রবিবার ● ১৭ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » নলছিটিতে তুচ্ছ-ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা-মেয়েকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ
নলছিটিতে তুচ্ছ-ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা-মেয়েকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠি নলছিটিতে তুচ্ছ-ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা মেয়ে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৪ জুলাই বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের পরিষদের পিছনের প্রতাপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার মা (৩৫) ও মেয়ে (২১) বছর বয়সী ওই নারীদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উক্ত গৃহবধূর জামাতা রিপন হাওলাদার বাদী হয়ে নলছিটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
শুক্রবার বিকালে ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয়রা সালিশ মীমাংসার কথা বলে ডেকেছে। অপরদিকে ভুক্তভোগীরা বিবাদীদের অপেক্ষার প্রহর গুনছে। বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মীমাংসায় আসেনি। এ সময় উক্ত ঘটনার এ প্রতিবেদকের কাছে তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন ওই গৃহবধূ ও তার যুবতি মেয়ে লিজা আক্তার।
নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধূ বলেন, ‘আমার বাবা অসুস্থ থাকায় বাবুল খান(৫৫) পিতা ফজলে আলী খানদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েকে কু-প্রস্তাব দেওয়া নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
ওই নারী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ১৪ জুলাই বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাবুল খান,ছেলে আল-আমিন খান,মেয়ে নিশি বেগম,শারমিন ও স্ত্রী আয়েশা বেগম সহ কয়েকজন মিলে আমাকে ও আমার মেয়েদের উপর নির্যাতন করে পড়নের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। আমি মেয়েকে বাঁচাতে এলে তারা আমাকে একাধারে মারধর করতে থাকে, তখন আমার শরীরের কাপড় খুলে বিবস্ত্র করে ফেলেছে।
‘বিবস্ত্র অবস্থায় তিনি তার মেয়ে জামাইয়ের কাছে আশ্রয় নেওয়ার পরেও তার জামাতাকে জারু দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
এরপরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে ও তাদের কে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে বলেন। তারা থানায় অভিযোগ দিয়েছে দুইদিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাবুল খান বলেন,আমাদের সাথে বাড়ির এক পরিবারের সাথে মারামারি হয়েছে। এক জায়গায় থাকলে যা,হয় আরকি। এটা আমরা নিজেরাই সমাধান করে ফেলবো। মা ও মেয়ে কে বিবস্ত্র করে মারধর করেছেন কেন? বাবুল খান বলেন,মারামারির মধ্যে কেউ ছাড়াতে আসলে উভয়পক্ষের মার খায় তখন ধরাধরিতে তাদের কাপড় খুলে গেছে হয়তোবা। আমরা কারো জামা ও কাপড় খুলিনি। তারা পুলিশ আনছে তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ-ব্যাপারে নলছিটি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার অভিযোগে : তিনজনের নামে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি দ্রুত বিচার আদালতে পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর জেলা যুবলীগ আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির, তার বড় ভাই জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মানিক হাওলাদার ও রেজাউল করিম জাকিরের কলেজ পড়–য়া ছেলে জিসানের নামে মামলা হয়েছে । দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক আবুল কালাম আজাদ মামলাটি তদন্তের জন্য বরিশাল পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি দায়ের করেছেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মরহুম বেলায়েত হোসেনের তৃতীয় পুত্র ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রিফাত হাসান রুবেল। আদালতের বেঞ্চ অফিসার শাহাদাৎ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের পরিবার ও পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকিরের সাথে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল । তারই ধারাবহিকতায় গত ১০ জুলাই ঈদ উল আযহার দিন রাত দশটার দিকে রেজাউল করিম জাকির, তার বড় ভাই মানিক হাওলাদার, রেজাউল করিম জাকিরের ছেলে জিসান (২১) এর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী দা, ছ্যানা, চাপাতি, পিস্তল, হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়া কলেজ মোড় এলাকার মরহম বেলায়েত চেয়ারম্যানের বাড়িতে প্রবেশ করিয়া ত্রাস সৃস্টি করে বাড়িতে হামলা চালায় । চেয়ারম্যানের বড় ছেলে মনির হোসেন মাহমুদ সোহেল, মেয়ে রুমানা তাসমিন শান্তা আসামী রেজাউল করিম জাকিরকে হামলার কারণ জিজ্ঞেস করলে, জাকির তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া মুনির মাহমুদ সোহেলকে পিটিয়ে জখম করে এবং কোমড় থেকে পিস্তল বের করে গুলি করার চেস্টা করলে ছোটবোন রুমানা তাসমিন শান্তা সোহেলকে রক্ষা করতে গেলে ২নং আসামী মানিক হাওলাদার তাকেও এলোপাথারি মারধর করে । অপরাপর আসামীরা বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ৩নং আসামী জিসান একটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় । মামলার বাদীসহ সকলে জীবন বাচাতে বাড়ির মূল গেট বন্ধ করে ডাকচিৎকার করতে থাকলে আসামীরা অস্ত্র প্রদর্শকরে ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার সময় মানিক হাওলাদার বাদীর ছোট ভাইয়ের ভায়রা নাসির নকিবকে রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় । তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । মামলার বাদী রিফাত হাসান রুবেল বলেন, ঘটনার পরপরই ঝালকাঠি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরেরদিন সোমবার ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ঝালকাঠি থানার ওসি মামলা নিতে অস্বীকার করেন । সে কারনে বাধ্য হয়ে আজ বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করি । মামলা দায়েরের পরও আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি । জিএস জাকিরের সন্ত্রাসী বাহিনী যে কোন সময় আমাদের ওপর আবার হামলা করতে পারে । এ ব্যপারে ঝালকাঠি পৌরসভার কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির বলেন, ঈদুল আজহার দিন রাতে কে বা কাহারা আমার প্রতিবেশী মরহুম বেলায়েত চেয়ারম্যানের বাড়ির মধ্যে আতশবাজি ফোটায় । চেয়ারম্যানের ছেলেরা আমার হাফিজী পড়–য়া নয় বছরের ছেলে রাইয়ানকে সন্দেহ বশত আটক করে গালিগালাজ ও মারধর করে। এ ঘটনা নিয়ে আমার আত্মীয় স্বজন ও সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃস্টি হলে আমি ও আমার বড় ভাই মানিক সকলকে শান্ত করার চেস্টা করি । এ সময় নাসির নকিব নামে একজন ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে আহত হন । চেয়ারম্যান বাড়িতে কোন হামলা বা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি । আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করার জন্য আমিসহ আমার ভাই ও সন্তানের নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
ঝালকাঠিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ঝালকাঠি :: শ্রদ্ধা, স্মরণ ও দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ঝালকাঠিতে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা জাতীয় পার্টি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান। জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন আনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. বজলুর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, সদর উপজেলার সভাপতি আনোয়ার হোসেন তালুকদার, পৌর সভাপতি এ কে এম বেলায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু সহিদ। বক্তারা বলেন, এরশাদের শাসন আমল ছিল বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ। গ্রাম থেকে শহরে উন্নয়নের ছোয়া লাগিয়েছিলেন এরশাদ। তাই বাংলাদেশের ইতিহাতে এরশাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। পরে এইচ এম এরশাদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
নলছিটি প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে দশ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ঝালকাঠি :: স্ত্রীর কাছে দাবি করা দশ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র পলাশ তালুকদার ও তাঁর ভাই সোহাগ তালুকদারের বিরুদ্ধে। দুই ভাইয়ের নির্যাতনের শিকার রেশমা বেগম (৩৫) কে রবিবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিস) ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার রেশমা বেগম স্বামী ও দেবরের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ পর্যবেক্ষনে জানা যায়, ১৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে নারায়গঞ্জের কাইয়ুমপুর এলাকার মো. আলী আশ্রাবের মেয়ে রেশমা বেগমের সাথে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার বর্তমানে এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র পলাশ তালুকদারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই পলাশ তালুকদারের বিভিন্ন সময় শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা আনতেন। এ পর্যন্ত শু¦শুরের কাছ থেকে ধার হিসেবে ১৮ লাখ টাকা এনেছে পলাশ। কিন্তু এক টাকাও পরিশোধ করেনি। নতুন করে আবার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছেন। বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দিতে না পারলে স্ত্রী রেশমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় পলাশ। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। এমনকি স্ত্রী রেশমাকে বেশ কয়েকবার ঘর থেকে বের করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তার পরেও রেশমা সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর নির্যাতন সয্য করেও পলাশের সাথে সংসার করে যাচ্ছিলেন।
সম্প্রতি রেশমা স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর স্বামীর অন্য এক মহিলার সাথে পরকিয়া সম্পর্ক রয়েছে। এজন্যই তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন পলাশ। এসব ঘটনা নিয়ে ঈদের আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাটি হয়। এসময় পলাশ স্ত্রীকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি আসতে বলে। অন্যথায় বাবার বাড়ি চলে যেতে বলেন। মারধর করে রেশমার সন্তানদের রেখে দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন পলাশ। উপায়ান্তুর না পেয়ে রেশমা নারায়ণগঞ্জ বাবার বাড়িতে চলে যায়।
সন্তানদের মায়ায় ঈদের এক দিন আগে শনিবার পলাশের বাড়িতে আসে রেমশা। রাতে তাকে পরিকল্পিতভাবে বেধরক মারধর করে পলাশ ও তাঁর ভাই সোহাগ। নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বেশমাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
বর্তমানে রেশমা শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে রেশমার বাবা, মা ও ভাই আসেন বরিশালে।
অসুস্থ রেশমা অভিযোগ করেন, পরোকিয়ার কথা জানার পরে তাঁর স্বামী পলাশ তালুকদার, ভাই সোহাগ তালুকদার প্রায়ই আমাকে নির্যাতন করতেন। বিভিন্ন সময় বাবার বাড়ি থেকে ১৮ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিয়েছি। এতেও তাদের মন ভরেনি। এখন আবার ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেছে। টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমাকে মেরে গুম করার চেষ্টা করেছিল। প্রতিবেশীরা আমার চিৎকার শুনে প্রাণে রক্ষা করেছে। আমার সন্তানদের ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
রেশমার বাবা মো. আলী আশ্রাব বলেন, আমার মেয়ে রেশমাকে মারধর করার কারণ হলো তাকে তালাক দিয়ে পলাশ দ্বিতীয় বিয়ে করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই রেশমার ওপর নির্যাতন করে সন্তানদের রেখে দেন। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে নলছিটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র পলাশ তালুকদার বলেন, পারিবারিকভাবে আমার স্ত্রীর সাথে বিরোধ চলছে। কয়েক বছর আগে আমার স্ত্রীর অত্যাচারে আমার বাবা স্ট্রোক করে মারা যায়। আমার মা তাদের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাকেও অপমান করে বের করে দেয় আমার স্ত্রী রেশমা। এনিয়েই আমাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আমি যৌতুকের জন্য আমার স্ত্রীকে নির্যাতন করিনি এবং তাকে মারধরও করিনি। আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে আমার স্ত্রীর সাথে মিলে আমার ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিস) দায়িত্বরত পুলিশের এসআই আব্দুল জলিল বলেন, আমি পলাশ তালুকদারকে ফোন করেছিলাম বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য, কিন্তু পলাশ আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন।