মঙ্গলবার ● ২ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » মিরসরাইয়ে লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজ ছাত্রীর
মিরসরাইয়ে লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজ ছাত্রীর
মিরসরাই (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ে লরির ধাক্কায় পলি দেবনাথ (১৮) নামে একজন কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) সকাল আটটার দিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের নিজামপুর সরকারি কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনায় ঘটে। নিহত পলি দেবনাথ নিজামপুর সরকারি কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম খৈয়াছড়া গ্রামের সূর্য মোহন দেবনাথের মেয়ে।
এ ঘটনায় লরি সহ চালক ও চালকের সহকারিকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত চালকের নাম শাহজাহান শেখ ( ৪৯)। সে ঢাকা দক্ষিন সিটির মাতুয়াইল যাত্রাবাড়ি এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র ও চালকের সহকারি মো. লিমন ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার দক্ষিন তারাঘনিয়া এলাকার শহিদ হাওলাদারের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইভেটে যাওয়ার সময় মহাসড়ক পার হতে গিয়ে লরির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. কোহিনুর বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে নিজামপুর বাজারে সড়ক পার হওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী একটি দ্রুতগামী লরির ধাক্কায় কলেজ ছাত্রী পলি ঘটনাস্থলে মারা যায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি এবং লরির চালক ও চালকের সহকারিকে আটক করতে সক্ষম হই। এবিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলছে।
মিরসরাইয়ে অগ্নিকান্ডে দিনমজুর ৫ পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই
মিরসরাই :: মিরসরাইয়ে অগ্নিকান্ডে দিনমজুর ৫ পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (১ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার ৫ নং ওচমানপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব সাহেবপুর গ্রামের আমীর আলী সওদাগর বাড়িতে আগুন লেগে ৫ পরিবারের ১৫ কক্ষবিশিষ্ট বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই দিনমজুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে মাদল হকের বসতঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর একে একে সুজাউল হকের পুত্র একরামুল হক, দেলোয়ার হোসেনের পুত্র আমিনুল হক, সাইদুল হক, মাদল হক, সাহাব উদ্দিনের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে একরামুল হকের জমি কেনার জন্য বসতঘরে রাখা নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা অপরদিকে আমিনুল হকের মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা নগদ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকাও পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন নেভাতে ছুটে আসে স্থানীয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যখন পৌঁছে ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ওচমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাহাত মোর্শেদ, স্থানীয় ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সঞ্জয় মল্লিক। এসময় চেয়ারম্যান মফিজুল হক ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ আমিনুল হক বলেন, ‘১৫ কক্ষের বসতঘরটিতে আমাদের ৫ ভাইয়ের বসতি। মাদল হকের বসতঘর থেকে বেলা ১১ টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের ভাইয়েরা সবাই দিনমজুর। বসতঘরটির একাংশ ৪ বছর পূর্বে এবং একাংশ ২ বছর পূর্বে নির্মাণ করি আমরা। আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর মতো তেমন কোন সুযোগ নেই। তাই সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি অনুরোধ করছি আপনাদের আর্থিক সহযোগিতায় আমরা পুণরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো।’
ওচমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সঞ্জয় মল্লিক জানান, অগ্নিকান্ডে ৫ পরিবারের ১৫ কক্ষের বসতঘর পুড়ে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই দিনমজুর, আগুনের তারা নিঃস্ব হয়ে গেছে। সমাজের বিত্তশালীরা তাদের পাশে না দাঁড়ালে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। তাই আমি অনুরোধ করবো দলমত নির্বিশেষে সমাজের যারা বিত্তশালী রয়েছেন তারা অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ান।
মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে সিএনজি অটোরিকশা চালকের মৃত্যু
মিরসরাই :: মিরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মোঃ মামুন মিয়া (২৪) একজন সিএনজি অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ আগষ্ট) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মিরসরাই সদর ইউনিয়নের উত্তর তালবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী “মহানগর প্রভাতী” ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মামুন মিয়া মিরসরাই উপজেলার ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আবুতোরাব বাজার এলাকার শরীয়ত পাড়া গ্রামের মিয়াচাঁন কোম্পানি বাড়ির মোঃ মহিউদ্দিনের পুত্র এবং পেশায় সে একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক।
নিহতের চাচা বাদশা মিয়া জানান, সোমবার দুপুরে আমার ভাতিজা মামুন সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে মিরসরাইয়ের তালবাড়িয়া এলাকায় যায়। সেখানে গ্যারেজে সিএনজি অটোরিকশা রেখে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।
সীতাকুণ্ড জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খুরশিদ আলম বলেন, মিরসরাই সদরের তালবাড়িয়া এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মামুন মিয়া নামে একজনের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে জিআরপি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।