বৃহস্পতিবার ● ২৮ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার পৌর মার্কেটের একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের আব্দার রহমানের ছেলে বর্তমান ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর চানপাড়ার বাসিন্দা আসানুর রহমান ফুলজার, তার ছেলে নাসিম রেজা, উত্তর কাস্টসাগরা গ্রামের আব্দুস সোবাহান মুন্সির ছেলে আব্দুল মতিন ও নৃসিংহপুর গ্রামের সুবল সেনের ছেলে সুকান্ত সেন। ঝিনাইদহ ডিবির ওসি আনোয়ার হোসেন বুধবার জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জালিয়াতি করে ওই চক্র মানুষের কাছ থেকে কাড়িকাড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। খবর পেয়ে মাঠে নামে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও ঝিনাইদহ ডিবির একটি টিম। তারা অভিযান চালিয়ে জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জাল সীল, চালাম ফরম, পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ পত্রের ফটোকপি, কম্পিউটারের হার্ডডিক্স ও মোবাইল উদ্ধার করে। এ বিষয়ে বুধবার ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম’র ঔদ্ধত্য আচরন
ঝিনাইদহ :: লোডশেডিংয়ের তথ্য নিতে গিয়ে ঝিনাইদহের তিন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠছে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের রাউতাইল পল্লী বিদ্যুৎ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। অবরুদ্ধ সাংবকাদিকরা হলেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাদ্দাম হোসেন, সময় টিভির লোটাস রহমান সোহাগ ও গ্লোবাল টিভির এস এম মেহেদী হাসান জিকু। অভিযোগ উঠেছে এ সময় আনসার সদস্য দিয়ে প্রধান গেট আটকিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণর করা হয়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। এর আগে মঙ্গলবার লোড শেডিংয়ের তথ্য চাওয়া হলে জিএম ইসাহাক আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জানা গেছে, ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের অধিনে জেলার ৬ উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের সরবরাহ কম নাকি কারিগরি ত্রুটি এ বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর দপ্তরে যান। সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে জিএম ইসাহাক আলী বলেন, আমি কোন তথ্য দিব না। প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং দিচ্ছেন আপনি তার কাছে যান। বুধবার লোডশেডিংয়ের তথ্য জানতে আরও কয়েকজন সংবাদকর্মী সেখানে গেলে অফিসে যাওয়ার পরপরই তিনি ক্ষুব্ধ হন। তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে অফিসের সরকারি ফাইল ছুড়ে দিয়ে অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালী-গালাজ করতে করতে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন এবং রুমে তালা দিয়ে আনসার সদস্যদের ডাকতে বলেন। তিন সংবাদকর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে অফিসের অন্যান্যরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামকে জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “গনমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে জিএম যে আচরণ করেছেন তা কোন সরকারি কর্মকর্তার আচরণ হতে পারে না। আমারা তার রুমে বসেই আছি আর তিনি অফিসের মধ্যে নিজেই চিৎকার চেচামেচি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। এ দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে আমরা যেন ডাকাতি করতে এসেছি”। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলী অনুতপ্ত হয়ে বলেন, আমি ভুল করেছি। এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।