শুক্রবার ● ৮ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » জামানতের লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও জিসি ফাউন্ডেশন
জামানতের লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও জিসি ফাউন্ডেশন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে চাকুরী দেওয়ার নামে শতাধিক বেকারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ‘জিসি ফাউন্ডেশন’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। অফিস ফেলে পালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ন করিব। লাপাত্তা সংস্থাটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও। টাকা ও ২ মাসের বেতনের জন্য অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগিরা। ভুক্তভোগীরা জানায়, গত ২৪ মে সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় জিসি ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ। এরিয়া ম্যানেজার, ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক, মাঠ কর্মীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয় শতাধিক বেকার যুবক-যুবতীকে। জামানত বাবদ তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৮ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। নিয়োগকৃতদের দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড। আশ^াস দেওয়া হয় পদ অনুযায়ী ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন। বৃহস্পতিবার সকালে গত ২ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল জিসি ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সকালে সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এসে দেখেন অফিস ফাঁকা। পালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ূন কবির, পরিদর্শক আনিচুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। জামানত আর বেতন-বোনাসের জন্য সকাল থেকে বিকাল অব্দি বসে থাকলেও খোঁজ মেলেনি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তার। সাবরিনা আক্তার শোভা জানান, জিসি ফাউন্ডেশন হিসাব রক্ষক পদে চাকুরী নিতে ৮ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়েছে। অনেক কষ্ট করে টাকা এনে দিয়েছি শুধু চাকুরীর জন্য। প্রায় ৩ মাস চাকুরী করেছি কোন বেতন দেয়নি। আজ ঈদে একবারে বেতন বোনাস দেবে এই আশ্বাস দিলেও তা না দিয়ে পালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ুন কবির। রুবেল হোসেন বলেন, চাকুরী করতে হলে জামানত দেওয়া লাগবে তাই ৭ হাজার টাকা দিয়েছি। এক মাসের বেতনও পাই নাই। আমাদের সাথে প্রতারনা করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জিসি ফাউন্ডেশনের এই প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল সামি বলেন, জিসি ফাউন্ডেশন নামে এমন কোন এনজিও’র অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যদি কেউ প্রতারনার স্বীকার হয় তারা আইনের আশ্রয় নিলে আমরা সহযোগীতা করবো।
পৃথক স্থানে ঝিনাইদহের চারজন নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে পিকআপের ধাক্কায় দুই মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের খয়েরতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, যশোরের চাচড়া এলাকার খয়বার আলী মোল্লার ছেলে ওহিদুজ্জামান (৪০) ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর গ্রামের মকছেদ মল্লিকের লুৎফর রহমান (৫০)। বারবাজার হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মেজবা উদ্দিন জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার খয়েরতলা এলাকায় একটি দশ চাকার বালি বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। বৃহস্পতিবার ভোররাতে যশোরগামী একটি পবদা মাছ বোঝাই পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা লাগে। এ সময় পিকআপের সামনে বসে থাকা দুই মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান ও ওহিদুর রহমান গুরুত্বর আহত হন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে অবস্থার অবনতি হলে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পর পিকআপের ড্রাইভার পালিয়ে গেছেন। তবে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, দুর্ঘটনার ঘটনার সংবাদ শুনে আমরা সেখানে গিয়ে তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে রাজাবাড়ীতে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে মাহেন্দ্র উল্টে দুইজন নিহত হয়েছে । এতে আহত হয়েছে আরো ১ জন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল ৬ টার দিকে রাজবাড়ী শহরের বড়পুলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহ শৈলকুপার নতুন দোহার গ্রামের নজরুল জোয়াদ্দারের ছেলে আজিজুল জোয়াদ্দার (৩০) ও পাশের ডাউটিয়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মতিউর রহমান (৩৫)। প্রত্যক্ষদর্শী আহত সবুজ জোয়াদ্দার বলেন, আমরা রাতে গাজিপুরের কোনাবাড়ি থেকে ঝিনাইদহ বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যই রওনা হয়েছিলাম। ভোরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে বাস থেকে নেমে মাহেন্দ্র গাড়িতে উঠে ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দেই। তখন রাজবাড়ীর বড়পুলে আসলে রাস্তার আইলেনেরসেঙ্গে ড্রাইভার লাগিয়ে দিলে গাড়ি উল্টে যায়। এতে দুইজন নিহত হয় ও একজন মারাৎক ভাবে আহত হয়। তিনি আরো জানান, আমরা গাড়িতে ১০ জন ছিলাম। আমরা সবাই শৈলকুপা থানার বাসিন্দা। রাজবাড়ী সদর থানার এস আই মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। দুইজন নিহত হয়েছে ও আহত একজনকে ফরিদপুর মেডিলে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ফিরছলেন। সবাই গার্মেন্টস কর্মী। মাহেন্দ ও মাহেন্দ চালক আটক রয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।