শনিবার ● ২৩ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ভোট চোর সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না : এডঃ আসাদুজ্জামান
ভোট চোর সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না : এডঃ আসাদুজ্জামান
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: কেন্দ্রীয় বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আসাদুজ্জামান বলেছেন, এই সরকার ভোট চোর। সব ক্ষেত্রে মানুষের অধিকার হরণ করেছে। তাই এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু বানিয়ে এখন কারেন্ট দিতে পারছে না। সব জিনিসের মুল্য বৃদ্ধি করেছে। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমলেও সরকার জনগনের টাকা লুটপাট করার জন্য দাম কমাচ্ছে না। আসাদ বলেন সময় আর বেশি দেরি নেই। দেশ নায়ক তারেক রহমানের ডাকে রাস্তায় নেমে পড়তে হবে। গনতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে। জনগনকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আসাদ শুক্রবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে বিএনপির এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। শৈলকুপা থানা ও পৌর বিএনপি যৌথ ভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে। শৈলকুপা পৌর বিএনপির সভাপতি আবু তালেব মিয়ার সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সধারন সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডৃুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড.এম এ মজিদ, সাধারন সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক উসমান আলী, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক হুমায়ন বাবর ফিরোজ, ঝিনাইদহ সদর থানা বিএনপির সভাপতি এড কামাল আজাদ পান্নু, শৈলকুপ পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান, বিএনপির নেতা মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহ কেসি কলেজের সাবেক জিএস শাহাজান আলী ও শৈলকুপা পৌর বিএনপির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য পুলিশ ও সরকারী দলের কারণে ২০০৮ সাল থেকে এই ১৪ বছর শৈলকুপায় কোন সভা সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি।
ঝিনাইদহ পৌরসভার বেহাল দশা, ময়লার ভাগাড়ে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ জনজীবন, দেখবে কে?
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ পৌরসভার নাগরিক সেবা দিনকে দিন হ্রাস পাচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডবাসীর মাঝে ধুমায়িত হচ্ছে ক্ষোভ। ভাঙ্গাচোরা রাস্তা ও শ্রোত বিহীন বন্ধ ড্রেনের পর এবার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিকরা। ড্রেনগুলো ঠিকমতো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে না। করা হলেও দায়সারা গোচের। রাস্তার পাশে জমে আছে আবর্জনার স্তুপ। সেখান দিয়ে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পৌর এলাকার ডাস্টবিনগুলোর অবস্থা আরো করুন। ঝিনাইদহ শহরের উজির আলী স্কুলের সামনে রয়েছে একটি ডাস্টবিন। এলাকার মানুষ সেখানে বাসাবাড়ির আবর্জনা ফেলে। কিন্তু ডাস্টবিনটি নিয়মিত পরিস্কার করা হয়না। ফলে উৎকট গন্ধে মানুষ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে না। স্থানীয় পান ব্যবসায়ী শামিম হোসেন জানান, ডাস্টবিন থেকে আসা গন্ধে তার দোকানের কাস্টার এক মুহুর্তও দাড়াতে পারে না। রহিমা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ডাস্টবিন থেকে পচা গন্ধ স্কুলের আঙ্গিনা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে গনমাধ্যমকর্মীরা দেখের রাস্তার পাশে স্তুপ করে রাখা আবর্জনা পড়ে আছে। নতুন হাটখোলা এলাকার বাবু গ্যাস ঘরের সামনে আবর্জনার পাহাড় জমে আছে। ঝিনাইদহ শহরের উপশহরপাড়ার একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফারমারের নিচে ময়লার ভাগাড় তৈরী হয়েছে। সিএন্ডবি পুকুরের মধ্যে ময়লা ফেলার কারণে মহল্লাবাসি উৎকট গন্ধ নিয়ে বসবাস করছেন। জেলা কৃষি অফিসের পাশে কৃষ্ণপাড়া সড়কে পৌরসভার ডাস্টবিনে গরু আর কুকুর খাবার নিয়ে লড়াই করে। এ ভাবে শহরের অলিগলিতে ময়লা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে বসবাস করার পরিবেশ ব্যহত হচ্ছে। মারাত্মক ভাবে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছে পৌরসভার নাগরিকরা। তথ্য নিয়ে জানা গেছে ঝিনাইদহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বহু প্লাস্টিকের ও কংক্রিটের ডাস্টবিন রয়েছে। প্রতিদিন এসব ডাস্টবিন পরিস্কার করা হয় না, পালাক্রমে হয়। কিন্তু জনাকীর্ন ও গুরুত্বপুর্ন এলাকার ডাস্টবিনগুলো নিয়মিত পরিস্কার করা না হলে পৌরসভার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অনেক এলাকায় দেখা গেছে মানুষ সচেতন নয়। রাস্তার উপরেই পচা জিনিস ফেলে যাচ্ছে। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বৃহস্বপতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ পৌরসভায় গেলে দেখা গেছে ৫/৭টি কুকুর ভবনের মধ্যে ঢুকে আরাম করছে। বারান্দায় শুয়ে আছে ৩টি কুকুর। ভয়ে সেবাগ্রহীতা ঢুকতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে বৃহস্পতিবার বিকালে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান চাদ জানান, প্রতিদিন তো শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। এমন তো হওয়ার কথা নয়। হয়তো পরিস্কার করার পর এই ময়লাগুলো ফেলেছে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রধান শামছুল আলম জানান, হাটের মধ্যে সকালে পরিস্কার করা হয়েছে। সেখানে তো আবর্জনার স্তুপ থাকার কথা নয়। তিনি বলেন উজির আলী স্কুলের পাশের ডাস্টবিন একদিন পর পর পরিস্কার করা হয়।
মহেশপুরে ধান বোঝাই ট্রাক থেকে দেড়’শ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুরে একটি ধান বোঝাই ট্রাক থেকে দেড়’শ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে মহেশপুরের ৫৮ বিজিবি। এ সময় ট্রাকের ড্রাইভার পলাশকে আটক করা হয়। পলাশ মহেশপুরের কুল্লা সাহেবপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। ৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মোহাম্মদ তারেক জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে উপজেলার কুশাডাঙ্গা গ্রামে অভিযান চালায় বিজিবি সদস্যরা। এ সময় সীমান্ত থেকে আসা একটি ধান বোঝাই ট্রাক তল্লাসী করে ট্রাকের মধ্যে ১৫০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল পায়। ট্রাকসহ চালককে বিজিবি আটক করে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেছে। বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে এই ফেনসিডিলের চালান আনার সঙ্গে জড়িত মহেশপুরের হানিফপুর গ্রামের আলী কদরের দুই ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
ঝিনাইদহে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে গিয়ে যুবক নিজেই ফেঁসে গেলেন অস্ত্র মামলায়
ঝিনাইদহ :: জমি নিয়ে সজল হোসেনের বিরোধ ছিল প্রতিবেশি সুমনের। তাই ফন্দি আঁটে সুমনকে ফাঁসানোর। বিরোধর জের ধরে সজল হোসেন দেশী অস্ত্র ও গুলি দিয়ে প্রতিবেশি সমুনকে ফাঁসাতে যায়, কিন্তু নিজের জালে জড়িয়ে এখন শ্রীঘরে সজল। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামে। র্যাব-৬ সজলকে আটক করে অস্ত্র মামলায় চালান দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত সজল পার্শবর্তী বড়বাড়ী গ্রামের প্রবাসী শফি উদ্দিনের ছেলে। ঝিনাইদহ র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ শরিফুল আহসান জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই গ্রামের সুমন হোসেনের সাথে প্রতিবেশী সজল মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রাতে দেশীয় অস্ত্র ও গুলি দিয়ে সুমনকে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে র্যাব-৬ সজলকে আটক করে। উদ্ধার করে একটি দেশীয় ওয়ান শুট্যার গান ও ১ রাউন্ড গুলি। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামীকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজল অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ঝিনাইদহ খাল-বিল বাওড়ে পানি নেই, পাট নিয়ে দিশেহারা কৃষক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের খাল বিল ও ডোবায় পানি নেই, স্থানীয় নদিতেও মিলছে না পাটজাগের জায়গা। তাই পাট নিয়ে দিশেহারা চাষি। অন্যদিকে, সামান্য পানির সন্ধান পেলেও পাটের রং কালো হওয়া এবং মান নি¤ মানের হবার দুশ্চিন্তাও রয়েছে তাদের। খরা পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও এ মুহর্তে কোন সমাধান দিতে পারছে না। ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী মহেশপুর উপজেলার জালালপুর ও শৈলকুপার কবিরপুর এবং ঝাউদিয়া গ্রামে পাটচাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকবছরে খরা পরিস্থিতির কারণে খাল বিল ও ডোবার পানি শুকিয়ে যাওয়া, স্থানীয় নদিতেও পাটজাগের জায়গার সংকুলান না হওয়া এবং সর্বোপরি পাটচাষে দিনমজুরদের দৈনিক মজুরি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের মতে, গরু বা ঘোড়ার গাড়ি, রিকসাভ্যান বা থ্রিহুইলারে বোঝাই করে পাট নিয়ে তারা এগ্রাম সেগ্রাম করে দিন পার করতে থাকায় কাঁচাপাট কিছুটা শুকিয়ে যাচ্ছে। অবশেষে কোথাও কম পানিতে পাটজাগ দেয়া সম্ভব হলেও পানিতে ডুবিয়ে রাখতে জাগের ওপর মাটি চাপা দিতে হচ্ছে। এতে পাটের রং কালো হয়ে যাচ্ছে, মান খারাপ হচ্ছে। ওসব পাটের দাম তূলনামূলক কম হবে বলে তারা মনে করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ উপপরিচালকের অফিসসূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় গত মৌসুমে ২২, ৮৬০ হেক্টরে ৬২,৮৬৫ টন পাট উৎপাদন হয়। হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ছিল ২.৭৫ টন। এবার ২২,৮৪০ হেক্টরে ৬২,৯০০ টন পাটের উৎপাদন হবে বলে আশা করাছেন তারা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ উপপরিচালক আসগর আলির সাথে কথা বললে তিনি জানান, খরা পরিস্থিতির মত নাজুক আবহাওয়ার ওপর কারো হাত না থাকায় প্রাকৃতিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পাটচাষিসহ সবাই। পাটজাগ বিষয়ে নতুন কোন প্রযুক্তি উদ্ভাবন না হওয়া পর্যন্ত পাটচাষিদের নিস্তার পাওয়া কঠিন বলে মনে করেন ওই কৃষি কর্মকর্তা।