সোমবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » সিলেটে আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ : গ্রেফতার-১
সিলেটে আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ : গ্রেফতার-১
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেট নগরীর আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টানা ২২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে আলোচিত এই ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত মােহাইমিন রহমান রাহি (৩৩) গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
গ্রেফরতাকৃত রাহিকে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। এর আগে সিলেট মহানগরীর একটি আবাসিক হোটেলের ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে মহানগরীর পাঠানটুলাস্থ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ভিকটিম দুই তরুণী সিলেটের জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী (১৮) কয়েক মাস আগে আইএলটিএস পড়ার জন্য সিলেট মহানগরীতে এসে আরেক নাট্যশিল্পী তরুণী (২৫)-এর সঙ্গে শাহজালাল উপশহরের একটি বাসায় থাকতে শুরু করেন। উপশহর এলাকায় থাকার সুবাধে ওই এলাকার স্নেহা বিউটি পার্লারের গিয়ে তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫) নামের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তানিয়া সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্দি গ্রামের দবির মিয়ার মেয়ে। তিনি শাহজালাল উপশহরের এইচ ব্লকের ৪ নং রোডের আলী ভিলা নামক ৫ তলা বাসায় ভাড়াটে থাকেন।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে তানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে সিলেটে আইএলটিএস করতে আসা সেই তরুণীর। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুবাধে গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানিয়া ফোন করে ওই তরুণীকে বলেন- তার ভাইয়ের জন্য এবি পজেটিভ রক্ত প্রয়োজন। ওই তরুণীর এবি পজেটিভ রক্ত হওয়ায় তিনি যেন এক ব্যাগ রক্ত দেওয়ার জন্য রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে যান। এমন ফোন পেয়ে ওই তরুণী তার বন্ধবীকে (২৫) নিয়ে তৎক্ষণাৎ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালের সামনে যান।
সেখানে গিয়ে তানিয়াকে দেখতে পেয়ে রক্ত দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি ওই দুই তরুণীকে জানান- রক্ত দেওয়ার আগে তার এক কাজিনের বাসায় একটু প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন শেষ করে তারা হাসপাতালে যাবেন। এ কথা বলে কৌশলে ওই দুই তরুণীকে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলায় নিয়ে যান তানিয়া এবং তাদের দুজনকে আলাদা আলাদা কক্ষে বসিয়ে রাখেন। এসময় তানিয়ার সহযোগী কয়েকজন তরুণ ও যুবক এসে ওই দুই তরুণীকে আটকে রাখেন এবং রাত সাড়ে ১১টার থেকে একের পর এক ১০-১২ জন যুবক তাদের দুজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এছাড়াও ভিকটিম এক তরুণীর (১৮) কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা পয়সা জোরপূর্বক নিয়ে যান তানিয়া ও ধর্ষকরা।
পরদিন (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে ভিকটিম দুই তরুণীকে এক কক্ষে নিয়ে তাদের কাছ থেকে ‘ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি’ এ মর্মে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয় এবং এ কথাগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তাদের ছেড়ে দেন তানিয়া ও তার সহযোগিরা।
ঘটনার পর দুই ভিকটিম তরুণী জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন। তানিয়া ছাড়াও এই দুই মামলার আসমিরা হলেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাইমিন রহমান রাহি (৩৩), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গোবিগন্দগঞ্জ গ্রামের মৃত তহুর আলীর ছেলে জুবেল (৩১), সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার আলী আকবরের ছেলে রানা আহমদ শিপলু ওরফে শিবলু (৩৫), সুনামগঞ্জ সদর থানার হরিনাপাট গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) ও সুজন (৩৫) এবং অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জন।
সিলেটে ৫ হাজার ১৬৫টি যানবাহনে সোয়া দুই কোটি জরিমানা
বিশ্বনাথ :: সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অভিযানে গত (আগস্ট) মাসে অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এসব জরিমানা ৫ হাজার ১৬৫টি যানবাহনের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। সেই সাথে ৩ হাজার ৩৭১ টি যানবাহন আটক করা হয়েছে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান- গত আগস্ট মাসের ১ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত সিলেট মহানগরীতে রেজিস্ট্রেশনবিহীন যানবাহন, ট্রিপল রাইডিং, হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো, গাড়িতে কালো গ্লাস পেপার লাগানো, যানবাহনে ওভার লোডিং, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো, হাইড্রোলিক হর্ণের ব্যবহারসহ সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পরিপন্থী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে গত আগস্ট মাসে ব্যাপক অভিযান চালায় এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ।
অভিযানকালে নগরীর এয়ারপোর্ট রোডে, হুমায়ুন চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড, তেমুখী এলাকায় প্রতিদিন চেকপোস্টের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন আইন জোরালোভাবে প্রয়োগ করা হয়। গত বছরের আগস্ট মাসের তুলনায় এ বছর আগস্ট মাসে ১ হাজার ৫৫১টি মামলা বেশি রুজু করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৮৩টি যানবাহন বেশি আটক করা হয়েছে।
এছাড়াও রুজুকৃত জরিমানার পরিমাণ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি করা হয়েছে এবং আদায় করা হয়েছে। গত আগস্ট মাসে ৫ হাজার ১৬৫টি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং ৩ হাজার ৩৭১টি যানবাহন আটক করা হয়েছে। এসব যানবাহনে ২ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এসএমপি মিডিয়া শাখা আরও জানায়- সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর রুজুকৃত ধারা সমূহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ৯২(১) ও ৯২(২) ধারায় মোট ২ হাজার ২৩২টি মামলা রুজু হয় যা মোট মামলার প্রায় ৪০% অর্থাৎ হেলমেট ব্যবহার না করা, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং উল্টোপথে মোটরযান চালানো চালকের সংখ্যাই বেশি।
এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন ১২৫টি সহ মোট ১২৬১টি সিএনজিতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। ৫৬৯ টি প্রাইভেট কার, ১৬৩ টি মাইক্রোবাস, ১৯ টি ট্রাক, ৫ টি বাস, ৮২ টি লেগুনা-পিকআপ এবং ১৫টি টেম্পুতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয় তন্মধ্যে ২৩৪ টি যানবাহনে অনুমোদনহীন কালো গ্লাস পেপারের জন্য সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৮৪ ধারায় প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। নিয়মিত মামলার পাশাপাশি ১ হাজার ৭৩২টি কাউন্টার মামলা দাখিল করা হয়। সড়ক পরিবহন আইন’২০১৮ ধারা (৭২) মূলে রেজিস্ট্রেশন না থাকায় ১০৫টি এবং ধারা (৬৬) মূলে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ৮৫২টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়, যা মোট মামলার প্রায় ১৭%।
মামলা রুজুর পাশাপাশি প্রায় ৩ হাজার ৪০০টি যানবাহন আটক করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেল ১ হাজার ৯৪৮ টি, সিএনজি ৩১৮টি, টমটম ৭৭টি, ব্যাটারি চালিত রিক্সা ৭৯৪টি ও ব্যক্তিগত যানবাহন (প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ) ২২৭টি। এছাড়াও গত ১৪ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট তারিখ পর্যন্ত সিলেট মহানগরীর কুমারগাঁও বাস স্ট্যান্ড, কোম্পানীগঞ্জ বাইপাস, হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর ও আম্বরখানা পয়েন্টে চেকপোস্ট ডিউটির মাধ্যমে ৯৪১টি প্রসিকিউশন ও ৭৫৮টি যানবাহন ডাম্পিং এর মাধ্যমে পুলিশ লাইন্সে প্রেরণ করা হয়।
সার্জেন্ট ও টিএসআইদের মধ্যে টিএসআই/৯৪ শাহীনুর কবির সর্বোচ্চ ২৯৬টি মামলা রুজু করেন এবং সার্জেন্ট সঞ্জয় বিশ্বাস সর্বোচ্চ ২৯৯টি যানবাহন আটক করেন।
মামলা এবং আটকের পাশাপাশি এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ প্রতি মঙ্গলবার যানবাহন চালক, মালিক, শ্রমিক ও পথচারীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা ও ট্রাফিক আইন সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করে।
এছাড়াও স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ট্রাফিক এডুকেশন নেটওয়ার্ক (টেন) এর কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তন্মধ্যে স্কলার্স হোম স্কুল এন্ড কলেজ, পাঠানটুলা, আম্বরখানা গার্লস স্কুল, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, পাইলট স্কুল, রাজা জিসি হাইস্কুলে আগস্ট মাসে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
পর্যায়ক্রমে অবহেলিত খাজাঞ্চী ইউনিয়নের কাঙ্খিত উন্নয়ন করা হবে : এমপি মোকাব্বির
বিশ্বনাথ :: সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোকাব্বির খান বলেছেন, আমি সংসদেও বলেছি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বনাথের মধ্যে খাজাঞ্চী ইউনিয়নটি সবচেয়ে অবহেলিত। তাই পর্যায়ক্রমে অবহেলিত খাজাঞ্চী ইউনিয়নের কাঙ্খিত উন্নয়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, প্রীতিগঞ্জ বাজার-পাকিছিরি-উত্তর বিশ্বনাথ হাইস্কুল সড়ক সংস্কার ও পাকাকরণের কাজ দ্রæত বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। আর আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্বনাথ-খাজাঞ্চী-কামাল বাজার সড়ক’ সংস্কার কাজের টেন্ডার হবে।
তিনি রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পরিণত ‘প্রীতিগঞ্জ বাজার-পাকিছিরি-উত্তর বিশ্বনাথ হাইস্কুল সড়ক’ দ্রæত পাকাকরণের লক্ষে পাকিছিরি গ্রামবাসী আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
সৎপুর দারুল হাদিস কামিল (এমএ) মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও হাতিম চৌধুরী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ফয়েজ আহমদ তাজিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের ট্রেজারার আজম খান, জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হাসমত উল্লাহ।
সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন পাকিছিরি জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ শায়েক আহমদ। সভায় এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন সৎপুর দারুল হাদিস কামিল (এমএ) মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক মাওলানা ক্বারী জমির উদ্দিন, পাকিছিরি গ্রামের ব্যবসায়ী মতিউর রহমান, চন্দ্রগ্রাম গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী আশুতোষ চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক এনাম, মেম্বার চমক আলী, সাবেক মেম্বার ফয়সল আহমদ, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার বখতিয়ার আহমদ, পংকজ বিহারী দাস, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার ফুলমালা বেগম, প্রীতিগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর, পাকিছিরি গ্রামের জসিম উদ্দিন, ফেরদৌস মিয়া, জালাল আহমদ, কছির আলী, মাসুক মিয়া, প্রবাসী গিয়াস উদ্দিন সামী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।