সোমবার ● ২৮ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথে আবারও দুই উপজেলাবাসীর সংঘর্ষে আহত ৪০: পুলিশের গুলি
বিশ্বনাথে আবারও দুই উপজেলাবাসীর সংঘর্ষে আহত ৪০: পুলিশের গুলি
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: (২৮ মার্ট ২০১৬: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.১১মিঃ) সিলেটের বিশ্বনাথে আবারও দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০জন আহত হয়েছেন৷ ২৮ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার খাইয়া-খাইড় বাজারের বিশ্বনাথবাসী ও ওসমানীনগর উপজেলাবাসীর মধ্যে এঘটনা ঘটে৷ প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে৷ এসময় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে৷ পরে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী অনেক চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন৷
আহতরা হলেন-রাসেল আহমদ, জুনেদ আহমদ, শিহাব উদ্দিন, সাইদুল, ফারুক মিয়া, সামছু মিয়া, নাজমুল হক, জুবেল আহমদ৷ তবে তাত্ক্ষনিক বাকি আহতদের নাম জানাযায়নি৷ গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে৷
এদিকে, খবর পেয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশহুদুল কবীর, ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শওকত আলী ঘটনাস্থলে ছুটে যান৷
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়,বিশ্বনাথের আবু আল রশিদ ৪র্থ ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়াটার ফাইনাল খেলা রোববার বিকেলে সোনালী সংঘ দক্ষিণ বিশ্বনাথ ও পশ্চিম খাইয়া-খাইড় ফুটবল একাদশ ওসমানীনগরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়৷ সোনালী সংঘ টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে ওসমানী নগরকে পরাজিত করে৷ এসময় বিশ্বনাথের সোনালী সংঘের পক্ষে আনন্দ মিছিল বের করা হয়৷ এতে ওসমানী নগরের ফুটবল টিমের এক সদস্য মিছিল না দেয়ার জন্য নিষেধ করেন৷ এনিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাটি হয়৷ এরই জের ধরে রোববার দুই উপজেলাবাসীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন৷ এতে দুই উপজেলার ৫০জন আহত হন৷ এরই প্রতিবাদে বিশ্বনাথবাসীর ব্যানারে সোমবার সকাল ১০টায় খাইয়া-খাইড় বাজারে প্রতিবাদ সভার আহবানের ডাক দেয়৷ প্রতিবাদ সভা সফলের লক্ষে রোববার রাতে উপজেলা সদরের মাইকিং করা হয়৷ সোমবার পূর্ব নির্ধারিত সময়ে বিশ্বনাথবাসীর প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ ওসমানীনগরবাসীর ব্যানারে সোমবার একই সময়ে পশ্চিম খাইয়া-খাইড় এলাকার পাল্টা প্রতিবাদ সভা করে৷ উভয় পৰের প্রতিবাদ সভা চলে৷ হঠাত্ ওসমানীনগর প্রতিবাদ সভা থেকে বিশ্বনাথবাসীকে উদ্দেশ্যে করে ডাক দেয়া হয়৷ এতে বিশ্বনাথবাসী ক্ষিপ্ত হন৷ এরই মধ্যে উভয় উপজেলাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়৷ এরই মধ্যে দেশীয়-অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ কয়েক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ দুই ঘন্টাব্যাপি দফায় দফায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে৷ এতে উভয় পক্ষের ৪০জন আহত হন৷ এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে৷ কিন্তু ফের উভয় উপজেলাবাসীর মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়৷ পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে অনেক চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে৷
এব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী ও বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া বলেন, বিষয়টি আপোষ মিমাংশার চেষ্টা চলছে বলে তারা জানান৷
সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি আবদুল হাই বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়৷ এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করা হয়৷ বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান৷