বৃহস্পতিবার ● ৭ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » ঢাকা » বিদ্যুৎ খাতে চুরি - দূর্নীতি - সিস্টেমলস ও সরকারের আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হচ্ছে দেশবাসীকে
বিদ্যুৎ খাতে চুরি - দূর্নীতি - সিস্টেমলস ও সরকারের আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হচ্ছে দেশবাসীকে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন দেশজুড়ে মারাত্মক লোডশেড়িং এ বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের অতিকথন ও আত্মতুষ্টির খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। তিনি দেশে বিদ্যুৎ এর ভয়াবহ ঘাটতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন সরকারের ভুল নীতি, জ্বালানিখাতে চুরি, দূর্নীতি
অব্যবস্থাপনা ও সিস্টেম লসের কারণে আজ বিদ্যুৎ এর এই বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ দম্ভ করে বলে আসছিলেন যে, শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করে লোডশেডিং তারা যাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেবল ইউক্রেনের যুদ্ধ বা আন্তর্জাতিক বাজারের কথা বলে মারাত্মক বিদ্যুৎ ঘাটতির এই দায় এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। তিনি বলেন , বিদ্যুৎ ঘাটতির এই পরিস্থিতি চলতে দিলে শিল্প উৎপাদন থেকে শুরু করে জরুরী সেবাখাতেও বড় সংকট দেখা দেবে।তিনি বিদ্যুৎ খাতে সংকট উত্তরণে জরুরী পদক্ষেপ হিসাবে পার্টির পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত ৮ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন।
১।বিদুৎ খাতে চুরি, দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সিস্টেম লস কমাতে জরুরী ভিত্তিতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২।চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ দিতে না পারলে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসমূহ বন্ধ করে দিয়ে বিশাল অংকের অর্থ সাশ্রয় করা এবং সে অর্থ বিদ্যুৎ পেতে অন্যত্র ব্যয় করা।
৩। জরুরী ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং তার জন্য এই খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ নিশ্চিত করা।দেশের বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সমূহের দ্রুত সংস্কার করে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা।
৪।গ্যাস ও তেল উত্তলনে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এক্ষেত্রে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার প্রদান করা।
৫।রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি পেতে কুটনৈতিক উদ্যোগসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা।উচ্চদামের স্পট মার্কেটকে কেবল শেষ ব্যবস্থা হিসাবেই কাজে লাগানো।
৬। সরকারী - বেসরকারী অফিস,সুপার মার্কেট, পরিবহনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসির সীমিত ব্যবহারসহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা।পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের আলোকসজ্জা বন্ধ করা।
৭। শিল্প উৎপাদন, হাসপাতালসহ জরুরী পরিসেবাসমূহ লোডশেডিং এর বাইরে রাখা।
৮।বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় আশু, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অবিলম্বে জাতীয় কমিশন গঠন করা।
বিবৃতিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আশা করেন সরকার পার্টির প্রস্তাবসমূহ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেবেন এবং সংকট উত্তরণে কার্যকরি পদক্ষেপ নেবেন।