সোমবার ● ১১ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ প্রচেষ্টা ও গুরুতর জখম করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ
পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ প্রচেষ্টা ও গুরুতর জখম করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান গতকাল রবিবার ১০ জুলাই ২০২২ এক যুক্ত বিবৃতিতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে মো. নূর হোসেন (২২) নামে এক সেটলার বাঙালি দুর্বৃত্ত কর্তৃক দুই সন্তানের জননী এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের প্রচেষ্টা ও হামলা করে গুরুতর জখম করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হচ্ছে নারী ধর্ষণ। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের স্টিমরোলার জারি রাখা হয়েছে। মানিকছড়ির ঘটনাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। নারীরা ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদে নেই।
বিবৃতিতে প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা ও বিচারব্যবস্থার দুর্বলতার কথা তুলে ধরে নেত্রীদ্বয় পার্বত্য চট্টগ্রামে এসকল ঘটনা অহরহ ঘটার কারণ হিসেবে সেনাশাসনের ভয়ানক ফলাফল ও একইসাথে প্রশাসনের নির্বিকার অবস্থানকে দায়ী করেন। তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সাজেকে নারী ধর্ষণ, রামগড় শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষণের প্রচেষ্টা, খাগড়াছড়িতে গণধর্ষণ ও সর্বশেষ ভাইবোনছড়া ইউনিয়নে দেওয়ান পাড়ায় সেনা মদদপুষ্ট মুখোশবাহিনী সদস্য কর্তৃক মারধরের পর গণধর্ষণের ঘটনায় প্রশাসনের কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি। উল্টো এই দুর্বৃত্তদের প্রশাসনের নাকের ডগায় বিচরণ করতে দেখা যায়। বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি চর্চার ফলে দুর্বৃত্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় না। এতে করে পাহাড়ে নারীদের নিরাপত্তা আরো বেশি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।
বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় অবিলম্বে মানিকছড়িতে নারীকে ধর্ষণ প্রচেষ্টা ও জখম করার ঘটনায় জড়িত মো. নূর হোসেনকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আহত নারীর সুকিচিৎসা নিশ্চিত করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নারীদের নিরাপত্তার জোর দাবি জানান। একই সাথে তারা এযাবতকালে সংঘটিত সকল ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ধর্ষক ও দুর্বৃত্তদের বিচারের আওতায় এনে গ্রেফতারপুর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানেরও দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত (শনিবার) দুপুরে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যছোলা ইউনিয়নের আচালং পাড়া এলাকায় মো. নূর হোসেন (২২) নামে এক সেটলার বাঙালি দুর্বৃত্ত দুই সন্তানের জননী এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণের প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে সে লাঠি দিয়ে ওই নারীকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। আহত নারী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হলেও অভিযুক্ত নূর হোসেনকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করেনি।