শনিবার ● ৩০ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাইয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত-১২
মিরসরাইয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত-১২
আকতার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ঘটসাস্থলে ১১ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে তাদের মধ্যে হাসপাতালে আরো ১জন মারা যায়।
গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের খৈয়াছড়া ঝর্ণার রেলক্রসিংয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী মহানগর প্রভাতী ও ঝর্ণা দেখতে আসা পর্যটকবাহী একটা মাইক্রোবাস (চট্টমেট্রো-চ-৫১-২৩৫০) এর সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত ও এই ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থী, কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও মাইক্রো বাসের চালক ছিলেন এবং নিহত ও আহতরা সকলেই চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানাধীন শেরশাহ কলোনি ও হাটহাজারী উপজেলার ১২ চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড যুগীরহাট (আমান বাজার) এলাকার বাসিন্দা ও আহতরা সকলেই হাটহাজারী উপজেলার জুগিরহাট আর এন্ড জে কোচিং সেন্টারের ছাত্র।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হাসান (১৯), মোসহাব আহমেদ (১৬), মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯), ইকবাল হোসেন মারুফ (১৯), মাহিন (১৭) আয়াতুল ইসলাম (১৮), সাগর (১৮), শিক্ষক জিয়াউল হক সজীব (২২), ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), রেদওয়ান চৌধুরী (২২) ও মাইক্রোবাস চালক গোলাম মোস্তফা (২৬), এবং আহতরা হলেন, নগরীর আকবর শাহ থানাধীন শের শাহ কলোনির মো. সোলাইমানের পুত্র তৌকিদ ইবনে শাওন (২০) একই এলাকার মৃত মো. পারভেজের পুত্র তছমির পাবেল (১৬), ছৈয়দুল আলমের পুত্র মো. সৈকত (১৮), আব্দুর রহিমের পুত্র তানভীর হাসান হৃদয় (১৮) এবং হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার এলাকার আবুল কাসেমের পুত্র মো. ইমন (১৯) ও একই এলাকার মনসুর আলমের পুত্র মো. মাহিম (১৮)।
খৈয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা নাসির উদ্দীন জানান, জুমার নামাজের সময় গেটম্যান না থাকায় এবং গেট বার না ফেলায় মাইক্রো বাসটি রেললাইন পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দ্রুতগামী ট্রেন মাইক্রো বাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার সামনে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসের যাত্রীরা হাটহাজারী থেকে সকালে খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে আসছিলেন এবং ফেরার পথে রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঘটনার পর রেলওয়ে পুলিশের চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী, মিরসরাই সার্কেলের এএসপি লাবিব আব্দুল্লাহ সহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
দুর্ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে, মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের সাথে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস যুক্ত হয়ে দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রো বাসটি উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজিম উদ্দীন জানান, শুক্রবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম গামী মহানগর প্রভাতী ও খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখতে আসা পর্যটকবাহী মাইক্রো বাসের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রো বাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, ট্রেনের চালক পলাতক আছে, এঘটনায় গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন (৩০) কে আটক করা হয়েছে।