সোমবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » অংথোই মারমাকে হত্যার প্রতিবাদে ইউপিডিএফের আধাবেলা সড়ক
অংথোই মারমাকে হত্যার প্রতিবাদে ইউপিডিএফের আধাবেলা সড়ক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: খাগড়াছড়ির গুইমারায় রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফ সংগঠক অংথোই মারমা ওরফে আগুনকে (৫২)-কে হত্যার প্রতিবাদে আজ রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর ২০২২) গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর আধাবেলা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি সফলভাবে পালিত হয়েছে।
সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। অবরোধ পালনকালে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।
অবরোধের সমর্থনে পিকেটাররা বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে অবরোধ কর্মসূচি সফল করেন।
অবরোধের কারণে উক্ত ৫ উপজেলায় দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকেও ঢাকা-চট্টগ্রাম-ফেনী গামী দূরপাল্লার কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি।
অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় ইউপিডিএফ’র খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা সকল যানবাহন মালিক-চালক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শাসকগোষ্ঠির চক্রান্তের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ হচ্ছে না। পাহাড়িদের মধ্যেকার একটি প্রতিক্রিয়াশীল-সুবিধাবাদী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দিয়ে সরকার তথা শাসকগোষ্ঠি এ সংঘাত জিইয়ে রাখতে মরিয়া অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গুইমারায় অংথোই মারমাকে হত্যার ঘটনাও তারই অংশ। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর একটি কায়েমী স্বার্থবাদী অংশ এই চক্রান্তে যুক্ত রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি শাসকগোষ্ঠির এই হীন চক্রান্ত থেকে সজাগ থাকার ও ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অংগ্য মারমা অবিলম্বে অংথোই মারমাকে হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা এবং সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্রীয় আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদদান বন্ধ করার দাবি জানান। একই সাথে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন তুলে নিয়ে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার সময় গুইমারার দেওয়ান পাড়া এলাকায় রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা ইউপিডিএফ সংগঠক অংথোই মারমা আগুনকে গুলি করে হত্যা করে। প্রকাশ্যে দিবালোকে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেও প্রশাসন এখনো হত্যাকারীদের গ্রেফতারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।