বুধবার ● ১৭ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » শিক্ষিকা মৌসুমী সুভায়ন খীসার স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন না
শিক্ষিকা মৌসুমী সুভায়ন খীসার স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন না
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়িতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বেধড়ক চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষিতে আহত হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার ১৬ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া নাটকীয় ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার পরপরই আহত শিক্ষিকাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরা (৪৪) ক্ষুদে গানরাজ খ্যাত কন্ঠশিল্পী পায়েল ত্রিপুরার মা। খাগড়াছড়ি সদরের মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তিনি।
আর এই শিক্ষিকাকে পেটানোর দায়ে অভিযুক্ত সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নাম সুভায়ন খীসা। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় কর্মরত আছেন।
শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরার দাবী-সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসা তার স্বামী। তবে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন না তিনি। বিয়ে করেও এখন তা অস্বীকার করছেন।
তিনি বলেন, তার কর্মরত বিদ্যালয়ের গেইটটি দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙা রয়েছে। আর এই ভাঙা গেইট মেরামতের আবেদন নিয়ে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসার কার্যালয়ে যান তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে তার অফিস কক্ষে বসে থাকলেও এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেননি সুভায়ন খীসা। পরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তার হাত ধরে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরা। হাত ধরার সাথে সাথেই ক্ষুদ্ধ হয়ে মৌসুমী ত্রিপুরাকে বেধড়ক চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন সুভায়ন খীসা। পরে শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মচারীরা তাকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিথিলা বড়ুয়া বলেন, মৌসুমী ত্রিপুরার বা চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেখানে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসা বলেন, মৌসুমী ত্রিপুরা আমার অফিসের ভেতরে ঢুকে আমার গায়ে এসে পড়ছিলো। এ সময় তাকে অপেশাদার আচরণ করতে নিষেধ করলেও সে তা শোনেনি। পরে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে দরজায় আঘাত পায় সে।
এদিকে বিয়ের প্রসঙ্গে মৌসুমী ত্রিপুরা বলেন, গত বছরের ২৫সেপ্টেম্বর নোটারী পাবলিকের সহায়তায় আদালতে বিয়ে করি আমরা। অথচ এখন আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না তিনি। অজুহাত দিচ্ছেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র নাকি ভুয়া। গতকালও এ নিয়ে আমাকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, মৌসুমী ত্রিপুরা তাকে নিজের স্বামী দাবি করলেও বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন সুভায়ন খীসা।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।