শিরোনাম:
●   বিজিবির অভিযানে অস্ত্র মাদকসহ চার জন আটক ●   তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ ●   সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’র আত্মপ্রকাশ ●   আত্রাইয়ে জাতীয় যুব দিবস পালন ●   অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সকল উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে ●   রাউজানে আগুনে ৫ দোকান ভস্মিভূত ●   ঘোড়াঘাটে দৈনিক সকালের বাণীর ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   রাঙামাটিতে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   ছেলেকে ফিরে পেতে এক মায়ের আকুতি ●   কাউখালীতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য অপহরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   মিরসরাইয়ের বিএনপি নেতা হত্যার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ গ্রেফতার ●   আত্রাইয়ে নবাগত ইউএনও‘র যোগদান ●   খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র সড়ক অবরোধ পালিত ●   মিরসরাইয়ের ধুমে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ●   কুষ্টিয়াতে আাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়ারুল হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার-২ ●   নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ●   সবার জন্য ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চিত করতে হবে ●   ঘোড়াঘাটে জমিজমা বিরোধে মা ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ●   ঈশ্বরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১ : আহত ২ ●   তারল্য সংকটে ন্যাশনাল ব্যাংক, সিলেটের শিবগঞ্জে ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তালা ●   খাগড়াছড়িতে তিন ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা : অবরোধের ডাক ●   বারইয়ারহাট থেকে বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ●   গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানেরও সংস্কার জরুরী ●   তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় উন্নয়ন কাজে বন্ধ্যাত্ব বিরাজ করছে ●   রাঙামাটিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনার ●   ঈশ্বরগঞ্জে উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ●   উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ●   নবীগঞ্জে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, উত্তপ্ত শহিদ কিবরিয়া চত্বর,মহাসড়ক অবরোধ
রাঙামাটি, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ৩১ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » আফিয়া খুনের নেপথ্যে কথিত স্বামী নিয়াজ
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » আফিয়া খুনের নেপথ্যে কথিত স্বামী নিয়াজ
বুধবার ● ৩১ আগস্ট ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আফিয়া খুনের নেপথ্যে কথিত স্বামী নিয়াজ

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: আফিয়া বেগম সামিহাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে (খুন করতে) মাজেদা খাতুন মুন্নীকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তাব দেন নিহতের কথিত স্বামী নিয়াজ খান। সঙ্গে আরো ২ লাখ টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব দেন। পাওনা টাকা নিয়ে আফিয়ার উপর এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মুন্নী।তার এই ক্রোধকে আরো উস্কে দেন নিয়াজ। কিন্তু হত্যার পর মুন্নী রাতে এবং পরদিন সকালে নিয়াজকে হোয়াসঅ্যাপে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে সিলেট মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এমন তথ্য দেন খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মাজেদা খাতুন মুন্নী।

শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্নীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া নিহতের কথিত স্বামী নিয়াজ খানকে ৪ দিনের রিমান্ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে সে হত্যার বিষয়ে তথ্য এড়িয়ে যায়। অবশ্য মুন্নী তার জবানবন্দিতে আফিয়াকে হত্যায় নিয়াজের প্রলোভনের কথা জানান।

মুন্নীর স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, আফিয়ার সঙ্গে সাবলেট থাকতেন তিনি।মাসে অন্তত ১৫/১৬ দিন ওই বাসায় থাকতেন। সে সুবাদে আফিয়ার সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক ছিল।তার কাছ থেকে কথিত স্বামী নিয়াজের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে পর্যায়ক্রমে টাকা ধার নেন আফিয়া। ক্রমশ; পাওনা টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ হাজারে। কিন্তু টাকা খুঁজতে গেলে সে অস্বীকার করে। তাতে রাগ হয় তার।

জবানবন্দিতে তিনি জানান, বালুচরের ওই ভাড়া বাসায় তারা অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতেন।তাদের সহযোগিতা করতেন আফিয়ার কথিত স্বামী নিয়াজ। এক পর্যায়ে আফিয়ার সঙ্গে লেনদেন নিয়ে তারও বিবাদ সৃষ্টি হয়। আর নিয়াজের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না আফিয়ার।এ অবস্থায় নিয়াজের প্রস্তাবে ও নিজের আক্রোশ মেটাতে আফিয়াকে খুন করেন মুন্নী। কিন্তু আফিয়াকে হত্যা করলেও নিয়াজ আর ফোন ধরেননি। পরে র্যাবের হাতে তিনি ধরা পড়েন।

মুন্নী জবানবন্দিতে জানায়, গত ১৮ আগস্ট তিনি বাসায় যান।২০ আগস্ট রাত ১০টার দিকে পাওনা টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাত ১২টার দিকে রান্নাঘর থেকে পাটার শীল নিয়ে আফিয়ার মাথার বাম পাশে সজোরে পরপর ২টি আঘাত করেন জানিয়ে মুন্নী আদালতকে বলেন, আঘাতের কারণে বিছানায় লুটে পড়ে, তবে মরে যাওয়ার জন্য মারেননি, সে মারা যাবে ভাবিনি।

জবানবন্দিতে মুন্নী আরো জানায়, আফিয়া জ্ঞান হারানোর পর রাতে বাসার কলাবসিবল গেইট বন্ধ থাকায় বেরিয়ে যেতে পারেননি। পরদিন (২১ আগস্ট) ভোর আনুমানিক সোয়া ৫টার দিকে ভোরবেলা গেইট খুললে রিকশা ডেকে মালামাল নিয়ে বাসার দরজা তালাবদ্ধ করে চলে যান।

এদিকে, হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নিয়াজের অপকর্ম বেরিয়ে আসতে থাকে। নিহত আফিয়া এক নারী চিকিৎসকের বাসার গৃহকর্মী ছিলেন। পরে তাকে আশরাফুল নামে এক যুবকের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নিজের স্ত্রী-সন্তান রেখে আফিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যান নিয়াজ। তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে ও হোটেলে নিয়ে থাকেন। আফিয়ার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূতভাবে তাকে নিয়ে রাত যাপন করেন। এরমধ্যে তাদের ঔরসে আসে একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু আফিয়াকে স্ত্রী করে নিতে টালবাহানা করেন।

অর্থ উপার্জনে তাকে জোরপূর্বক অসামাজিক কাজে লিপ্ত করান। এ কারণে ২০২০ সালের ১২ জুলাই আফিয়া কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে মামলার চার্জশীট দেওয়া হয়।তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়ে অবহিত করে রাখেন। কিন্ত তার আগেই নিয়াজ যাতে দেশ ত্যাগ করেন। গত জুন মাসে দেশে আসলে চার্জশীটভূক্ত আসামি হিসেবে ঢাকাস্থ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন নিয়াজ।

তার গ্রেফতারের খবর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানাকে জানানো হলে মামলার চার্জশীট হওয়াতে তাকে না আনায় ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হলে পরে ওই মামলায় তাকে সিলেটের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গত ২ আগস্ট জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হন নিয়াজ খান। এরপর তিনি ওই বাসায় আসা-যাওয়া করতেন।পরে মুন্নীর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয় এবং আফিয়াকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করেন। তিনি মুন্নীকে বিদেশে নেওয়ার ও ২ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

২৪ আগস্ট রাত ১২টার দিকে নগরীর উত্তর বালুচর বাবর তপাদারের মালিকানাধীন ফোকাস-৩৬৪ সিকান্দর মহলের পাঁচতলা ভবনের নিচতলার বাসায় দরজার তালা ভেঙে আফিয়া বেগমের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মরদেহের কাছ থেকে আলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া নিহতের আড়াই বছরের কন্যা শিশুকেও উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারের প্রায় ৭৬ ঘণ্টা আগে আফিয়াকে খুন করা হয় বলেও ধারণা করেছিল পুলিশ। গত ২৪ আগস্ট নিহতের মা কুটিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের পাশাপাশি মামলার ছায়া তদন্তে নেমে গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ভোরে আফিয়া হত্যায় জড়িত মাজেদা খাতুন মুন্নিকে হবিগঞ্জ তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯ সদস্যরা।গ্রেফতারকৃত মুন্নী (২৯) হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার সারংপুর গ্রামের আব্দুল গনির মেয়ে। আর নিহত আফিয়া গোয়াইনঘাটের জাঙ্গাইল গ্রামের আজির উদ্দিন ও কুটিনা বেগম দম্পতির মেয়ে।

এছাড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৪ আগস্ট রাতে দক্ষিণ সুরমার বরকান্দি থেকে নিহতের কথিত স্বামী ইসমাইল নিয়াজ খানকে আটক করে পুলিশ। আটক ইসমাইল নিয়াজ খান বরইকান্দি এলাকার ইসমত খানের ছেলে। তাকেও ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা এড়িয়ে যায়।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)