বুধবার ● ১৭ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » নবীগঞ্জে স্কুলের অনিয়ম তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
নবীগঞ্জে স্কুলের অনিয়ম তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী’র বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম,অফিসকক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না রাখা,নিয়মিত স্কুলে না আসা, স্কুলের ইট, রড বিক্রি,আসবাবপত্র ক্রয় ও সার্টিফিকেট বাণিজ্যসহ নানান অভিযোগে অভিযুক্ত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দের পক্ষে মোঃ মকলিছ মিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব প্রদান করেন জেলা শিক্ষা অফিসার । তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম বিগত ১ লা আগষ্ট সোসবার তদন্ত করতে উক্ত বিদ্যালয়ে যান । গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে অভিযোগ ভিত্তিক স্বাক্ষ্য প্রমাণাদি না নিয়েই একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে তাড়াহুড়া করে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীর পক্ষে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ বাবলু আহমেদ তদন্তকারী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আমাদের বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দের হিসাব,ব্যয় ভাউচার,ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন খাতা দেখার প্রয়োজন আছে। সরকারি বরাদ্দের বিপরীতে যে ব্যয় ভাউচার সাবমিট করা হয়েছে তাতে উল্লেখিত জিনিসপত্র বাস্তবে আদৌ আমাদের বিদ্যালয়ে আছে কি না,উল্লেখিত দ্রব্যমূল্যের সাথে বাজার দরের মিল আছে কিনা তা যাচাই করার প্রয়োজন রয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন খাতায় ও ব্যয় ভাউচারে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ তুলেন । এছাড়া অফিসকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেন রাখা হয়নি তার তদন্ত রিপোর্ট সরবরাহ করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার দৃষ্টি আর্কষন করেন । অভিযোগকারী গ্রামবাসী জানান, উপরোক্ত বিষয়গুলোর ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও তিনি এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দেননি এবং যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়েই চলে আসনে । তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রায়ই সন্ধ্যার পরে নবীগঞ্জ বাজারে রাজা কমপ্লেক্সে অবস্থিত অভিযুক্ত ঐ প্রধান শিক্ষকের দোকানে বসে সলা পরামর্শ করতে দেখা যায় বলে জানান গ্রামবাসী । অভিযোগকারী গ্রামবাসী আরো জানান,অভিযোগের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য না নিয়েই তাড়াহুড়ো করে অর্থের বিনিময়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পক্ষাবলম্বন করে তদন্তকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সাইফুল ইসলাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট মনগড়া রিপোর্ট প্রদান করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে । যারফলে তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তের বিষয়ে নিরপেক্ষতা নিয়ে এলাকাবাসীর সধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রধান শিক্ষকের আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর অভিযোগ রয়েছে যা পুনরায় তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।