বৃহস্পতিবার ● ১১ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মাঠে ব্যস্ত কৃষকরা
ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মাঠে ব্যস্ত কৃষকরা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষকরা। গেল বন্যার কারণে আউশ ফসলও ঘরে উঠেনি তাদের। তলিয়ে যায় সকলেরই আউশ ধানের ক্ষেত। এরপর বন্যার পানি নামলে ফের তারা নামেন মাঠে।
শুরু হয় বীজতলা প্রস্তুতের কাজ। আর রোপনের জন্য জমিও তৈরি। এবার আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে নিরলস পরিশ্রম করছেন দেখা গেছে তাদের।
জমি চাষাবাদ ও আগাছা নিধন শেষে মাঠে মাঠে রোপন করা হচ্ছে আমন ধানের চারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গেল বন্যায় তলিয়ে যায় ৩ হাজার ৯শ ২০ হেক্টর আউশ ফসল। এর মধ্যে একেবারেই নষ্ট হয়ে যায় ২ হাজার ৫শ ৪৮ হেক্টর ধানি জমি। হতাশা দেখা দেখা দেয় কৃষকদের মাঝে।
চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন উপজেলার ১৮ হাজার ৪২জন কৃষক। এরপর বন্যা নামলে ফের মাঠে নামেন তারা। শুরু আবারো স্বপ্ন বোনা।
ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৬ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন কৃষকরা। এ বছর আমন ধানের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ২শ ৫ হেক্টর।
কৃষকরা জানান, একের পর দুর্যোগে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। তবুও হাল ছাড়েননি কেউ। সরকারি বরাদ্দ-সহায়তার পাশাপাশি নিজেদের মতো করে জমিতে ফসল চাষাবাদ করছেন সকলেই।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর স্বল্প জীবন কালের ধান (ব্রি ধান ৭৫, ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৯৫) ব্যাপক পরিসরে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এ সকল জাতের বীজতলা বপনকারী কৃষকদের চিহ্নিত করে তেল ফসল আবাদ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রবি মৌসুমে সরিষা চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যাতে কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন।
আমন ধান আবাদ ও যথাযথ সার ব্যবস্থাপনাসহ রোগ ও পোকার আক্রমণে যেন কোন ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ তৎপর রয়েছে।