মঙ্গলবার ● ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেট মহাসড়কে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২
সিলেট মহাসড়কে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুরে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও চালকের সহকারী ২ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন ট্রাক চালক যশোর জেলার শার্শার উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে রুবেল হোসেন (৩৫) ও চালকের সহকারি যশোর জেলার জিগরগাছা উপজেলার সাবর আলীর ছেলে আহাদ আলী (২৭) ।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার শাহজীবাজারের হরিতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি বালুবাহী ট্রাক ও ঢাকা থেকে সিলেট গামী মোরগের খাবার ফিট বাহী ট্রাকের মধ্যে মুখো মুখি সংঘর্ষ হয় । এতে ট্রাক দুটি ধুমড়ে মুছড়ে যায়। এতে বালু বাহী ট্রাকের চালক ও হেলপার ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় সিলেটের গোয়াইঘাটের জালাল উদ্দিন গুরুতর আহত হন। হতাহতরা ধুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রাকে আটকা পড়ে।
খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের একদল কর্মী ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে হতাহতদের উদ্বার করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার (ওসি) মাঈনুল ইসলাম ভুঁইয়া সততা নিশ্চিত করে জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক ২টি হাইওয়ে পুলিশ জব্দ করেছে এবং নিহতদের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের স্বজনের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
সিলেটে আলোচিত গণধর্ষণ মামলা: স্বামীর মুক্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী
বিশ্বনাথ :: সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানাধীন পশ্চিম পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা রানা আহমদ শিপলুকে ফাঁসাতে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে দুই তরুণী মামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিপলুর স্ত্রী তাহমিনা খানম।
সোমবার (৫ সেপ্টম্বর) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ দাবি জানান তাহমিনা। তিনি তার স্বামীকে এ সময় যুবলীগ নেতা উল্লেখ করে এই সাজানো মামলা থেকে তার স্বামীকে অব্যাহতি প্রদান ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
তাহমিনা খানম লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার স্বামী একজন আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী। রাগীব রাবেয়া হাসপাতালের পাশে তাদের ফার্মেসি ব্যবসা রয়েছে। এর পাশাপাশি যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাই তার স্বামী ও পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুন্ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি না করতে এবং সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার লক্ষে স্থানীয় ছাত্রদলের চিহিৃত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী তানভীর একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সাজাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তানভির, তানিয়া, জুবেল মিলে দুই তরুণীকে দিয়ে বানোয়াট ও মিথ্যা কল্পকাহিনীতে হোটেল গ্রীণ হিলে ২৩ আগস্ট ধর্ষণের ঘটনা সাজিয়ে গত ২৮ আগস্ট জালালাবাদ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
ওই দুই মামলার বাদী এবং মামলার প্রধান আসামি তানিয়া হোটেলেকক্ষ ভাড়া নেনে নাম ও পরিচয় গোপন করে এবং ৫ দিন পরে ধর্ষণ ঘটনার নাটক সাজিয়ে তাদের পরিচিত ও মামলায় উল্লেখিত নগরীর খুলিয়া পাড়ার আব্দুল ওয়াদুদ ও জাহানারা বেগমের ছেলে মেহদী হাসান সুমনকে সাথে নিয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা দাখিল করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সুমন জানান, দুই তরুণীকে তিনি চিনেন না।
তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ফলে তার রাজনৈতিক ছোট ভাই অভি ওই দুই তরুণীকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলো, তাই থানায় নিয়ে যান। তাছাড়া অভি তাকে বলেছে- তরুণী দুজনেই ড্যান্স করে মুরাদ নামের ড্যান্সারের সাথে। তাই মুরাদ অভির মাধ্যমে সুমনের কাছে ওই দুইজনকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে ড্যান্সার মুরা আমাদের জানান- তিনি এই দুই তরুণীকে চিনেন মাত্র এক সপ্তাহ থেকে। ড্যান্স শিখতে তার কাছে গিয়েছিল তারা, কিন্তু তাদের চলাফেরা ও চারিত্রিক দিকটি তার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছিল।
তাই তাদেরকে তিনি ড্যান্স ক্লাসে ভর্তি না করে শুধু আসতে-যেতে বলেছিলেন। কিন্তু দুইদিন আসার পর ৫ দিন না এসে ৬ দিনের সময় ওই দুইজন গিয়ে বলে তাদের মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। তাই তা উদ্ধারের জন্য তার বড় ভাই তেলিহাওর গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা সুমনের কাছে পাঠান। পরে কী হয়েছে তিনি তা আর জানেন না। মুরাদ ও সুমনের বক্তব্য শুনে দুই তরুণীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, মামলার বিষয়ে কিছু জানতে হলে পুলিশের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে, তারা কিছু জানেন না বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দুই তরুণী ধর্ষণের মামলায় গ্রীণ হিল হোটেলের যে সকল কক্ষের কথা উল্লেখ হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ২৩ আগস্ট গ্রীণ হোটেলের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ৩০১ নং রুমে কোনো বর্ডার উঠেনি। তবে রেজিস্ট্রার খাতার ক্রমিক অনুযায়ি ৯৯১৫০, ৯৯১৫১ ও ৯৯১৫২ ক্রমিকে ৩০৩ নম্বর কক্ষে গৃহিনী পরিচয়ে উঠেন তিনজন মহিলা, এর মধ্যে দুই বোন ও একজন মহিলা ছিলেন এবং কোনো পুরুষের নাম উল্লেখ নেই। তাছাড়া মামলা দুটির এজাহারের বক্তব্যের বেশ গড়মিল আছে। নাট্যশিল্পী পরিচয় দানকারী তার মামলায় লিখেন, তাকে ২৩ আগস্ট রাত ১১টা ৫০ থেকে পরদিন ৫ টা পর্যন্ত ৪ জন মিলে ৫ বার ধর্ষণ করে।
আইএলটিএস পড়ুয়া পরিচয় দানকারী তরুণী তার মামলায় উল্লেখ করেন- একই সময়ে তাকেও ঘুরে ফিরে ৫ জন ৭ বার ধর্ষণ করেছে। অথচ এই সময়ের তারা হোটেল কর্তৃপক্ষ অথবা হোটেলে থাকা অন্য বর্ডারকে চিৎকার করে ডাকেননি বা পরদিন দুপুর ১ টা পর্যন্ত ছিলেন। সেখান থেকে গিয়েও থানায় কোনো অভিযোগ করেননি অথবা জরুরি নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন করেও কিছু জানাননি। হোটেলে উঠা আইএলটিএস পড়ুয়া তরুণী কোনো আইএলটিএস সেন্টারে পড়েন না।
১ নং আসামি এবং মামলা দুটির বাদী মূলত দেহব্যবসায়ী। আর তার প্রমাণ পাওয়া যাবে মামলার বাদী দুই তরুণীর ডিএনএ টেস্ট করলে। তাছাড়া শিপলুর প্রতিপক্ষ তানভীর একজন মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং ছাত্রদল নামধারী সমাজের চিহিৃত সন্ত্রাসী, তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৭টি মামলা রয়েছে। তানিয়া ও জুবেলের সাথে তানভীরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তাই শিপলুকে ধর্ষণ ঘটনার মামলায় ফাসানোর জন্য পূর্ব থেকে পরিকল্পনা করে তানভীর। ফলে তানভীর, জুবেল ও তানিয়ার মোবাইল নাম্বারের কল লিস্ট তুললে স্পষ্ট হয়ে যাবে ঘটনাটি।
তাহমিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার স্বামী রানা আহমদ শিপলুকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়েছে। তাই এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা থেকে তার নিরপরাদ স্বামীর মুক্তি চান এবং ধর্ষণ ঘটনা নাটকের পরিকল্পনাকারী ছাত্রদল নামধারি সন্ত্রাসী তানভীরসহ ধর্ষণ নাটক তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়ার দাবি করেন।
বিশ্বনাথে সন্ত্রাসী হামলা ও পুলিশের কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে সন্ত্রাসী হামলা ও পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বিশ্বনাথ থানার সত্তিশ গ্রামের মখলিছুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মখলিছুর রহমান জানান, তাঁর প্রতিবেশী সত্তিশ গ্রামের মৃত মনোহর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান ও হাবিবুর রহমানর এবং তাদের স্বজনরা সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অপরাধ অপকর্মের মামলা। তাদের কাছে এলাকার শান্তিপ্রিয় নিরিহ মানুষজন জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
তিনি বলেন, মিজানুর রহমান একসময় বিএনপি-জাতীয় পার্টিসহ সরকার দলের নেতা পরিচয়ে এলাকার প্রভাব বিস্তার করে চলতেন। বর্তমান সরকারের আমলে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছেন। সন্ত্রাসী হামলা-মামলা ভাঙচুর লুটপাট তার কাছে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। সরকারদলীয় নেতা পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর উপর প্রভাব খাটিয়ে তিনি যা ইচ্ছে তাই করে চলেছেন। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার কোনো অপকর্মের প্রতিবাদ করলে নেমে আসে হামলা-মামলাসহ রকমফের নির্যাতন-নিপীড়ন। মিজানুর রহমান ও হাবিবুর রহমানের ভাইদের কাছে এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে মখলিছুর রহমার আরোও অভিযোগ করেন, মিজানুর রহমান ও হাবিবুর রহমানের সাথে তার পরিবারের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে মিজান ও হাবীব প্রায়ই তার পরিবারকে হত্যাসহ তাদের জানমালের ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় মিজানুর রহমান ও হাবিবুর রহমান এবং তাদের লোকজন গত ৫ ও ১০ আগস্ট দু’ দফা হামলা চালিয়ে তার স্বজনদের গুরুতর আহত করেন এবং তাদের ঘর-দরজার ভাঙচুর করেন। বিষ ঢেলে তার পুকুরের মাছও মেরে ফেলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মখলিছুর রহমান বলেন, গত ৫ আগস্ট নামায শেষে তিনি ও তার দোকান কর্মচারী ভাগিনা বদরুল আলম রানা বাড়িতে ফিরলে মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান ও হাবিবুর রহমানের ছেলে তানবীর দলবল নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় তারা দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করেন। ধারালো অস্ত্র দা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে বদরুল আলম রানাকে গুরুতর আহত করেন। এ সময় হাবিবুর রহমানের ছেলে তানবীর বন্দুক দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে ৩ রাউন্ড গুলিও বর্ষণ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তানভীরকে বন্দুকসহ হাতে নাতে আটক করে এবং গুলির খোসাও উদ্ধার করে। গুরুতর আহত বদরুল আলম রানাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দিতে গেলে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। উপরন্তু বন্দুকসহ আটক তানবীরকে রাতে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।
তিনি বলেন, থানাপুলিশ মামলা না নেওয়ায় মিজান, হাবিব ও তানভীর আরোও বেপরোয় হয়ে ওঠেন। আহত বদরুল আলম রানা বাড়ি ফিরলে ১০ আগস্ট তারা আবারো হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। ফলে দ্বিতীয় দফায় বদরুল আলম রানাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, মিজানদের দফায় দফায় হামলা এবং থানায় মামলা না নেওয়ায় মখলিছ গত ১৬ আগস্ট সিলেটের আমল গ্রহণকারী বিশ্বনাথ আদালতে মামলা করেন। মামলার আসামীরা হচ্ছেন, সিলেটের বিশ্বনাথ থানার সত্তিশ গ্রামের মৃত হাজি মনোহর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং হাবিবুর রহমানের ছেলে তানবীর ও মিজানুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান।
আদালতের আদেশে ২৪ আগস্ট মামলাটি রেকর্ডে নিতে বাধ্য হন বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান। যা বিশ্বনাথ থানার মামলা নং-১২ (৮) ২০২২। পরে থানার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেনকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।
মখলিছুর রহমানের অভিযোগ, অজ্ঞাত কারণে মামলার আসামীদের গ্রেফতার করছেন না বিশ্বনাথ থানার ওসি তার তার পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোয়োজ্জেম হোসেন ২৬ আগস্ট মামলার এজহার নামীয় আসামী তানভীরকে সাথে নিয়েই মামলার তদন্ত কাজ করতে ও তানভীরের সাথে সবসময় ওঠা বসা করতে দেখা গেছে।
আসামীদের গ্রেফতার না করায় মামলার বাদী হয়ে মখলিছুর রহমান প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর এ সুযোগে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সন্ত্রাসী মিজান ও তানভীররা তার পুকুরে বিষ ঢেলে লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। তার বৃদ্ধা মা-সহ পরিারের মহিলা ও শিশুদের অপহরণ গুমসহ নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে চলেছে।
এঘটনায় সিলেট জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা ঘটনায় তানবীরের বন্দুক জব্দ ও লাইসেন্স বাতিল করলেও অজ্ঞাত কারণে হামলাকারী তানবীরকে গ্রেফতার করছে না বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। ফলে সন্ত্রাসী হামলার মামলা দিয়ে উল্টো তিনি ও তার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসী হামলার মামলার আসামী বিশ্বনাথ থানার সত্তিশ গ্রামের মিজান ও তানভীরকে অবিলম্বে গ্রেফতার এবং আক্রান্ত পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জাননো হয়। পাশাপাশি কর্তব্যে অবহেলার জন্য থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বদরুল আলম রানা, মাশুক মিয়া, লিলু মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।