মঙ্গলবার ● ২৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » গাজিপুর » কালীগঞ্জের ৭ ইউনিয়নে নির্বাচন ৩১ মার্চ
কালীগঞ্জের ৭ ইউনিয়নে নির্বাচন ৩১ মার্চ
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: আগামী ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে গাজীপুরের কালীগঞ্জের সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এখন চলছে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের প্রচার৷ চেয়ারম্যান বিরামহীনভাবে গণসংযোগের পাশাপাশি পথসভা, মাইকিং সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তবে বসে নেই সংরক্ষিত নারী ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীরাও৷
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট প্রার্থী ৩৩১ জন৷এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ৬৫ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৪০ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে মাঠে রয়েছেন৷ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগে ৪ জন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন৷ তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন৷ আওয়ামী লীগের ৭টি ইউনিয়নে দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকলেও নাগরী ইউনিয়নে ২ জন, জামালপুর ও বাহাদুরসাদী ইউনিয়নে একজন করে আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন৷ বিএনপি চেয়ারম্যান পদে প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে প্রার্থী মনোয়ন দিয়েছেন৷ নানা শংকার মধ্যেও তারা তাদের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন৷
এবারের নির্বাচনী সবচেয়ে বেশী লড়াই জমে উঠেছে জামালপুর ইউনিয়নে৷ এখানে প্রতিযোগিতা হবে ত্রিমুখী৷ বর্তমান চেয়ারম্যান মো. খায়রম্নল আলম আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন৷ এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান খান এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মে. হারুন অর রশীদ দেওয়ান৷ মো, হারুন অর রশীদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান৷ এখানে তিনজনই সমান তালে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন৷
বাহাদুরসাদী ইউনিয়নে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মো, জয়নাল আবেদীন শেখ৷ এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মোসত্মফা কামাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন৷ এখানেও ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে৷
জাংগালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী সারওয়ার হোসেন ও বিএনপি থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নেছার উদ্দিন নুহু৷ তাদের দুই জনের মধ্যেই হবে মূল লড়াই৷ তবে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মোহাম্মদ রাশিকুল ইসলাম খান৷
নাগরী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন সর্বাধিকসংখ্যক ৭জন প্রার্থী৷ এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন এসএম আলী আহমেদ৷ বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মো. আ. রহিম সরকার৷ আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন৷ বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. সিরাজ মিয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মো. আ. কাদির মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন৷
বক্তারপুর ইউনিয়নে মোট প্রার্থী রয়েছে তিনজন৷ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন মু. আতিকুর রহমান আখন্দ এবং বিএনপি থেকে মো. রফিজুল ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মাওলানা জাকির হোসেন৷ এখানে মূলত: প্রধান দুই দল সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যেই লড়াই হবে৷
মোক্তারপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম সরকার তোরন, বিএনপি থেকে রফিকুল ইসলাম পালোয়ান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. আ. ছালাম প্রধান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন৷ যুবলীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম সরকার তোরন গত দুই মেয়াদের চেয়ারম্যান৷ এবারও তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী৷
তুমুলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৪জন৷ আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবু বকর মিঞা৷ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রয়েছেন মো. সিরাজ উদ্দিন৷ এই ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মাসুদ পারভেজ এবং মাহফুজুল হক স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে রয়েছেন৷
আগামী ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ৭৬টি, ভোট কক্ষ ৪৪৭টি৷ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে মোট ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ৩০৬ জন৷ এর মধ্যে পুরম্নষ ভোটার ৮৭হাজার ৫০ জন এবং মহিলা ভোটার ৮৪ হাজার ২৫৬ জন৷
এদিকে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৭৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৮টি ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ৷ এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ২৯টি, ঝুঁকিপূর্ণ ১৯টি এবং ২৮টিকে সাধারণ হিসাবে কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে৷
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. মোসত্মাফিজুর রহমান আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলির জন্য বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে৷