শনিবার ● ৩০ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বোনের কাছ থেকে জবরদিস্ত করে জমি লিখে নেয়ার ঘটনা ভাইরাল
বোনের কাছ থেকে জবরদিস্ত করে জমি লিখে নেয়ার ঘটনা ভাইরাল
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা বোন জাহানারা খাতুন (৫৫) কে নছিমনে আনা হয়েছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে। দলিল লেখা সম্পন্ন। বাকী আছে টিপসহি নেওয়ার। দলিল লেখকসহ রেজিষ্ট্রি অফিসের লোকজন টিপসহি গ্রহনের জন্য নছিমন গাড়ির কাছে এলেন। অমানবিক ভাবে শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোনের টিপসই গ্রহনের সময় চিৎকার চেচামেচি করতে লাগলেন। কে বা কারা এই অমানবিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত (২৬ জুলাই) মঙ্গলবার ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে। অভিযোগ উঠেছে জোড়াদহ গ্রামের লোকমান শাহের ছেলে রইচ উদ্দীন তার মুমুর্ষ বোন জাহানারা খাতুনকে জোর পুর্বক ধরে এনে জমি লিখে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। দলিলে টিপসই নেওয়া মুহুর্তে বোন জাহানারা নছিমন ভ্যনে শুয়ে চিৎকার করতে থাকলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক গনমাধ্যমকর্মী ভিডিও ধারনকালে স্বর্থপর ও লোভী ভাই রউচ উদ্দীন পালিয়ে যান।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হলে অভিযুক্ত ভাই ও দলিল লেখকের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। বৃহস্পতিবার বিকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক নওশের আলী বলেন, জোড়াদহ গ্রামের রউচ উদ্দীন এসেছিলেন তার বোন তাকে জমি দান করবে বলে একটি হেবা দলিল (দানপত্র) করার জন্য। সে অনুযায়ী দলিলটি লেখা হয়েছিল। কিন্তু দলিলে টিপসই দেওয়ার সময় যখন তার বোন চিৎকার শুরু করেন, তখন আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে দিই। অভিযুক্ত রইচ উদ্দিন জোর করে দলিলে টিপশই নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বোন আমাকে ৯ শতাংশ জমি দান করতে চেয়েছিলেন। সেই কারণে তাকে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে আসি। সে মানসিক ভারসাম্যহীন। অফিসে আসার পর তার শরীর বেশি খারাপ হওয়ায় সে চিৎকার করে। পরে রেজিস্ট্রি না করে ফিরে যায়। সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী আল হাসান বলেন, ঘটনাটি সাংবাদিকদের কাছ থেকেই শুনেছি। এমন কিছু করা হলে তা চরম অমানবিক। তিনি বলেন, আমার অফিসে জবরদিস্ত করে দলিল রেজিষ্ট্রির কোনো সুযোগ নেই।
ঝিনাইদহে নবনির্বাচিত দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের শপথ গ্রহন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ও সুরাট ইউনিয়নের নির্বাচিত ২ চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ করেছেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিশ্বাস ও সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেনকে শপথ বাক্য পাঠ করান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জনাব সেলিম রেজা (পিএএ)। এদিকে পুরুষ মহিলা ২৪ জন ইউপি সদস্য শপথ গ্রহণ করেছেন।বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম শাহীন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিথিলা ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরতি দত্ত, ভাইস চেয়ারম্যান রাসিদুর রহমান রাসেল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিউটন বাইন, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ প্রমূখ। উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন সদর উপজেলার ২টি ইউপিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ডাবল মার্ডার মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন, ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আলোচিত জোড়া হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। একই সাথে ওই মামলায় আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ শওকত হোসাইন এ দন্ডাদেশ প্রদাণ করেন। দন্ডিতরা হলো-ওই গ্রামের কুদ্দুস মিয়া, কোবাদ হোসেন ওরফে কোবা মোল্লা, রইচ উদ্দিন, বাচ্চু মিয়া, লিক্সন হোসেন, জিকু মিয়া, কলম হোসেন, আবুল বাশাল ওরফে দরপন, রবিউল ইসলাম রবি, আলম মিয়া, হাবিবুল ইসলাম, ইকমাল মিয়া, মতি, তরুন মোল্লা, সাচ্চু হোসেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল শৈলকুপা উপজেলার বৃত্তিদেবী রাজনগর গ্রামে হালখাতার চিঠি দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে ওই গ্রামের কফিল উদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। তাকে বাঁচাতে এলে একই গ্রামের আজিম মুন্সীকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কপিল উদ্দিন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজিম মুন্সী মারা যায়। এ ঘটনায় কপিল উদ্দিনের ভাগ্নে হাবিবুর রহমান ১৭ জনকে আসামী করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৮ জুলাই পুলিশ ১৭ জনের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। বাদী নারাজি পিটিশন দিলে জুডিসিয়াল তদন্ত শেষে আরও ৩ জনকে আসামী করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অভিযুক্ত কুদ্দুস মিয়া, কোবা মোল্লা, রইচ ও বাচ্চুকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই মামলায় আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়। দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে খালাস দেয় আদালত। মামলায় এক আসামী মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মামলায় রাষ্টপক্ষে অতিরক্তি পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক ও আসামী পক্ষে শামসুজ্জামান লাকী, রাশিদুল হাসান জাহাঙ্গীর ও এ এইচ এম খায়রুলজ্জামান মামলা পরিচালনা করেন।
কালীগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকের উপরে সন্ত্রাসী হামলা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার স্বীকার হয়েছেন ভোরের কাগজের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি বেলাল হুসাইন বিজয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার কুল্ল্যাপাড়া বাজারে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতেই সাংবাদিক বিজয় বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগপত্র ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক বিজয় জানান, উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের কুল্ল্যাপাড়া গ্রামের মোঃ সামায়ন তার বসত বাড়ির নির্মান কাজে সামনে জনসাধারনের চলাচলে রাস্তা দখল করে সিমেন্ট বালু ও খোয়া মাখাচ্ছিল। পথ আটকে কাজ করায় দুপুর ১ টার দিকে ওই গ্রামের আজবাহার আলী নামে এক ব্যাক্তি সড়কের উপর থেকে মালামাল সরাতে বলে। এনিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্ষায়ে সামায়ন সহ কয়েকজন মিলে আজবাহারকে মারধর করে। এ ঘটনা জানতে পেরে সাংবাদিক বিজয় খবর সংগ্রহের জন্য ওই স্থানে গিয়ে রাস্তায় মেশানো সিমেন্ট বালুর ছবি তুলে ফিরে আসেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই ঘটনা নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পূনরায় মারামারির খবর জানতে পেরে সাংবাদিক বিজয় আবারো ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সন্ত্রাসীদের এলোপাথাড়ী মারপিটে সাংবাদিক বিজয়ের বুক, পিঠ ও পায়ে বেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলীর পুত্র হাসান এবং পান্নু সহ ৩ জন গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায়। রাতে তাদের অবস্থা অবনতি হওয়ায় যশোরে রেফার্ড করা হয়। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্যা জানান, সাংবাদিক বেলাল হোসেন বিজয়কে মারপিটের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে ৬টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় নির্মিত ৬টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এর দুটি ভবনে কয়েকটি দোকান বরাদ্দ দেয়া হলেও চারটি ভবন এখনও তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে ভবনগুলো থেকে পাওয়া আয় দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা ও অফিসের দৈনন্দিন খরচ মেটানোর কথা থাকলেও সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ঝিনাইদহের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তথ্য মতে, জেলা সদরসহ ৬ উপজেলায় ৬টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কিন্তু ভবনগুলো তালাবদ্ধ থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসার স্থায়ী স্থান ও দোকান ভাড়া থেকে যে আয় হওয়ার কথা তা অর্জিত হচ্ছে না। ফলে অর্জিত আয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করা ও অফিসের দৈনন্দিন খরচ মেটানোর কথা থাকলেও সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। একই সঙ্গে সেখানে গিয়ে সময় কাটাতেও পারছেন না বীর সন্তানরা। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমিটি না থাকায় ভবনগুলোর পরিপূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত কমিটির হাতে ভবনগুলো বুঝিয়ে দিলেই বাস্তবায়িত হবে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য। শৈলকুপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন মালিতা বলেন, ‘২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হয়। ২০১৭ সালে এর মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইউনিট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছে। কমান্ডার হিসেবে ইউএনও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করেন। ‘এ ছাড়া নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হস্তান্তর না করায় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে ভাড়া করা অফিসগুলোতেই বসতে হচ্ছে।’ এ বিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলোর কয়েকটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু দোকান ভাড়া দেয়া হয়েছে। ভাড়ার টাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করা হয়। তালাবদ্ধ ভবনগুলো দ্রুত ব্যবহার করতে ইউএনওদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজস্ব বাজেটের আওতায় রবি,খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমের প্রকল্পে আন্তঃ পরিচর্যা বাবদ রাজস্ব খাতের কৃষকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রান্তিক কৃষকের ধান, সরিষা ও ভুট্রা পরিচর্যা বাবদ ১৫শত টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কৃষকের মাঝে ১৪ শত টাকা বিতরনের তথ্য মেলে। কালীগঞ্জ নিমতলা মসজিদ সংলগ্ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী একটি দোকান থেকে কৃষি অফিস থেকে আনা টোকেন জমা দিয়ে নগদ অথবা বিকাশ এর মাধ্যমে ১৪ শত টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে মোট ৩ শত ৩৩ জন কৃষক এই সুবিধার আওতায় আসলেও ২৪৩ জন কৃষকের মাঝে ১শত টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে কৃষকরা। এই প্রকল্প থেকে ২৪৩ জন জন কৃষকের কাছ থেকে ২৪ হাজার ৬ শত টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার নিয়ামতপুর,রাখালগাছি ইউনিয়নের যথাক্রমে কৃষক রকিব, মোমিনুর, নুরুল মালিতা, রতনঘোষ, হামিদ, চানদালী ও সমির খাঁর সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা বিকাশের মাধ্যমে ১৪ শত টাকা পেয়েছি খরচ খরচা বাদে ১৩ শত ৭০ টাকা পেয়েছি। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিকদার মোহায়মেন আক্তার জানান, ২৪ হাজার ৬শত টাকা অতিরিক্ত আছে। অডিট খরচসহ আনুসঙ্গিক ব্যয় তো থাকেই যে কারণে এমনটি করেছি। সবাইকে ১ শত টাকা করে ফেরত দিব, যে কোন কারণে ১,শ টাকা কম দিয়েছি। কি কারণে কম দিয়েছে তার কোন উত্তর তিনি দিতে পারেনি। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আজগর আলী বলেন,কৃষকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব। যশোর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ একলাছ উদ্দীন বলেন,এমন ঘটনা ঘটলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। কৃষি প্রধান দেশে কৃষকের টাকা আত্মসাৎ কোন ভাবেই সাধরন মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।