মঙ্গলবার ● ২ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আয় বেড়েছে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আয় বেড়েছে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে দীর্ঘবছর থেকে তত্ত্বাবধায়ক পদ শুন্য থাকায় অসুস্থ ও দূর্নীতির অভয়অরন্য হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলো। বর্তমানে নতুন তত্ত্বাবধায়ক পদে ডা. জহিরুল ইসলাম যোগদানের পর হাসপাতালের চেহারা পরিবর্তনসহ নিজস্ব আয়ও বৃদ্ধিপাচ্ছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে আয় ছিলো ৩৭ লক্ষ ৪ হাজার ৭২০টাকা।
২০২২ সালে ৭ ফেব্রুয়ারী সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক পদে ডাঃ জহিরুল ইসলাম যোগদান করেন এবং তার যোগদানের পর হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশ ও আর্থিক ক্ষাতগুলোতে সেবা গৃহীতাদের কাছ থেকে প্রদেয় অর্থের রশিদ প্রদান পদ্ধতি চালু করে স্বচ্ছতা আনার ফলে এই সুফল আসতে শুরু করেছে। এছাড়াও হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মোবাইল,ব্যাগ ও টাকা পয়সা চুরির হিরিক চলছিলো। ডাঃ জহিরুল ইসলাম হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে পুরো হাসপাতালকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ফলে সেবা গৃহীতাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্থি।
হাসপাতালের করিডোরে ফন্ট ডেক্স তৈরি করেছেন রোগীর সেবায়। যে কোন সেবাগৃহিতা হাসপাতালে এসে কোন ডাক্তারের কাছে যাবেন? কি সেবা নিবেন? তা বলে দিবেন ডেক্সে থাকা কর্মিরা।
২০২১-২০২২ অর্থ বছরে সদর হাসপাতালে আয় হয়েছে ৪৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০৭টাকা। এর আগের বছরের অসুস্থ হাসপাতালের আয় থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১২ লক্ষ ১১ হাজার ৮০৫টাকা আয় বেশি হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক ডা: জহিরুল ইসলামের দক্ষতা ও বিচক্ষণের জন্য।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থ বছরে আয়ের খাতের মধ্যে প্যাথলজি ও এক্সে থেকে ৩৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬৫২ টাকা, সরকারি হাসপাতলে এম্বুলেন্স ভাড়া থেকে ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭শ টাকা এবং ৪টি কেবিন থেকে ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৫৫টাকাসহ ৩৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০৭টাকা আয় হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক যোগদানের পূর্বে ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্যাথলজি ও এক্সে থেকে ২৮ লক্ষ ৯২ হাজার ৫২৭টাকা, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া থেকে ৭লক্ষ ৬৬ হাজার ২০০টাকা এবং কেবিন ভাড়া থেকে ৪৫ হাজার ৯৭৫টাকাসহ ৩৭ লক্ষ ৪হাজার ৭০২টাকা আয় হয়েছে।
এ-ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মো.জহিরুল ইসলাম বলেন,আমি যোগদানের পরে সদর হাসপাতালকে একটি আধুনিক হাসপাতালে রুপান্তর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দূরনীতি মুক্ত,দালাল মুক্ত ও প্রতিনিধিরা রোগীদের প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে পার-বেনা বলে নোটিস লাগিয়ে দিয়েছি। আমার হাসপাতাল থেকে কোন রোগী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।