রবিবার ● ২৭ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » কালীগঞ্জে জুয়ার আসর ও যাত্রা নাটক প্যান্ডেল উচ্ছেদ
কালীগঞ্জে জুয়ার আসর ও যাত্রা নাটক প্যান্ডেল উচ্ছেদ
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: গাজীপুরের কালীগঞ্জে জুয়ার আসর ও যাত্রা নাটক করার জন্য তৈরিকৃত প্যান্ডেল উচ্ছেদ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ৷
২৫ মার্চ শুক্রবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে কালীগঞ্জ থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান চালান ৷
জানা গেছে, কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের উত্তরা ফিলিং স্টেশনের পিছনে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বিনোদনের নামে যাত্রা নাটক ও জুয়ার আসর নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল একটি মহল ৷ সেজন্যে বাঁশ ও অন্যান্য জিনিস দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল ৷ বিষয়টি এলাকার সচেতন মহলের দৃষ্টিতে আসলে তা কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামানকে জানান ৷ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে শুক্রবার ভ্রাম্যমান আদালত ওই স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেন ৷ এসময় ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্টদের না পেয়ে যাত্রা নাটকের প্যান্ডেল ও জুয়ার আসর ভেঙ্গে দেয়া হয় ৷
স্থানীয় ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিকে
বলেন, যুব সমাজ ও এলাকার কথা ভেবে স্থানীয় প্রশাসন তা উচ্ছেদ করায় সমগ্র উপজেলাবাসীর উপকার হয়েছে৷ তা চালু থাকলে বাইপাস এলাকাসহ উপজেলার সর্বত্র চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যেত ৷ এটা যেন কালীগঞ্জের কোথাও চালু না হতে পারে সে ব্যাপারে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন ৷
যাত্রা নাটক ও জুয়ার আসরের পারিচালক আব্দুল জব্বার জানান, গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নিকট অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে৷ তা অনুমোদন হলে অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে ৷
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিকে
বলেন, এলাকার যুব সমাজ এবং উপজেলার আইনশৃঙ্খলার কথা ভেবে ঊধর্্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে তা উচ্ছেদ করা হয়েছে ৷
অপরদিকে বিকেলে একই ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে উলুখোলা বাজার সংলগ্ন বাদশা কমিউনিটি সেন্টারের পাশবর্তী একটি অবৈধ জুতার কারখানায় অভিযান চালান ৷ এ সময় ওই কারখানায় কাউকে না পেয়ে সেটি সিলগালা করে দেন ৷ এছাড়াও তিনি উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নে ঘুরে নির্বাচন আচরণ বহির্ভূত প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রতীকি ভাস্কর্য্য নামিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন৷ পরে তার নির্দেশে প্রার্থীদের কর্মীরা তা সরিয়ে ফেলেন ৷