরকান ট্রাস্টের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
বিশ্বনাথ :: পাহাড়ি ঢল ও টানাবর্ষণে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নে বন্যার্তদের মধ্যে গতকাল রোববার বিকেলে আল-ফুরকান ট্রাস্টের উদ্যোগে প্রায় ২শত বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
মরহুম হাফিজ মুজাক্কির আলী রহ. এর পরিবারবর্গ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলহাজ্জ্ব খালিছুর রহমান এর আর্থিক সহযোগিতায় দেওকলস ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে ৫ কেজি চাল, ১ লিটার ভোজ্য তেল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ৫০০ গ্রাম লবন, ৫০০ গ্রাম মরিচ, ৫০০ গ্রাম হলুদ, ৫০০ গ্রাম রসুন দেয়া হয়।
আল-ফুরকান ট্রাস্টের বাংলাদেশ শাখার পরিচালক দেওকলস হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ মুহিবুর রহমান সাহেবের সভাপতিত্বে ও দেওকলস জামে মসজিদের মুতায়াল্লী আল-ফুরকান ট্রাস্টের স্থায়ী সদস্য ক্বারী মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন সাহেবের পরিচালনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ৭নং দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খাইরুল আমিন আজাদ।
আরোও বক্তব্য রাখেন, দেওকলস ফুরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সহ-সভাপতি সুবা মিয়া সাহেব, দেওকলস গ্রামের কৃতি সন্তান জাতীয় পার্টি বিশ্বনাথ থানার যুগ্ন আহবায়ক সুমন আহমেদ, লাখন মিয়া, পারভেজ মিয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ মাহমুদুর রহমান।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এলাকার মুরব্বি মুখলিছুর রহমান, আইয়ুব আলী, লুৎফুর রহমান, আওলাদ হুসেন, সুয়েব মিয়া, মুখলিছুর রহমান চৌধুরী, আব্দুস শহীদ, আবিদুর রহমান, মসাহিদুর রহমান, মতিউর রহমান, আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিশ্বনাথে হত্যা মামলার আসামির বাড়ির গেইট-ঘর ভাংচুরের অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে জেলে থাকা হত্যা মামলার প্রধান আসামি আ’লীগ নেতা মাসুক মিয়া (৫০) এর বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বরুনী গ্রামের মৃত জমির আলীর ছেলে। মাসুক মিয়া একই গ্রামের শেখ গয়াছ মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তবে নিহত শেখ গয়াছ মিয়ার পরিবারের উপর কোনো অভিযোগ নেই। সুযোগ নিয়েছে তৃতীয় পক্ষ।
মাসুক মিয়ার স্ত্রী জেসমিন বেগম (৪০) জানান, দীর্ঘদিন ধরে তৃতীয় পক্ষের লোক একই গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম বরুনী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নজির মিয়া (৫৩) এর সাথে রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মাওলানা নজির মিয়া বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। আর ওই মাদ্রাসাটি মাসুক মিয়ার বাড়ির রাস্তার পাশেই অবস্থিত। তার স্বামী মাসুক মিয়া মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে থাকায় বাড়িটি পুরুষ শুন্য হয়ে আছে। আর এই সুযোগে তৃতীয় পক্ষের লোকজন গত ৩ জুন রাতে হামলা করে বসত ঘরের দেয়াল ভাংচুর করে ঘরে ঢুকে প্রায় ৫ভরি র্স্বণালংকার ও নগদ প্রায় ৮০হাজার টাকা লুটপাট করে নেয়।
পরদিন তিনি থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ আমলে নেয়নি। ফলে ১০জুন আবারও মাদ্রাসার সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে মাদ্রাসার পাশে থাকা তাদের বাড়ির প্রধান গেইট ও দেয়াল ভেঙে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মাদ্রাসার বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এই গেইটের ফিলারের রডও কাটা হয়। মুহতামিম মাওলানা নজির মিয়া লন্ডনে অবস্থান করলেও তার ভাড়াটিয়া বরুনী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মুক্তার খান (৫৫) তার দুই ছেলে’সহ গ্রামের প্রায় ১৫/২০জনকে নিয়ে এই ভাংচুর করেন। তবে এই হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মুক্তার খান।
জানতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব হাফিজ মাওলানা শরিফ উদ্দিন বলেন, ঘটনার দু’দিন পূর্বে এই পাশের সিসি ক্যামেরার লাইন কেবা কাহারা কেটে দিয়েছিল। তবে ঘটনার একদিন পর তিনি ক্যামেরা কাজের লোক নিয়ে আবার চালু করেছেন বলে জানান।
জানতে ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিশ্বনাথে বন্যার্তদের মধ্যে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
বিশ্বনাথ :: পাহাড়ি ঢল ও টানাবর্ষণে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর শহরের বন্যার্তদের মধ্যে ‘জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (২৬ জুন) দুপুরে পৌর শহরের শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে শ্রীধরপুর গ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের ২ শতাধিক বন্যার্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী।
জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র আহবায়ক অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও রামাপাশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতিনের পরিচালনায় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)’র সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক ডা. বাছিরুল ইসলাম টিপু, ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন প্রমুখ।
বিশ্বনাথে বন্যার্তদের মাঝে মুক্তার আলী ফাউন্ডেশনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
বিশ্বনাথ :: পাহাড়ি ঢল ও টানাবর্ষণে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে মুক্তার আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (২৬ জুন) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চাউলধনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে ওই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মুক্তার আলী ফাউন্ডেশনের পক্ষে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, সদস্য আহমদ আলী ইরন। বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, সোয়াবিন তেল ও মোরগের মাংস।
বিশ্বনাথে বন্যার্তদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবক লীগের খাবার বিতরণ করলেন শফিক চৌধুরী
বিশ্বনাথ :: পাহাড়ি ঢল ও টানাবর্ষণে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চী ও দৌলতপুর ইউনিয়নের ৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা বন্যার্ত প্রায় ১ হাজার মানুষের মধ্যে উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী।
উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের নেতৃত্বে পরিচালিত খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, কার্যনির্বাহী সদস্য ও রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ এনামুল হক এনাম মেম্বার, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফয়ছল আহমদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রফিক আলী, সাইফুল ইসলাম, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ সিদ্দিকুর রহমান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুবেল আহমদ, নূরুল ইসলাম, আসাদ আহমদ, আবুল কাহার, আব্দুস সালাম প্রমুখসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বনাথে বন্যার্তদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ
বিশ্বনাথ :: পাহাড়ি ঢল ও টানাবর্ষণে মাসখানেকের ব্যবধানে ফের বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মাসখানেকের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো বন্যা কবলিত বিশ্বনাথে প্রথম দিকে বন্যার্তদের উদ্ধার করার পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করে করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
রবিববার (২৬ জুন) সকালে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চী, রামপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এবং পৌর শহরের পুরাণ বাজার এলাকায় ওই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন সেনা সদস্যরা। এর পূর্বে শুক্রবার (২৪ জুন)’সহ বিগত কয়েক দিনে বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বন্যার্তদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন সেনা সদস্যরা।