শিরোনাম:
●   বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক ●   তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ ●   সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’র আত্মপ্রকাশ ●   আত্রাইয়ে জাতীয় যুব দিবস পালন ●   অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সকল উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে ●   রাউজানে আগুনে ৫ দোকান ভস্মিভূত ●   ঘোড়াঘাটে দৈনিক সকালের বাণীর ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   রাঙামাটিতে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   ছেলেকে ফিরে পেতে এক মায়ের আকুতি ●   কাউখালীতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য অপহরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   মিরসরাইয়ের বিএনপি নেতা হত্যার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ গ্রেফতার ●   আত্রাইয়ে নবাগত ইউএনও‘র যোগদান ●   খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র সড়ক অবরোধ পালিত ●   মিরসরাইয়ের ধুমে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ●   কুষ্টিয়াতে আাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়ারুল হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার-২ ●   নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ●   সবার জন্য ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চিত করতে হবে ●   ঘোড়াঘাটে জমিজমা বিরোধে মা ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ●   ঈশ্বরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১ : আহত ২ ●   তারল্য সংকটে ন্যাশনাল ব্যাংক, সিলেটের শিবগঞ্জে ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তালা ●   খাগড়াছড়িতে তিন ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা : অবরোধের ডাক ●   বারইয়ারহাট থেকে বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ●   গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানেরও সংস্কার জরুরী ●   তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় উন্নয়ন কাজে বন্ধ্যাত্ব বিরাজ করছে ●   রাঙামাটিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনার ●   ঈশ্বরগঞ্জে উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ●   উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ●   নবীগঞ্জে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, উত্তপ্ত শহিদ কিবরিয়া চত্বর,মহাসড়ক অবরোধ
রাঙামাটি, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
রবিবার ● ৩ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ইউপিডিএফ এর দেয়া ৮৭টি দাবিতে ‘শান্তি চুক্তি’র প্রস্তাবে কি আছে ?
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » ইউপিডিএফ এর দেয়া ৮৭টি দাবিতে ‘শান্তি চুক্তি’র প্রস্তাবে কি আছে ?
রবিবার ● ৩ জুলাই ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইউপিডিএফ এর দেয়া ৮৭টি দাবিতে ‘শান্তি চুক্তি’র প্রস্তাবে কি আছে ?

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত চলমান সংলাপ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে সরকারের নিকট দলের দাবিনামা পেশ করেছে।
গত ৯ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার, খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলাধীন ২ নং চেঙ্গী ইউনিয়নের বড়কলক এলাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান শান্তি জীবন চাকমাসহ স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের উপস্থিতিতে এ দাবি হস্তান্তর করা হয়।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) এর পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা মেজর (অবঃ) এমদাদুল ইসলামের কাছে এ দাবিনামা হস্তান্তর করেন।
উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা বলেন, গত শতকের ‘৭০, ৮০ দশকের পার্বত্য চট্টগ্রামের সাথে আজকের পার্বত্য চট্টগ্রামের বিস্তর ফারাক। কিন্তু তারপরও যেন কোন কোন মহলের দৃষ্টিভঙ্গি সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। তারা ৭০, ৮০ দশকের চোখ দিয়ে বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেখতে চাইছেন এবং সেইভাবে মূল্যায়ন করছেন। কিন্তু এটা স্পষ্টতই ভুল। আমাদেরকে অবশ্যই এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। কারণ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটা বলা যায় প্রথম ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।’
মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর এমদাদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। তিনি ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট চুক্তি আকারে পেশকৃত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) এর দাবিনামা এবং তার যৌক্তিকতা’ সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আপনি যেমন শুনেছেন, আমিও শুনতে পাচ্ছি ৷ অগ্রগতি তখনই বলি, যখন একটা কিছু হয় ৷ এটা এখনো লিকুইড স্টেজে৷ একটা কিছু ফর্ম করুক, তারপর বলব৷ যা করার… পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই চেষ্টা করছি৷ পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করছি৷ ”
পাহাড়ে বিদ্রোহ আর রক্তক্ষয় অবসানে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) এর সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার৷
তখন জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএসের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ ছিল পাহাড়িরা৷ কিন্তু চুক্তির বিরোধিতা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ১৯৯৮ সালে প্রসিত বিকাশ খিসার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ইউপিডিএফ৷
এছাড়া পিসিজেএসএস-আওয়ামী লীগ সরকারের চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল নাগরিকের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমূন্নত এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া তরান্বিত করা এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের স্ব-স্ব অধিকার সংরক্ষন এবং উন্নয়নের কথা থাকলেও কিন্তু কৌশলগত ভাবে পার্বত্য অঞ্চলে কয়েকশত বছর ধরে বসবাসকারী বড়ুয়া জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য চুক্তিতে নাম অন্তর্ভুক্ত না করে বৃহত্তর ১টি পার্বত্য অঞ্চলে তাদের বসবাস বা অবস্থাকে অস্বীকার করা হয়েছে এটা পরিস্কার। এছাড়া সাঁওতাল, অহমিয়া ও গুর্খা জনগোষ্ঠীর কথাও চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পার্বত্য চুক্তির পর থেকে প্রতিটি স্থরে এবং রাজনৈতিক ভাবে পার্বত্য অঞ্চল বসবাসরত বড়ুয়া জনগোষ্ঠী বৈষম্যের শিকার এবং বড়ুয়া জনগোষ্ঠীকে পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎখাত করার সুদুর প্রসারী ষড়যন্ত্রের গন্ধ রয়েছে।
পার্বত্য অঞ্চলে মাত্র কয়েক’শ জনের বসবাস পাংখোয়া, লুসাই (মিজু), চাক, খুমি, খিয়াং ও ম্রো জনগোষ্ঠীর জন্য যদি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালেয়ে, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে এবং রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দারবান পার্বত্য জেলা পরিষদে কোটা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে ১টি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বড়ুয়া, সাঁওতাল, অহমিয়া ও গুর্খা জনগোষ্ঠীর কোটা সংরক্ষণ করা যাবে না কেন ? নতুন পার্বত্য চুক্তিতে ইউপিডিএফ এবং আওয়ামী লীগ সরকার নিশ্চয় বিষয়টি আমলে নিবেন।
পার্বত্য চুক্তির পূর্বে পার্বত্য অঞ্চলের বসবাসরত অধিবাসীদের যে রাজনৈতিক অধিকার ছিল চুক্তির পর ২৫ বছরেও আদৌ তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে পারেনি। রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা বা রাষ্ট্র যন্ত্র ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির মুল স্প্রিট থেকে ২০০৭ সালে সড়ে গেছে এবিষয়টি সকলকে বুঝতে হবে। এর পিছনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার, পিসিজেএসএস, ইউপিডিএফ, সকল জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং পাহাড়ের সাধারন জনগণের আরো আন্তরিক হওয়া অত্যান্ত প্রয়োজন।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) যেই ভুল করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল)নিশ্চিয় সেই ভুলটি করবেন না। আশা করা যায় ইউপিডিএফ ২৫ বছরে ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির শুভংকরের ফাকি আমলে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হবেন।
প্রস্তাবে যা আছে :
চুক্তির আকারে পেশ করা ইউপিডিএফের দাবিনামায় আটটি ভাগ আছে৷ ৬৬ পৃষ্ঠার ওই প্রস্তাবে মোট ৮৭টি দাবি এবং প্রত্যেক দাবির যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷
দাবিনামার ভাগগুলো হলো- সাংবিধানিক অবস্থা, সাংবিধানিক আইন ব্যতিত অন্যান্য কতিপয় আইনের রহিতকরণ ও সংশোধন, সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৮৮ এর সংস্কার, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন সমূহের সংস্কার, পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসন, পুনর্বাসন মামলা প্রত্যাহারসহ অন্যান্য বিষয় এবং চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি ও চুক্তি বলবৎকরণ৷
ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে গত কয়েক বছর ধরে চলমান সংঘাতে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত৷
তিনি বলেন ‘‘তারপরও আমরা সহনশীল৷ কীভাবে সংঘাত বন্ধ করে পার্বত্য জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায় সে চেষ্টায় আছি৷ সরকারও আন্তরিকতা দেখাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে৷ কথা বলার অবস্থা তৈরি হচ্ছে৷ তাই সরকারের সাথে ডায়লগে যাওয়ার আগে এই প্রস্তাব৷ ’’
বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের কোনো সংলাপ হলে সব পক্ষের উপস্থিতি প্রয়োজন উল্লেখ করে অংগ্য বলেছেন, ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতির সঠিক সমাধান চাইলে সবাইকে নিয়ে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই৷”





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)