বৃহস্পতিবার ● ৩০ জুন ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » পিতার মৃত্যু ১৯৭১,সন্তানের জন্ম ১৯৭৪ : মিথ্যা তথ্য দিয়ে উত্তোলন করছেন সরকারী ভাতা
পিতার মৃত্যু ১৯৭১,সন্তানের জন্ম ১৯৭৪ : মিথ্যা তথ্য দিয়ে উত্তোলন করছেন সরকারী ভাতা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: আসাদুজ্জামান আসাদ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে সরকারী ভাতা ও রেশন উত্তোলন করছেন। শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে এমন কোন সরকারী সুযোগ সুবিধা নেই যা তিনি ভোগ করছেন না। অথচ তার জন্ম পিতার মৃত্যুর চার বছর পর! বিশ্বাস করুন আর নাই করুন এমন চাঞ্চল্যকর জন্ম তারিখ নিয়ে ঝিনাইদহে শোরগোল শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পিতা ৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হলে কিভাবে ১৯৭৪ সালে সন্তানের জন্ম হয়? আর এই উদ্ভট জন্ম তারিখ নিয়েই মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও রেশন সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন পেশায় ঠিকাদার আসাদুজ্জামান। ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ড সুত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামানের পিতা ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের শহীদ আসনার উদ্দীন বিশ্বাস ১৯৭১ সালের ১৯ আগষ্ট শৈলকুপা এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে নিহত হন। মুক্তিযোদ্ধার আনসার উদ্দীনের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী শাহারবানু ভাতা তুলছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার ১০ সন্তানের মধ্যে এই ভাতার টাকা বন্টন হয়ে যায়। এই ১০ সন্তানের মধ্যে রয়েছেন আসাদুজ্জামান। জাতীয় পরিচয়পত্রে (১৪৯৪৩৫৭৫৫৯) আসাদুজ্জামানের জন্ম তারিখ ১৯৭৪ সালের ১ জুলাই। পিতার নাম রয়েছে কাজী আনসার উদ্দীন। অথচ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রত্যায়ন পত্রে পিতার নাম রয়েছে আনসার উদ্দীন বিশ্বাস। ঝিনাইদহ পৌরসভার ২৯০২ নং ক্রমিকের প্রত্যায়নপত্রেও পিতার নাম আনসার উদ্দীন বিশ্বাস রয়েছে। আসাদুজ্জামান তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নামের আগে কাজী বসিয়েছেন। বিশ্বাস পরিত্যাগ করা হয়েছে। বিশ্বাস পরিবারের সন্তান হয়ে নামের আগে কাজী বসালেও নিজের জন্ম তারিখের মোটা দাগের ভুল তিনি সংশোধন করেননি। অভিজ্ঞদের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জন্ম তারিখ যদি ভুলই হয়ে থাকে, তবে আসাদুজ্জামান জন্ম নিবন্ধন ও পঞ্চম থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত সার্টিফিকেট কেন সংশোধন করেন নি ? এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের দায়িত্বশীল কেও মুখ খুলতে চাননি। বিষয়টি নিয়ে সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কামালুজ্জামান জানান, হয়তো ভুলক্রমে এমনটি হয়েছে। তবে সন্তানের এই জন্ম তারিখ প্রমান করে তার পিতা জীবিত ছিলেন। তিনি বলেন, বিয়ষটি এখন সংশোধন করা খুবই জটিল। এ অবস্থায় সন্তানের ভাতা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আসাদের বড় ভাই আমান উল্লাহ জানান, তার ভাইয়ের ভাতা বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরও স্পর্শকাতর জন্মতারিখ নিয়েই তাকে এখনো ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আসাদুজ্জামান আসাদ অভিযোগ খন্ডন করে জানান, তিনি ১৯৭০ সালে জন্ম গ্রহন করেছেন। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার সময় শিক্ষকরা বয়স কমিয়ে দিয়েছেন। এটা বড় ভুল, যা সংশোধনের চেষ্টা করছি।
খুলনায় ডেকে নিয়ে নড়াইল কর অফিসের নোটিশ সার্ভার মনিরুলকে পিটিয়ে জখম
ঝিনাইদহ :: কর অফিসের নোটিশ সার্ভার মনিরুল ইাসলামকে অমানষিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। মনিরুল ইসলাম ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের মনোহর হোসেন বিশ্বাসের ছেলে। লিখিত এক অভিযোগে জানা গেছে, মনিরুল নড়াইল কর সার্কেলে চাকরী করেন। গত ১৯ জুন খুলনা কর কমিশনার কার্যালয়ের উপকর কমিশনারের ষ্টেনো টাইপিষ্ট মনিরুজ্জামান ফোন করে তাকে খুলনা অফিসে ডেকে পাঠান। পথি মধ্যে কর কমিশনার অফিসের উচ্চমান সহকারী মারুফ আহম্মেদ আবারো ফোন করে তাগাদা দেন। দুই স্থান থেকে খবর পেয়ে তিনি ঘটনারদিন দুপুরে নড়াইল কর অফিস থেকে খুলনায় পৌছান। উপকর কমিশনার (প্রশাসন) এর অফিসে পৌছালে মারুফ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অফিসারের সামনেই মিনরুলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে উপকর কমিশনার (প্রশাসন) অফিস ত্যাগ করেন। তিনি অফিস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চমান সহকারী মারুফ আহম্মেদ, প্রধান সহকারী শেখ রাসেল আহম্মেদ, স্টেনো টাইপিষ্ট কারিমুল, নোটিশ সার্ভার জালাল আহম্মদ ও বহিরাগত কর পরিদর্শক জিল্লুর রহমানসহ ১০/১২ জন মিলে নির্যাতন করতে থাকেন। নির্যাতনের ফলে মনিরুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং তার পরণের জামা কাপড় ছিড়ে যায়। এক পর্যায়ে তার পায়ূ পথে গরম ডিম দেওয়ার জন্য বাজার থেকে ডিম কিনে আনে। মনিরুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে নির্যাতনকারীরা তার কাছ থেকে তিন’শ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়ে পরদিন ছেড়ে দেয়। জীবনের ভয়ে মনিরুল খুলনা বা নড়াইলের কোন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে ২১ জুন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। খুলনায় ডেকে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় তার পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। যে কোন সময় চক্রটি তার জীবননাশ করতে পারে এমন আশংকা করছেন তার পরিবার। এ বিষয়ে নড়াইল কর অফিসের নোটিশ সার্ভার মনিরুল ইসলাম মঙ্গলবার বিকালে জানান, তিনি সুষ্ঠ বিচার ও নির্যাতনকারীদের শাস্তির জন্য বিষয়টি নড়াইল সার্কেলের উপকর কমিশারকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন।
কোটচাঁদপুরে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বালু বোঝাই ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে ইদ্রিস আলী মন্ডল (৮৫) নামে এক বৃদ্ধের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের দুধসারা মসজিদ পাড়ায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯ টার দিকে ইদ্রিস আলী বাইসাইকেলযোগে মাঠে যাচ্ছিলেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত বালু বোঝাই একটি ট্রাক্টর তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সাইকেল আরোহী ইদ্রিস আলী ট্রাক্টরের নিচে পড়ে গেলে চালক তাকে চাকার নিচে পিষ্ট করে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এঘটনায় ট্রাক্টর চালক ফারুক পালিয়ে গেলেও বালু বোঝাই ট্রাক্টর আটক করেছে পুলিশ। ইদ্রিস আলী পৌর শহরের ব্রীজঘাট এলাকার মৃত খোঁদা বক্স মন্ডলের ছেলে।