মঙ্গলবার ● ৩০ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে ১০ টি অবৈধ ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ ঘোষণা
ঝিনাইদহে ১০ টি অবৈধ ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ ঘোষণা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশনায় নামসর্বস্ব অবৈধভাবে গড়ে উঠা ডেন্টাল কেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকার ১০ টি অবৈধ ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ করে দিয়েছে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা: মিথিলা ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশনায় রোববার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় পাগলাকানাই এলাকায় মাওয়া ডেন্টাল, এমএম ডেন্টাল ও স¤্রাট ডেন্টাল, অগ্নিবীণা সড়কে আহম্মদীয়া ডেন্টাল, চঞ্চল ডেন্টাল, রণিসহ ৭টি ও আরাপপুর এলাকার আশা, ফজের ডেন্টাল ও স্বর্ণা ডেন্টাল ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সব ডেন্টাল ক্লিনিকের বৈধ কোন কাগপত্র ছিল না। অভিযানে ডা: মিথিলা ইসলাম ছাড়াও মেডিকেল অফিসার ডা: আসিফ আহমেদ, ডা: ফয়সাল আহমেদ ও সেনেটারী ইন্সটেক্টর নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট বিক্রি
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভূয়া ডিএমএফ (ডক্টর অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি) সার্টিফিকেট বিক্রি ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগে লাইফ সাইন্স মেডিকেল টেকনোলজি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুরে শহরের ফয়লা এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন। এ সময় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে লাইফ সাইন্স মেডিকেল টেকনোলজি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর মালিক বিশ^াস রাজীব কিশোর ভূয়া ডিএমএফ সার্টিফিকেট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করছিল। এমন অভিযোগ পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের অপসারণের দাবীতে কোটচাঁদপুর সরকারী কলেজ বিক্ষোভে উত্তাল
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সরকারী খন্দকার মোশারফ হোসেন কলেজে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রের মারধোরের অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমারসহ এক সহকারী অধ্যাপকের অপসারণ ও বিচারের দাবীতে গত দুই দিন কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছে। এদিকে মারধোরের শিকার ওই ছাত্র কলেজ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের ঘটনা ও রোববার বেলা ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের মানববন্ধনের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই সময়ই জরুরী বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে (কর্তৃপক্ষের দাবী অনুযায়ী সাবেক) সাবেক তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমার। এদিকে সোমবার সকালে মশিয়ার রহমান মনিক (এইচএসসি পরীক্ষার্থী) ও মানিক নামের সাবেক ছাত্রকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে এ ঘটনায় আগুনে পেট্রোল ঢালার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়। সকালে পুলিশের বাঁধায় কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে কলেজের কিছু ছাত্রের সাথে সাবেক ছাত্ররা। বিক্ষোভকারীরা পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। অবশ্য ছাত্রদের দাবীর মুখে পুলিশ দুপুর আড়াইটার দিকে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়। রোববার ঘটনার সূত্রধরে শনিবার একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রসঙ্গত: ১৮ আগস্ট কলেজে চুরির ঘটনায় চোর সনাক্ত করে ছাত্র প্রতিনিধিরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। কলেজ কর্তৃপক্ষ চুরি যাওয়া ঢেউটিন উদ্ধার করে চোর ছেড়ে দেয়। চোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেওয়ায় ওই ছাত্র প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ করলে ২৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে মোবাইলের মাধ্যমে ওই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মারুফ আহমেদসহ তিন ছাত্রকে কলেজ অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমার কক্ষে ডেকে নেন। মারুফের দাবী সেখানেও সে ওই চোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ জানতে চাইলে পরিকল্পিত ভাবে সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা অধ্যক্ষের সামনে তাকে মারধোর করে। এ ঘটনায় মারুফ অধ্যক্ষ অনুতোষ কুমার ও সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোন্তফার বিরুদ্ধে ওই দিনই স্থানীয় থানায় অভিযোগ করে। কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দীন জানান কলেজ কতৃপক্ষ মারুফসহ তিন জনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দুটি তদন্তধীন রয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন বিষয়ক সচেতনত সভা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আমেনা খাতুন কলেজ মিলনায়তনে গতকাল সোমবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন-২০০৯ বাস্তবায়ন ও অবহিতকরণ বিষয়ে এক সচেতনতামুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব ঝিনাইদহ জেলা শাখা যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন আমেনা খাতুন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মহিদুজ্জামান। সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ জিয়াউল হক। এ সময় তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ভোক্তা কিভাবে প্রতারিত হন এবং সে প্রেক্ষিতে করণীয় দিকগুলি উল্লেখ করেন তিনি। সভায় ঝিনাইদহ জেলা ক্যাবের সভাপতি ও আমেনা খাতুন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু, ক্যাবের সদস্য এন এম শাহজালাল, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, মাদক দ্রব্য নিয়ন্তণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গোলক মজুমদার এবং জনতা ব্যাংকের এজিএম মোঃ শফিউল আলম বক্তব্য রাখেন।
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা গনসংযোগ শুরু করেছেন। আর কোন দল অংশ গ্রহন না করায় দলীয় মনোনয়ন পেতে কেবল সরকারী দলের সম্ভব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। প্রার্থীরা জেলার ইউনিয়ন ও ইউপি সদস্যদের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করছেন। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের কোন প্রার্থী না থাকায় ঘুরেফিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের নাম আলোচনায় উঠে আসছে। গত নির্বাচনে কনক কান্তি দাসের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন এনজিও সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক ড. হারুন অর রশিদ। এবারো তিনি প্রার্থী হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি তিনি ঢাকার বিমান বন্দরে অবৈধ গুলিসহ গ্রেফতার হওয়ায় দলীয় মেনানয়ন তো দুরের কথা ভোটাররাও মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন। নির্বাচন নিয়ে কনক কান্তি দাস বলন, প্রার্থিতার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। নেত্রী চাইলে তিনি আবারো দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় যারা আছেন তারা হলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাডঃ আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তৈয়ব আলী জোর্য়াদ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক ধর, জজ কোটের পিপি অ্যাড.ইসমাইল হোসেন ও সৃজনী এনজিওর প্রধান নির্বাহী হারুন অর রশীদ। শক্ত প্রার্থী তৈয়ব আলী জোয়ার্দার বলেন, দলের নেতাকর্মীদের থেকে অনুরোধ আসছে। তাই দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন তিনি। অন্যদিকে অশোক ধর জানান, দল চাইলে প্রার্থী হতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। জানা গেছে, আগামী ১৭ অক্টোবর ভোট গ্রহণের দিন রেখে তফশিল ঘোষণা করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সালেক বলেন, জেলা প্রশাসক এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ভোট হবে ইভিএমে। নির্বাচনে জেলার মোট ভোটার ৯৫৪ জন।