মঙ্গলবার ● ২৩ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে পুকুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
রাউজানে পুকুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের রাউজানে পুকুরে পানিতে ডুবে মাইমুন ইসলাম মজুমদার(২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ২২ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সেই উপজেলার ৮নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের খলিফা পাড়া গ্রামের শিক্ষক মো: মিজানুর ইসলামের পুত্র। জানা যায়, শিশু মাইমুন তাদের বাড়ির পাশের পুকুরে পরিবারের লোকজনের অগোচরে পুকুরে চলে যাই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পুকুরে ভাসতে দেখা যাই। নিহত চাচা সাইদুল ইসলাম মজুমদার জানান, পুকুর থেকে মাইমুনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে তার অকাল মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০ বসতঘর পুড়ে ছাই
রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ২১ আগস্ট রবিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়িতে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। আগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন চন্দন তালুকদার পিতা অনিল তালুকদার, নিউটন তালুকদার পিতা দুলাল তালুকদার, কাজল তালুকদার পিতা ধীরেন্দ্র তালুকদার, সুজন তালুকদার পিতা তরুণ তালুকদার, এড. সুধীর তালুকদার পিতা যতীন্দ্র তালুকদার, তপন তালুকদার পিতা ধীরেন্দ্র তালুকদার, বাবুল তালুকদার পিতা নারায়ণ তালুকদার, এডিসন তালুকদার পিতা নটু তালুকদার ও গণেশ তালুকদার পিতা দেবন্দ্র তালুকদার। স্থানীয় ইউপি সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, সংবাদ পেয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় হিন্দু-মুসলিমরা আগুন নিভাতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপূর্বে ১০টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে তপন তালুকদারের বৈদ্যুতিক পাখার শর্টসার্কিট হতে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। অগ্নিকান্ডে অনুমানিক ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুজ্জামান সুমন বলেন, ভোর ৪টার দিকে সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুনের তীব্রতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু বেগ পেলেও ৫টার দিকে আগুন পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রোকন উদ্দিন বলেন, ১০ ঘন্টার ব্যবধানে দুটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিটি পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল , ২বান টিন, প্রয়োজনীয় কাপড়- চোপড় ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করি।