বুধবার ● ২৪ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » বিশ্বনাথে বন্যার পর খরায় কপাল পুড়ছে কৃষকের
বিশ্বনাথে বন্যার পর খরায় কপাল পুড়ছে কৃষকের
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ভয়াবহ বন্যার পর এবার খরায় কপাল পুড়ছে কৃষকদের। গত বন্যার পানিতে ৯০ ভাগ আউশ ধান নষ্ট হলেও এবার খরার আঘাতে ব্যাহত হচ্ছে স্বপ্নে আমন চাষ। আমন ধান ফলনের সময় শেষের দিকে চলে গেলেও দেখা মেলেনি কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির।
চরম দাবদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে পানির জন্য চরম সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। তীব্র গরম আর দাবদাহে পুড়ে আমনের ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়ে পড়ছে।
অনেক কৃষক বৃষ্টির অপেক্ষায় জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। আবার যেসব কৃষক চারা রোপণ করেছেন পানির অভাবে তাদের জমি ফেটে যাচ্ছে।
অন্যদিকে বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী থাকার ফলে ধানের বীজ রোপণেও অনেকটা বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু এই বীজ রোপণের সময় চলে গেলেও কৃষকরা দেখা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির।
জানতে চাইলে কৃষি খাতে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামের কৃষক জাবের আহমদ বলেন, বন্যার পর পানির অভাবে কৃষকরা জমিতে আমন ধান রোপণ করতে পারছেন না। যারা জমিতে একবার হাল চাষ করে চারা রোপণের উপযোগী করেছিল তাদের জমি শুকিয়ে গেছে।
এখন সেচ দিয়ে দ্বিতীয়বার জমিতে হালচাষ করতে হবে। ফলে তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। তাই বর্তমান আমন মৌসুমে উপজেলার কৃষকরা অনেকটা বিপাকে পড়েছেন।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার কনক চন্দ্র রায় বলেন, গত বন্যায় এই উপজেলায় প্রায় ৯০ ভাগ আউশ ধান পানিতে নষ্ট হয়েছে। আর এখন পানির অভাবে আমন ধান চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।