মঙ্গলবার ● ৫ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » শেখ রাসেলে প্রতিবন্ধী স্কুল খুলে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য’র অভিযোগ
শেখ রাসেলে প্রতিবন্ধী স্কুল খুলে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য’র অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শেখ রাসেলের নামের সাথে কথিত দানবীর তরিকুল ইসলাম যৌথ নাম ব্যবহার করে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেছে। শুধু তাই নয়, শেখ রাসেলের ছবির সাথে তার নিজের একটি ছবি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের নামের ডিজিটাল ব্যানার টাঙিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মূলত ২০১০ সালে তরিকুল ইসলাম শমশেরনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সেটি ঠিক মত চালাতে না পেরে ওই একই বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গত দুই বছর আগে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় বলে ঘোষণা করেন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এইসব শিশুদের লেখাপড়ার ব্যাপারে মানুষের আবেগকে পুঁজি করে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছেন। নিয়ম রয়েছে সরকার প্রধান শেখ পরিবারের কোন সদস্যের নাম বা নামের সাথে কোন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করতে হলে ট্রাষ্টি বোর্ডর অনুমোদন নিতে হয়। তবে, সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের কোন অনুমোদন না নিয়েই শেখ রাসেলের সাথে নিজের নাম ও ছবি জুড়ে দিয়েছেন কথিত দানবীর তরিকুল ইসলাম। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে শেখ রাসেল ও দানবীর তরিকুল ইসলাম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে নয় ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ রাসেল ও দানবীর তরিকুল ইসলাম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরকুল ইসলাম জানান, আমি এলাকার প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবন্ধীদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে স্কুলটি চলছে। শেখ রাসেলের নাম ব্যবহারের প্রশ্নে বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে বাণিজ্যের ব্যাপারটাও তিনি অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমতি ছাড়া শেখ পরিবারের নাম ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। নাম ব্যবহারের আগে অবশ্যই অনুমতি নিতে হয়। যদি কেউ ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম বন্যার্তদের পাশে ঝিনাইদহ ব্লাড ব্যাংক ফাউন্ডেশনের এক ঝাঁক পরিশ্রমী স্বেচ্ছাসেবী
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ও কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, পথচারী ও সব শ্রেণী পেশার মানুষ জনেরা যে অর্থ দিয়েছিলেন কিছু ঝিনাইদহ ব্লাড ব্যাংক ফাউন্ডেশন সেচ্ছাসেবীদের হাতে। তারা বেশ কিছুদিন পরিশ্রম করে সকল পেশাদার খেটে খাওয়া মানুষের থেকে ৫ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর জন্য। সেই অর্থ দিয়ে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী ওষুধ পত্র সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস ক্রয় করেন, সেচ্ছাসেবীরা নিজ দায়িত্বে গাড়ি বহন করে যেয়ে তা তাদের হাতে পৌঁছাতে পেরেছেন এবং ঝিনাইদহ ব্লাড ব্যাংক ফাউন্ডেশনের, এক ঝাঁক পরিশ্রমী স্বেচ্ছাসেবী ঝিনাইদহ জেলা সহ দেশের সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তারা বলেন আপনাদের দোয়ায় আমরা যেনো আগামী দিন গুলোতে মানুষের রক্তদান সহ সব ধরনের বিপদে পাশে দাড়াতে পারি।
কালীগঞ্জে গভীর রাতে গ্যারেজের তালা কেটে ৪টি ইজিবাইক চুরি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইজিবাইক চার্জ গ্যারেজের তালা কেটে চারটি ইজিবাইক চুরি হয়ে গেছে। রোববার দিবাগত গভীর রাতে শহরের আয়েশা খাতুন তেল পাম্পের পিছনে অচিন্ত প্রামানিকের গ্যারেজে চুরির ঘটনাটি ঘটে। তবে চুরি হওয়া ইজিবাইক গুলোর মধ্যে সোমবার ভোরে ঝিনাইদহের চুটুলিয়া নামক মোড় থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ইজিবাইক উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় গ্যারেজ মালিক কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যাদের ইজিবাইক হারিয়েছে তারা হলেন, কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামের শুশান্ত চক্রবর্তী, একই গ্রামের জিল্লুর রহমান, ফয়লা মাষ্টারপাড়ার নিমাই দাস, চাপালী গ্রামের রিপন হোসেন। তাদের মধ্যে রিপন হোসেনের ইজিবাইকটি ঝিনাইদহ মহাসড়কের চুটুলিয়া মোড়ে বিকল অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গ্যারেজ মালিক অচিন্ত প্রামানিক জানায়, প্রতি রাতে তার গ্যারেজে কমপক্ষে ১৮ থেকে ২০ টি ইজিবাইক বানিজ্যিক ভাবে চার্জ দেয়া হয়। চার্জ হয়ে গেলে পরদিন সকালে এসে মালিকেরা নিয়ে যান। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে ইজিবাইক গুলো চার্জে বসিয়ে গ্যারেজ তালাবদ্ধ করে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। পরদিন সোমবার সকালে গিয়ে দেখেন সামনের দরজার হুক কাটা এবং ৪টি ইজিবাইক নেই। কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবদুর রহিম মোল্যা জানান, চুরির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশ ইজিবাই গুলো উদ্ধারে জোর অভিযান শুরু করেছেন।
ঝিনাইদহে ৩১০ জন প্রশিক্ষিত যুবক-যুবতীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ
ঝিনাইদহ :: যুবক-যুবতী, হতদরিদ্র নারী-পুরুষ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ঝিনাইদহে ৩১০ জনকে বিনামুল্যে কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শেষে সনদ প্রদাণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের আরাপপুরে বহুমুখী মানবকল্যাণ সংস্থার কার্যালয়ে এ সদনপত্র বিতরণ করা হয়। সংস্থার সেক্রেটারী ও বগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুল’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ সেখ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সংস্থার সভাপতি জোয়াদ আলী বিশ^াস, চুয়াডাঙ্গায় বহুমুখী মানবকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিপুল আশরাফ, সময় সংবাদের রিপোর্টার লোটাস রহমান সোহাগ। এসময় আয়োজকরা জানায়, সম্পুর্ন বিনামূল্যে বহুমুখী মানবকল্যাণ সংস্থা ও সমাজ কল্যান মন্ত্রনালয়ের যৌথ উদ্যোগে ফ্রি কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন এবং ড্রাইভিং কাম অটো মেকানিকস প্রশিক্ষণ কর্মসুচী চলছে। সোমবার ২২০ জনকে কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন ও ৯০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ১৮-৪০ বছর বয়সী কমপক্ষে ৮ম শ্রেনী পাস দুস্থ, বিধবা, হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এ প্রশিক্ষনের আওতায় আনা হয়েছে। ২ মাস মেয়াদী এই কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন প্রশিক্ষণ চলাকালে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, নাস্তা, সনদ দেওয়া হচ্ছে একই সাথে চাকুরির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।