মঙ্গলবার ● ২ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ভোটার নেই তাই ঘুমিয়ে পড়েন পোলিং অফিসার
ভোটার নেই তাই ঘুমিয়ে পড়েন পোলিং অফিসার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে কোন উত্তাপ ছিল না। সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলো ফাঁকা পড়ে ছিল। তবে দুপুরের দিকে কিছুটা ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এদিকে সকালের দিকে ভোটারের অপেক্ষায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসাররা অলস সময় পার করেন। অনেক ভোটকেন্দ্রে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সময় পার করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখো গেলে পোলিং অফিসার শামীমা নাসরিন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তিনি শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত। গনমাধ্যমকর্মীদের রুমে প্রবেশের শব্দ পেয়ে তিনি উঠে পড়েন এবং চোখ মুছতে মুছতে বলেন, ভোটার নেই, ঘুম চলে আসছে। এই বুথে দুই ঘণ্টায় একটা ভোট পড়েছে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহিনুর ইসলাম বলেন, এই কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪১০ জন ভোটার রয়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত ৫০টি ভোট পড়েছে। কেন্দ্রের আনসার সদস্য নাজিম উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রে একদমই ভোটার উপস্থিতি নেই। বসে বসে সময় কাটছে। উপজেলার বারইপাড়া কেন্দ্রে ৫০ মিনিটে ২০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৬৭১ জন। বারইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ফুরকান আলী জানান, সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও কোন ভোটার আসেনি। দুপুরের দিকে লোকজন আসতে থাকে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর তিনি মারা যান। ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রয়ারী মাসে উপ-নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর স্ত্রী শিকদার শেফালি বেগমকে নৌকা প্রতীক দেন দলের হাই কমান্ড। ২০২২ সালের ১৬ মে শিকদার শেফালি বেগম মারা গেলে পদটি আবারো শূন্য হয়। উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক পান জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হামিক। তার প্রতিদ্বন্দি হিসেবে মাঠে ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে আরিফ রেজা মন্নু ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে জনৈক আনিচুর রহমান। সাধারণ ভোটাররা জানান, প্রতিদ্বন্দিহীন এই নির্বাচনে একই দলের প্রার্থীকে বার বার ভোট দেবার কারণে ভোটে কোন উত্তাপ ছিল না। ছিল না কোন প্রচার প্রচারণা। প্রানহীন এই নির্বাচনে তাই বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্র সকালের দিকে ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।