রবিবার ● ২৪ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » লোডশেডিং : বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের সাথে ডিজিএমের মতবনিমিয়
লোডশেডিং : বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের সাথে ডিজিএমের মতবনিমিয়
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে শনিবার (২৩ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম ছাইফুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গ্রাহকদের অভিযোগগুলো তুলে ধরেন।
সভায় সাংবাদিকরা বলেন, জ্বালানী সংকটে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দেশজুড়ে চলমান এলাকাভিত্তিক শিডিউল পদ্ধতিতে লোডশেডিং এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর এলাকায়ও চলছে লোডশেডিং। এলাকাভিত্তিক প্রতিদিনে ৪-৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের শিডিউল থাকলেও উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের শিডিউল বিপর্যয় চলছে। গ্রাহকের চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ না মেলায় ঘোষিত লোডশেডিংয়ের সূচি ঠিক রাখতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে গ্রাহকদেরকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ডিজিএম বলেন, চাহিদার বিপরীতে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় সরবরাহ ঠিক রাখা যাচ্ছে না। ফলে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে নিত্যনৈমিত্তিক শিডিউলের। আবার প্রতিদিন একই সময়ে একই এলাকায় লোডশেডিং না করার নির্দেশনাও রয়েছে। তাই প্রতিদিন তৈরি করা হচ্ছে নতুন সিডিউল। কিন্তু গ্রাহকদের প্রতিদিন জানানো যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ঘাটতি বেশি থাকায় লোডশেডিংয়ে সময়ের ব্যত্যয় ঘটছে। ঘাটতি কম হলে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও কমবে।
এসময় সাংবাদিকরা শিডিউল ঠিক রাখা, পৌর শহরের সাথে গ্রামাঞ্চলে সমবন্ঠনে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ার অনুরোধ জানালে লোডশেডিংয়ের আগামীকাল থেকে শিডিউল ঠিক রাখার আশ্বাস দিয়ে ডিজিএম বলেন, হঠাৎ করে উর্দ্ধতন অফিস থেকে নতুন সিদ্ধান্ত আসে তাই শতভাগ শিডিউল ঠিক রাখা যায় না। এখানে আমাদের হাত নেই। তিনি গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ করে পিক আওয়ারে (সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত) ফ্রিজ ও লোডেবল ইলেক্ট্রনিক্স বন্ধ রাখার, অকারণে ঘরের লাইট ও ফ্যান বন্ধ রাখাসহ উপজেলাবাসীকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সহযোগীতার আহবান জানান।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
বিশ্বনাথ :: ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের (২৩-২৯ জুলাই) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের প্রথম শনিবার (২৩ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার ধর। এরপর মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচারণা মৎস্য সপ্তাহের প্রচারণা করা হয়।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে উপজেলায় ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে উপজেলা মৎস্য অফিস। কর্মসূচির মধ্যে রোববার (২৪ জুলাই) সকালে সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে র্যা লী, পোনা মাছ অবমুক্তকরণ, আলোচনা সভা ও মৎস্যচাষীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ এবং বিকেলে মৎস্য সেক্টরে সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২৫ জুলাই) প্রান্তিক পর্যায়েমৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবিদের সাথে মতবিনিময়। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন ও পোনা মাছ নিধনকারী অবৈধ জালের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট/অভিযান পরিচালনা।
বুধবার (২৭ জুলাই) মৎস্যচাষিদের মাছ চাষ বিষয়ক বিশেষ পরামর্শ প্রদান, পুকুরের মাটি ও পানি পরীক্ষা। মৎস্য সেক্টরে সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান। শুক্রবার (২৯ জুলাই) জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন সভা ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের কার্যক্রম।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানের স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা সম্প্রতি বন্যায় মৎস্যখাতে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে প্রায় চার হাজার পুকুরের মাছ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ৮০০ চাষী। এসময় তিনি আরও বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলায় মাছ উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। এখন চাষে প্রতি হেক্টরে ৩ মেট্রিকটন উৎপাদন হলেও এটি বাড়িয়ে ৫-৭ মেট্রিক টনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এজন্য মৎস্যচাষীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। তবে ভালো মানের পোনা ও ফিড ব্যবহার করলেই উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।এছাড়া প্রবাসীরাও মৎস্যখাতে বিনিয়োগ করে উপকৃত হবেন।