সোমবার ● ৮ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » সিলেটে গ্রেনেড হামলার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন নুনু মিয়া
সিলেটে গ্রেনেড হামলার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন নুনু মিয়া
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিগত ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট সিলেটের গুলশান হোটেলে গ্রেনেড হামলার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন বর্তমান বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এসএম নুনু মিয়া। সেদিনের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলারও পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পুলিশি নির্যাতনের ক্ষত বেদনায় তিনি আজও শিউরে ওঠেন।
সেই গ্রেনেড হামলার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে এসএম নুনু মিয়া জানান, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করা হয়। একই বছরের ৭ আগস্ট সিলেটে গুলশান হোটেলে আওয়ামী লীগের এক কর্মিসভা শেষে সেখানে ভয়াল গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। তৎকালীন সরকার এ হামলায় আমাকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতনও করে।
তিনি জানান, সিলেটে ৭ আগস্ট ও ঢাকায় ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ছিল একই সূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হয়রানি করাই ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নীলনকশা। তাই গত ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট সিলেটের গুলশান হোটেলে পরিকল্পিতভাবে এই গ্রেনেড হামলা করা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন।
নুনু মিয়া জানান, একপর্যায়ে ঢাকার জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি)নিয়ে গিয়েও করা হয় ব্যাপক অত্যাচার। সেখানে থাকাকালে তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার আয়োজনও করা হয়েছিল। এমনকি রাতে অজ্ঞাত এক নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হলে ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে তৎকালীন সরকারের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করা করার পর তাকে ফিরিয়ে আনা হয়।
তিনি জানান, তখনকার সময়ের এক বিএনপি নেতা তাকে গ্রেনেড হামলায় আসামি করার চেষ্টাও করেন। আর ওই নেতার নির্দেশেই তার ওপর এই নির্যাতন করা হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে মুক্তি দিতে জোর দাবি জানিয়ে ছিলেন। পাশাপাশি সিলেটে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও তার মুক্তির জন্য সরব ছিলেন। অবশেষে প্রায় দুই মাস কারাবন্দি থাকার পর মুক্তি লাভ করেন বলে জানান।