শনিবার ● ১৩ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার ও উৎপাদন বন্ধের বিকল্প নেই
অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার ও উৎপাদন বন্ধের বিকল্প নেই
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: কারেন্ট জাল। এ যেন মৎস্য নিধনের এক মরণ ফাঁদ। ‘ভাতে মাছে বাঙালী” এই শ্লোগান এর পরিবর্তে এখন বলতে হয় ডালে ভাতে বাঙালী। মাছের মরণ ফাঁদ নামক কারেন্ট জাল দেশের ভাটি অঞ্চলের নদী-নালা খালে-বিলে হাওর বাওরে সর্বত্র ব্যবহারের কারণে অসময়ে মাছের পোনাসহ নিধন হচ্ছে দেশী বিদেশি প্রজাতির সব রকমের মাছ।
বিশেষ করে মাছের বংশ বিস্তারে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কারেন্ট জাল। বৈশাখ জৈষ্ঠ্যমাসে বৃষ্টি শুরু হওয়া থেকে নিয়ে আশ্বিন কার্তিক মাস পর্যন্ত হাওর বাওরের পানিতে ব্যবরিত হচ্ছে কারেন্ট জাল। ফলে মাছের বংশ বিস্তার দুরের কথা এই মরন ফাঁদ কারেন্ট জালের কারণে দেশ থেকে চিরতরে মাছ বিলুপ্ত হতে চলেছে। গত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও এই কারেন্ট জাল অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রসাশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলার অনেক বাজার-হাটে ক্রয়-বিক্রয়ও হচ্ছে এই জাল। প্রসাশন সব সময় মাছের মরণ ফাঁদ নামক কারেন্ট জাল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী ও জাল বিক্রেতাদের কাছ থেকে তা উদ্ধার করে পোড়ানা হয় এবং তার পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়। কিন্তু কে শুনে কার কথা। কথায় আছেনা চোরে শুনেনা ধর্মের কাহিনী।
কুঁড়ি বছর পূর্বে কারেন্ট জাল ছিলো না বিধায় আশ্বিন কার্তিক মাসে পানি কমে এলে নানা জাতের দেশীয় মাছ প্রচুর পরিমাণে ধরা যেতো। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গ্রামের মানুষ উৎসবও করতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে মরণ ফাঁদ নামক কারেন্ট জাল অবাধে ব্যবহার করার কারণে মাছ ধরার সেই উৎসবও ক্রমে বিলিন হচ্ছে।পোনা নিধনের পাশাপাশি সময়ের ব্যবধানে মাছের অভয়ারণ্যও দিন দিন কমে যাচ্ছে। সরেজমিনে মাছ কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আব্দুল ওয়াহিদ নামের এক মাছ শিকারী বলেন,মাছ কোথায় পাবো? পোনা ছাড়ার সাথে সাথে তা মেরে ফেলা হয়।
আর যা হয় তা আবার মরন ফাঁদ নামক কারেন্ট জাল দিয়ে একেবারে নিঃশেষ করে দেওয়া হয়। তাই সরকারের প্রতি আমার অনুরোধ ‘ভাতে মাছে বাঙালী” এই শ্লোগানে আবারো উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মৎস্য সম্পদকে বাঁচাতে অবিলম্বে কারেন্ট জাল নামক মরন ফাঁদ নিষিদ্ধ করতে হবে।আইন করে কারেন্ট জাল প্রস্তুতকারী ও বিক্রেতাসহ ব্যবহারকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নতুবা দেশী বিদেশি সকল প্রজাতির মাছ এদেশ থেকে চিরতরে বিলিন হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার কারেন্ট জাল ব্যবহারকারী মৎস্য শিকারী বলেন, আমরা কি করবো। প্রসাশনের উচিৎ কারেন্ট জাল যে স্থানে উৎপাদন হয় সে স্থানে অভিযান চালিয়ে তার উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। তবেই দেশের এই সম্পদ বাঁচানো যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস অফিসের এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে সব সময় অবৈধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। গত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয় এই অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করে তা পুঁড়িয়ে দেন।
সৎপুর মাদরাসায় ছাত্র সংসদের কমিটি : ভিপি দিলোয়ার, জিএস ওয়াহাব
বিশ্বনাথ :: ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার হুসাইনিয়া ছাত্র সংসদের ২০২২-২৩ সেশনের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার ৮ আগস্ট সকাল ১১ টায় উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মাদরাসার কনফারেন্স হলরুমে কামিল ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ দিলোয়ার হোসাইনকে ভিপি, অনার্স শেষ বর্ষের মো. আব্দুল ওয়াহাবকে জিএস ও ফাজিল ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ ইউসুফ খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করে ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ ও ছাত্র সংসদের সভাপতি মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ নোমান।
এসময় মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা ছালেহ আহমদ বেতকোনী, সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন, মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল বাছিত, মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ উপস্হিত ছিলেন।
কমিটির অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন- যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহীনূর আমীন কামিল ২য় পর্ব, সহ-সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ সুবেল অনার্স ৪র্থ বর্ষ, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন অনার্স ২য় বর্ষ, অর্থ সম্পাদক ইমরান আহমদ অনার্স ২য় বর্ষ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল মুকিত জুমান অনার্স ৩য় বর্ষ, সহ-প্রচার সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিপন আলিম ১ম বর্ষ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ কামিল ২য় পর্ব, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ দিলোয়ার হোসাইন অনার্স ৩য় বর্ষ, শিক্ষা ও আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক মো. ছাদেক হোসাইন অনার্স ৩য় বর্ষ, শিক্ষা ও আইসিটি সহকারী বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আলিম ১ম বর্ষ, সেমিনার সম্পাদক জহুর উদ্দিন অনার্স ৩য় বর্ষ, সহ- সেমিনার সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম শাহান অনার্স ১ম বর্ষ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক লায়েক মিয়া সোহাগ অনার্স ১ম বর্ষ, সহ সাহিত্য ও সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জুবায়ের আলিম ১ম বর্ষ, আবু আইয়ুব আনছারী দাখিল দশম, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক জাকির আহমদ ছালমান অনার্স ২য় বর্ষ, সহ ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাহী আলিম ১ম বর্ষ, অফিস সম্পাদক মুক্তার হোসাইন আলিম ১ম বর্ষ, সহ-অফিস সম্পাদক সালমান হোসাইন আলিম ১ম বর্ষ, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক লায়েক আহমদ অনার্স ৩য় বর্ষ, সহ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ফিদাউর রহমান মিনহাজ দাখিল নবম, দাখিল সম্পাদক মুবারক উল্লাহ রায়হান দাখিল দশম, সহ-দাখিল সম্পাদক শাহ আনহার হোসেন দাখিল ৮ম , ইবতেদায়ি সম্পাদক মুহাম্মদ আলী ইয়ামিন ইবতেদায়ী পঞ্চম শ্রেনী।
শ্রেণী প্রতিনিধি যথাক্রমে আব্দুল হান্নান কামিল ২য় পর্ব, আফজল হোসেন অনার্স ৪র্থ বর্ষ, আব্দুল ওয়াহিদ অনার্স ৩য় বর্ষ, বায়েজীদ আহমদ অনার্স ২য় বর্ষ, আফসার হোসাইন ফাজিল ২য় বর্ষ, রুহুল আমীন অনার্স ১ম বর্ষ, আতাউর রহমান ফাজিল ১ম বর্ষ, জাফর আহমদ আলিম ১ম বর্ষ, সানোয়ার হোসেন দাখিল ১০ম, আজহারুল ইসলাম তাওহীদ দাখিল ৯ম, আব্দুল্লাহ আল গুফরান দাখিল ৮ম, আনসার হোসেন দাখিল ৭ম, আবু সালেহ মুস্তাফিজ দাখিল ৬ষ্ঠ, সালমান আহমদ মারজান ইবতেদায়ী ৫ম, ওয়াহিদুর রহমান আবির ইবতেদায়ী ৪র্থ শ্রেণী।