রবিবার ● ১৪ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » বিশ্বনাথে ভরা বর্ষায় বৃষ্টি নেই : বিপাকে আমন চাষীরা
বিশ্বনাথে ভরা বর্ষায় বৃষ্টি নেই : বিপাকে আমন চাষীরা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বর্ষা শেষের দিকে । শরৎ দুয়ারে।কিন্তু বৃষ্টি নেই। চলছে অনাবৃষ্টির কাল। এতে করে ফেটে যাচ্ছে আমন আবাদী জমি ও বীজতলা। মাঝে মধ্যে হালকা বৃষ্টি হলেও এই বৃষ্টির পানি ফসলের জমির জন্য যথেষ্ট নয়। এতে করে আমনের আবাদ নিয়ে বিপাকে আছেন বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষকগন।
অন্যদিকে মে -জুনে উপজেলায় দুই ধাপের বন্যার কারণে আউশ ধানের আবাদ মোটেই সম্ভব হয়নি।বন্যার পানিতে বীজতলা সম্পূর্ণ তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলায় আউশের জমি ফসল শুন্য হয়ে পড়ে।এতে করে চাষাবাদকারী কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সে লক্ষ্যে আউশের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার উপজেলার কৃষকরা আগাম আমন ধান রোপনে আশায় বুক বেঁধেছিলেন।
কিন্তু বাধসাধে বৃষ্টি।অনেকে পাম্প, সেওত ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে পানি সেচ করে জমি ভিজিয়ে চাষ করলেও বৃষ্টি না থাকায় দিনের প্রচন্ড খরায় সেই চাষযোগ্য জমি শুঁকিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, বাড়লো সারের দাম। চাষীদের অভিযোগ খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রির কথা থাকলেও সেটি মানছেন না অনেক খুচরা ব্যবসায়ী। এতে এবার আমন চাষাবাদে বিঘাপ্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। অতিরিক্ত খরচ বাড়ার কারনে ঋণ বাড়ার ঝুঁকি আছে।
সারের দাম বাড়ার পাশাপাশি ডিজেল ও পেট্রোলের দাম বাড়ায় উপজেলার অনেক চাষীরা পাম্প দিয়ে পানি সেচ ও ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষাবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। সব মিলিয়ে এবারের আমন চাষ নিয়ে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
এমন পরিস্থিতিতে আমন রোপন করবেন কিনা দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন কৃষক মমিনুল ইসলাম।তিনি বলেন, বন্যায় আউশ ধানের চাষাবাদ করতে পারিনি। আমন রোপন করতে বৃষ্টি নেই।পাশাপাশি সারের দাম বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে লোকসানের ভয়ে আছি আমন লাগোবো কিনা।
আজ সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাম্পের মাধ্যমে জমিতে পানি সেচ দিয়ে গরু ও ট্রাক্টরে চাষ দিচ্ছেন। কেউ কোদাল দিয়ে জমির আইল,কেউ জমিতে সার ছিটাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ চারাও রোপন করছেন।বৃষ্টি কম হওয়ায় এ বছর উপজেলার বেশীর ভাগ জমিতে পানি সেচ দিয়ে আবাদ করতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র ধর বলেন,এ বছর উপজেলায় স্বল্প জীবন কালের ধান ব্যাপক পরিসরে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আমন ধানের অবাধ ও পোকার আক্রমণে যেন কোনো ক্ষতি না হয় বিষয়েও কৃষি অফিস তৎপর রয়েছে।