রবিবার ● ২৮ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » ঢাকা » ঐতিহাসিক ফুলবাড়ি দিবসে শহীদদের প্রতি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ফুলবাড়ি দিবসে শহীদদের প্রতি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স শ্রদ্ধা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: জাতীয় সম্পদ রক্ষায় ঐতিহাসিক ফুলবাড়ি গণঅভ্যুত্থানের ১৬ তম বার্ষিকীতে আজ সকালে সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী,আকবর খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য আবুল কালাম, নুরুল ইসলামসহ কর্মী - সংগঠকবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশী- বিদেশী অশুভ তৎপরতা প্রতিরোধ করে কয়লা,গ্যাস, তেলসহ জাতীয় সম্পদ রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জেলা পর্যায়েও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম চালুর ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন কমিশন আগেভাগেই নিজেদেরকে সরকারি দলের পক্ষভূক্ত করে ফেলেছেন
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিজেদের নিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে ফেলেছেন এবং আগেভাগেই নিজেদেরকে সরকার ও সরকারি দলের পক্ষভূক্ত করে ফেলেছেন। নির্বাচন কমিশন খুব অল্পদিনেই তাদের থলের বিড়াল বের করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেড়’শ আসনে ইভিএম পদ্ধতির ঘোষণা দিয়ে তারা সরকারি দলের ইচ্ছা পূরণের পদক্ষেপ নিয়েছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা যে নূরুল হুদা কমিশনের মত সরকারি দলের পক্ষে কাজ করবেন পরোক্ষভাবে তাও তারা জানিয়েছেন দিয়েছেন। তাদের এই সিদ্ধান্ত ‘ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া’ দেবার মত।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল যেখানে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দেশের মানুষ ইভিএমকে ভোট জ্বালিয়াতির ডিজিটাল বাক্স মনে করে তখনও রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের উপর ইভিএম পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া যে সরকারি দলের পক্ষে নীল নকশার অংশ তা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, ইভিএম কেনার নামে আবার নতুন করে শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য হবে কনা অভিজ্ঞ মহলে এই প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ভেংগে পড়া গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা অর্জন যখন মূল কাজ তখন বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য ইভিএম পদ্ধতি চালু করার পদক্ষেপ এটা নিশ্চিত করে দিয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইভিএম চালুসহ তাদের সকল অপতৎপরতা থেকে সরে না আসলে সরকারের পাশাপাশি তাদেরকেও বিদায় দেয়া ছাড়া মানুষের কাছে আর কোন পথ খোলা থাকবে না।