বৃহস্পতিবার ● ৭ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » উন্নয়নের ধারায় বদলে যাচ্ছে বারইয়ারহাট পৌরসভা
উন্নয়নের ধারায় বদলে যাচ্ছে বারইয়ারহাট পৌরসভা
মিরসরাই (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি :: মিরসরাই উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত বারইয়ারহাট পৌরসভা। ২০০০ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এই পৌরসভার ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন বারইয়ারহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম খোকন। ইতিমধ্যে তিনি দায়িত্ব পালনের এক বছর সুনামের সাথে অতিবাহিত করেছেন। স্বল্পসময় দায়িত্বপালনকালে তিনি মিরসরাই উপজেলাজুড়ে আলোচনায় এসেছেন নানা উন্নয়নমুখী কর্মকান্ডের কারণে। তিনি যেসকল কাজ সম্পন্ন করে আলোচনায় রয়েছেন তম্মধ্যে অন্যতম জেলি মেশানো চিংড়ি মাছ জব্দ, মাংস বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেওয়া, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন। এছাড়া অন্যতম কাজের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিন অবহেলিত বারইয়ারহাট পৌরসভা ভবন চালুকরণ, মাইক্রো স্ট্যান্ড মসজিদ নির্মাণ, বাস স্ট্যান্ড, মোটরসাইকেল পার্কিং জোন, সবজি বাজার শৌচাগার নির্মাণ, আধুনিক সবজি সেট নির্মাণ, পৌর মার্কেট নির্মাণ, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে অসহায় নারীকে বসতঘর নির্মাণ, মশক নিধন কর্মসূচী, বারইয়ারহাট কলেজ অবকাঠামো উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন খনন, করোনাকালীন ফ্রি অক্সিজেন সেবা, লাইটিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, রেললাইনে অবৈধ সবজি দোকান উচ্ছেদ, মাস্ক বিতরণ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান। এছাড়া হাসু তোরাব রোড় বিএফএস দ্বারা উন্নয়ন, দানামিয়া সর্দার রোড় বিএফএস দ্বারা উন্নয়ন, কদমতলা মসজিদের পাশের রোড় বিএফএস দ্বারা উন্নয়ন, কাজী আব্দুল মাজেদ রোড় বিএফএস দ্বারা উন্নয়ন, পৌরসভা এলাকায় ইলেকট্রনিক্স সোলার স্ট্রীট লাইট স্থাপন, আজিজ উল্ল্যাহ রোড়ের পাশে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ, লালেবাপের বাড়ীর পাশে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ, খামারবাড়ীর রোড়ের পাশে ড্রেন ও তৃণা কাজী মাজার রোড়ে ক্রস ড্রেন নির্মাণ, বারইয়ারহাট ডিগ্রি কলেজে স্টেইজ নির্মাণ ও মাটি দ্বারা মাঠ ভরাট, ফিরোজা বেগম রোড় ও ড্রেন আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এডিপি ও রাজস্ব খাত থেকে প্রায় দুই কোটি টাকার উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন হয়।
এছাড়া তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ২০২১-২২ অর্থ বছরের ৫৯ কোটি ৭২ লাখ ৪৬ হাজার ৩’শ টাকার ঘোষিত বাজেটে অগ্রাধিকার দিয়েছেন ড্রেনেজ, বাস টার্মিনাল, ময়লা আবর্জনার জন্য ডাম্পিং স্টেশনসহ অসংখ্য প্রকল্প। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পৌরসভার রাজস্ব খাতে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। রাজস্ব প্রদানে বিমুখ পৌরবাসী থেকে এরমধ্যে ৬ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। পৌর এলাকার লাইটিং ব্যবস্থার উন্নীতকরণে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের শীঘ্রই প্রকল্প চালু হবে। চিনকি আস্তানায় আলাদা করে গাড়ির টার্মিনালের কাজ চলছে, পৌর সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
মেয়র রেজাউল করিম খোকন বলেন, আমার ২৬ দফা যে নির্বাচনী ইস্তেহার রয়েছে সেই অনুযায়ী বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। এসব ইস্তেহার বাস্তবায়নে যত বাধা আসুক তা অতিক্রম করে জনগণকে দেওয়া ওয়াদা পূর্ণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এর কোন বিকল্প আমার কাছে নেই। ইতিমধ্যে নানা জনবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কিছু প্রভাবশালীর সমালোচনার শিকার হচ্ছি। তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। আমার গন্তব্যে আমি এগিয়ে যাবো। জনগণ আমার সাথে আছে, থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছি। এই স্বল্পসময়ে আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে পৌরসভার উন্নয়নের জন্য অকাতরে কাজ করে গেছি। বারইয়ারহাট পৌরবাসী ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির সার্বিক সহযোগিতায় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অনেকাংশ সম্পন্ন করেছি। আমি আশা করছি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতির সবগুলো সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো।
উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর আওতাভূক্ত ৩০ কোটি টাকার পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে প্রকল্পটি অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে বারইয়ারহাট পৌরসভা ইতিপূর্বে মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিস প্রজেক্ট (এমজিএসপি) এর আওতাভূক্ত ছিল না, সম্প্রতি এমজিএসপি’র আওতাভূক্ত হয়েছে। আশা করছি বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অধীনে এমজিএসপি’র শত কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পও অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।