বৃহস্পতিবার ● ৪ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ময়মনসিংহের ১০ বীরাঙ্গনাদের ‘নারীপক্ষ’র অনুদান
ময়মনসিংহের ১০ বীরাঙ্গনাদের ‘নারীপক্ষ’র অনুদান
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ফুলপুর, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া এই তিন উপজেলার ১০ বীরমাতা বীরাঙ্গনা পেলো বন্যা পরবর্তী ৮০ হাজার টাকার অনুদান। নারীপক্ষ নামে ঢাকার একটি বেসরকারী সংগঠন এই বীরাঙ্গনা প্রতিজনকে ৮ হাজার টাকা করে ১০ জনকে মোট ৮০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করেছে।
নারীপক্ষ নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার ও মঙ্গলবার ফুলপুরে ১০ বীরমাতা বীরাঙ্গনার হাতে বন্যা পরর্বতী অনুদানের এই টাকা তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিষয় নিয়ে কাজ করা স্থানীয় গবেষক সাংবাদিক এটিএম রবিউল করিম রবি।
অনুদানপ্রাপ্ত বীরমাতা বীরাঙ্গনারা হলেন, ফুলপুর উপজেলার বাসিন্দা সুরবালা রাণী , শহর বানু , সুফিয়া খাতুন , হালিমা খাতুন ও ময়মনা খাতুন , ধোবাউড়া উপজেলার বাসিন্দা জেলেকা খাতুন, সখিনা খাতুন (ধোবাউড়া) ও আমেনা খাতুন ,হালুয়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা পয়রবী খাতুন এবং রুমেছা খাতুন দুঃখু। অনুদানপ্রাপ্তদের মাঝে ৩ জন সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং ৭ জন এখনো সরকারি স্বীকৃতি পায়নি।
সরকারি স্বীকৃতি না পাওয়া ৭ জন বলেন, সরকারি স্বীকৃতি না হওক বেসরকারি হয়েছে। তাতে তাঁরা আশার বীজ বপন করতে পারছেন।
এই ৭ জন বীরাঙ্গনা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যে দেশের জন্য আমরা আমাদের নারী জীবনের অমূল্য সম্পদ হারিয়েছি, সে দেশ আমাদের হারানোর স্বীকৃতিটা অন্তত দিক। আমাদের ভাতা ও অনুদানের চেয়ে স্বীকৃতিটা প্রয়োজন বেশি। কারণ পাক-হানাদার বাহিনীর অপকর্মের শিকার হয়ে আমরা এখন সামাজিক, মানসিক ও স্বাস্থ্যগত ভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় জীবন যাপন করছি। স্বাধীনতার এতো বছর পরও পাক হানাদারদের পেতাত্মাদের মানষিক নির্যাতন থেকে মুক্তি পাইনি। যার জন্য সব সময় চরম মানসিক চাপে থাকতে হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিষয় নিয়ে কাজ করা স্থানীয় গবেষক সাংবাদিক এটিএম রবিউল করিম রবি জানান, ‘সরকারি স্বীকৃতি না পাওয়া ৭ বীরমাতা বীরাঙ্গনাকে নারীপক্ষ প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা করে ভাতা দিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে তাদের চিকিৎসা খরচও বহন করছে।আর ধোবাউড়া উপজেলার বীরমাতা বীরাঙ্গনা জেলেখা খাতুনকে ঢাকায় উন্নতমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে বিশেষ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যার সমস্ত ব্যয় বহন করছে নারীপক্ষ।
তিনি আরও জানান, ১০ জন বীরাঙ্গনাদেরকে অনুদান দেওয়ায় ফুলপুর সাংবাদিক সমিতি বেসরকারী সংগঠন নারীপক্ষকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানায়। সেইসাথে দেশের সকল বীরমাতা বীরাঙ্গনাদেরকে খুঁজে বের করে সরকার অতিসত্বর গেজেটভূক্ত করে, তাঁদের সম্মানিত করক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।