বুধবার ● ২৯ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » মধুমাসে সরগরম মৌসুমি ফলের প্রতিটি হাট-বাজার
মধুমাসে সরগরম মৌসুমি ফলের প্রতিটি হাট-বাজার
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: মধু মাস জৈষ্ঠ্যে দৃষ্টিনন্দন বাহারী ফলের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার প্রতিটি এলাকায়। এ বছর মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শেষ দিকে এসে জমজমাট এ উপজেলার মৌসুমি ফলের হাট। গেল দু’বছর কোভিড-১৯ এর কারণে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারেননি। কারণ স্বাস্থ্যবিধির নানা নির্দেশনায় বাজারও ছিল বন্ধ। ক্রেতারাও দেশীয় প্রজাতির ফল ক্রয় করতে পারেননি বাজার থেকে। দীর্ঘদিন পর এখন বাজারজুড়ে দেশীয় প্রজাতির বাহারী ফল আর ফল। এ বছর তুলনামূলক ফলন ভালো হওয়ায় খুশি বাগান মালিকরা। আর দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের ফল পেয়ে ক্রেতারাও আনন্দিত।
ইতিমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আসতে শুরু করেছে অধিক পুষ্টি গুণের দেশী জাতের রসালো আম, কাঁঠাল, লিচু, কালোজাম, জামরুল, গোলফজাম, খেঁজুর, তরমুজ, আনারস সহ প্রায় ২০ জাতের ফল। বহুজাতিক রসালো ফলের সমাগম ঘটে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরুতে, তাই এ মাসটি মধু মাস হিসেবে পরিচিত। জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই মধূ মাসের রসালো ফলে মৌ মৌ ঘ্রাণে ছেয়ে গেছে বাজার।
জৈষ্ঠ্যে মাসে গরমের তীব্রতা বেশি হলেও রয়েছে প্রকৃৃতির নানা আয়োজন। জৈষ্ঠ্য মাস মানেই ফলমূলের ছড়াছড়ি। এক দিকে জ্যৈষ্ঠের তাপদাহ, অন্যদিকে শিশু থেকে বৃদ্ধরা পর্যন্ত মন জুড়ানো রসালো ফলের স্বাদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। জ্যৈষ্ঠ মাসে এসব রসালো ফলের আনাগোনা গ্রীষ্মের বিদায় বেলায় যেন ক্লান্তি আর সুখের মিলনমেলায় পরিণত হয় সব বয়সীদের জন্য।
বাজারজুড়ে দৃষ্টিনন্দন জিভে জল আনা স্বাদের নানা জাতের মৌসুমি পাকা ফল। এ বছর মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শেষ দিকে এসে জমজমাট এ জেলার মৌসুমি ফলের হাট। গেল দু’বছর কোভিড-১৯ এর কারণে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারেননি। কারণ স্বাস্থ্যবিধির নানা নির্দেশনায় বাজারও ছিল বন্ধ। ক্রেতারাও দেশীয় প্রজাতির ফল ক্রয় করতে পারেননি বাজার থেকে। দীর্ঘদিন পর এখন বাজারজুড়ে দেশীয় প্রজাতির ফল আর ফল। এ বছর তুলনামূলক ফলন ভালো হওয়ায় খুশি বাগান মালিকরা। আর দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের ফল পেয়ে ক্রেতারাও আনন্দিত। চাষিরা নিজ বাগান থেকে পাকা ও আধ পাকা নানা জাতের ফল সংগ্রহ করে গাড়ি বোঝাই করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন স্থানীয় বাজারে।
হীমসাগর, ল্যাংড়া, কালোয়া, গুটিয়া, আম রূপালী, সিন্দুরীসহ বিভিন্ন জাতের আম পাওয়া যায় এ সময়। এ আমের মধ্যে ল্যাংড়া ও হীমসাগর আমের কদর যেন একটু বেশি।
লিচু- আমের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির লিচুু। তবে দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা অনেক বেশি। এ লিচু রসালো ও মিষ্টি, তাই সকলেরই প্রিয়। দিনাজপুরী বোম্বাই লিচু লোকমহলে সবথেকে জনপ্রিয়।
কাঁঠাল- জাতীয় ফল কাঁঠালের চাহিদাও কম হয়না এই মাসে। জাতীয় ফল বলে কথা, তাই উৎপাদনেও ঘাটতি নেই কাঁঠালের। রসালো মিষ্টি কাঁঠাল ইতিমধ্যেই এসেছে বাজারে, তবে সীমিত আকারে। ১৫/২০ দিন পর অধীক হারে পাওয়া যাবে এটি। এখনো না পাকায় কাঁঠালের সরবরাহ কম।
জাম- কালোজাম গ্রীষ্মকালীন অন্যতম সুস্বাদু ফল। টক মিষ্টি এই ফলটি বেশ জনপ্রিয়। জাম বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ এবং স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। এর মিষ্টি রসালো স্বাদ ছোট বড় সবার খুব প্রিয়। জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝিতে জাম পাওয়া যায় সবথেকে বেশি।
তরমুজ- মৌসুমি ফলের মধ্যে আম আর লিচুর চাহিদা একটু বেশি হলেও গরমে তরমুজের অবস্থান শীর্ষে। ক্লান্তি দূর করে শরীরকে ঠান্ডা আমেজ দিতে মিষ্টি রসালো তরমুজের জুড়ি নেই।
অন্যান্য- আম ও লিচুর মত প্রধান প্রধান ফলের পাশাপাশি এই মধু মাসে পাওয়া যায় জামরুল, গোলফজাম, খেঁজুর, আনারস, তাল, ডাব সহ আরো অনেক সুস্বাদু ফল।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে কর্মশালা
আত্রাই :: নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ২৮ জুন সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে ইউএনও ইকতেখারুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম, ওসি তদন্ত লুৎফর রহমান, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল, নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন, হিসাব রক্ষক রায়হান সরদার, সহকারী প্রসিকিউটর সোহেল রানা, সহকারী উপ-পরিদর্শক আল আমিন, ওয়্যারলেস অপারেটর আলী হাসান প্রমুখ। কর্মশালায় ইউনিয়ন ভিত্তিক সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
ক্যান্সার ও হৃদরোগীকে ৪ লাখ টাকা প্রদান
আত্রাই :: নওগাঁর আত্রাইয়ে ক্যান্সার ও হৃদরোগে আক্রান্ত আট জন রোগীকে ৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। ২৮ জুন সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে রোগীর অভিভাবকের হাতে চেক তুলেদেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক, ইউএনও ইকতেখারুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার সাইফুল ইসলাম ও ওসি দতন্ত লুৎফর রহমান।
সমাজসেবা অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁর দপ্তর প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছর ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি, লিভার সিরোসিস, প্যারালাইসিস ও ফালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন। তার ধারাবাহিকতায় আজ তিন জন ক্যান্সার ও পাঁচ জন হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীকে পঞ্চাশ হাজার করে চার লাখ টাকার চেক দেওয়া হলো।